ঢাকা ১১:২০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
আন্তর্জাতিক মে দিবস পালন করেন নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রাসাদ নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয় রাঙ্গুনিয়ায় চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানে প্রতিদ্বন্দ্বীবিহীন প্রার্থী ভোট হবে ভাইস চেয়ারম্যানের (চার প্রার্থীর মধ্যে দুই প্রার্থীর মনোনয়ন প্রত্যাহার ভোট প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে দুই জনের মধ্যে।) “কেরানীগঞ্জে এক হাজার পথচারীদের মাঝে শরবত বিতরণ করলেন সাংবাদিকরা” লক্ষ্মীপুরে শ্রেষ্ঠ অধ্যক্ষ পুরস্কার নিয়ে বির্তক দিঘলিয়ায় মে দিবস পালিত। মে দিবস উপলক্ষে জাতীয় প্রেসক্লাবে বিড়ি শ্রমিকদের র‌্যালি ও সমাবেশ নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ সাইনবোর্ড বাসস্ট্যান্ড তীব্রতাপ প্রভায়ে খাবার পানি ও স্যালাইন বিতরণ বগুড়া শাজাহানপুরে অসহায় পরিবারের পাশে দাঁড়ালেন ইউএনও “দেশ টিভির সাংবাদিককে লিগ্যাল নোটিশ” বাকেরগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় কলেজ শিক্ষার্থীর পায়ের পাতা বিচ্ছিন্ন।

আজ মার্কিন কংগ্রেসের মধ্যবর্তী নির্বাচন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক :  আজ যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেসের মধ্যবর্তী নির্বাচন। কংগ্রেসের নিম্ন কক্ষ প্রতিনিধি পরিষদ ও উচ্চ কক্ষ সিনেটের এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এ দু’টি কক্ষেরই নিয়ন্ত্রণ রয়েছে এখন ক্ষমতাসীন দল রিপাবলিকানদের। তারা সেই নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতে চাইছে। যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেসের এই মধ্যবর্তী নির্বাচনকে দেখা হয় ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্টের ওপর আস্থার একটি গণভোট হিসেবে। যদি এই নির্বাচনে রিপাবলিকানরা হারে তাহলে কংগ্রেসের ওই দুটি কক্ষই চলে যাবে বিরোধী দল ডেমোক্রেটদের হাতে। তাতে প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পকে তার ক্ষমতার মেয়াদের বাকি দু’টি বছর খুব জটিল অবস্থার মধ্য দিয়ে চলতে হবে। কারণ, তিনি নিজে থেকে অনেক সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন না।

তাকে সেই সিদ্ধান্ত অনুমোদন করাতে হবে কংগ্রেস থেকে। ফলে ডেমোক্রেটরা যদি কংগ্রেসের নিয়ন্ত্রণ পায় তাহলে তিনি সব ক্ষেত্রে অনুমোদন পাবেন এমনটা হলফ করে বলা যায় না। এমনিতেই প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় যে পরিমাণ ভোট পড়ে মধ্যবর্তী নির্বাচনে তার থেকে অনেক কম ভোট দেন ভোটাররা। কিন্তু তাতে কি! ফল যাই হোক তাতে যুক্তরাষ্ট্রের ওপর নাটকীয় এক প্রভাব ফেলে। বিশেষ করে ট্রাম্পের আইনগত অথবা লেজিসলেটিভ সব এজেন্ডা বাস্তবায়নে। বার্তা সংস্থা এএফপি বলছে, প্রতিনিধি পরিষদে রিপাবলিকানরা আসন হারাবে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে তারা সিনেটের নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতে পারে। প্রতিনিধি পরিষদে মোট আসন ৪৩৫টি। বর্তমানে ২৩৬টি আসন ধরে রেখেছে রিপাবলিকানরা। ডেমোক্রেটদের দখলে আছে ১৯৩টি। ৬টি আসন ফাঁকা আছে। প্রতি দু’বছর পর পর এ পরিষদের সব আসনে নির্বাচন হয়। নতুন নির্বাচিত কংগ্রেসের মেয়াদ শুরু হবে ২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকে।

২০১০ সালের নভেম্বরে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে সামনে রেখে যে টি-পার্টি আয়োজন করা হয় তার পর থেকে প্রতিনিধি পরিষদের নিয়ন্ত্রণ ধরে রেখেছে রিপাবলিকানরা। নিম্নকক্ষ বলে পরিচিত এই প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার হলেন রিপাবলিকান পল যায়ান। তিনিও এবার তার নিজের রাজ্য উইসকনসিন থেকে নির্বাচন করছেন। প্রতিনিধি পরিষদের নিয়ন্ত্রণ পেতে হলে ডেমোক্রেটদের প্রয়োজন ২৩টি আসন। তারা সেটা পাবে বলে বিশ্লেষণে বলা হচ্ছে।

ওদিকে সিনেটে রয়েছে ১০০ আসন। প্রতিটি রাজ্যে দুটি করে আসন মিলে এই সংখ্যা দাঁড়ায়। বর্তমানে সিনেটে রিপাবলিকানদের দখলে আছে ৫১ আসন। ডেমোক্রেটদের ৪৯ আসন। নির্বাচিত সিনেট সদস্যদের মেয়াদ ছয় বছর। কিন্তু প্রতি দু’বছর পর পর এর প্রায় এক তৃতীয়াংশ আসনে নির্বাচন হয়। ফলে মঙ্গলবারের নির্বাচনে সিনেটের ৩৫টি আসনে ভোট দেবেন ভোটাররা। বর্তমানে এই আসনগুলোর মধ্যে ২৬টিতে ক্ষমতাসীন ডেমোক্রেটরা। ৯টি রিপাবলিকানদের।

Tag :

আন্তর্জাতিক মে দিবস পালন করেন নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রাসাদ নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়

আজ মার্কিন কংগ্রেসের মধ্যবর্তী নির্বাচন

আপডেট টাইম ০৩:২০:২৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ নভেম্বর ২০১৮

আন্তর্জাতিক ডেস্ক :  আজ যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেসের মধ্যবর্তী নির্বাচন। কংগ্রেসের নিম্ন কক্ষ প্রতিনিধি পরিষদ ও উচ্চ কক্ষ সিনেটের এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এ দু’টি কক্ষেরই নিয়ন্ত্রণ রয়েছে এখন ক্ষমতাসীন দল রিপাবলিকানদের। তারা সেই নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতে চাইছে। যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেসের এই মধ্যবর্তী নির্বাচনকে দেখা হয় ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্টের ওপর আস্থার একটি গণভোট হিসেবে। যদি এই নির্বাচনে রিপাবলিকানরা হারে তাহলে কংগ্রেসের ওই দুটি কক্ষই চলে যাবে বিরোধী দল ডেমোক্রেটদের হাতে। তাতে প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পকে তার ক্ষমতার মেয়াদের বাকি দু’টি বছর খুব জটিল অবস্থার মধ্য দিয়ে চলতে হবে। কারণ, তিনি নিজে থেকে অনেক সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন না।

তাকে সেই সিদ্ধান্ত অনুমোদন করাতে হবে কংগ্রেস থেকে। ফলে ডেমোক্রেটরা যদি কংগ্রেসের নিয়ন্ত্রণ পায় তাহলে তিনি সব ক্ষেত্রে অনুমোদন পাবেন এমনটা হলফ করে বলা যায় না। এমনিতেই প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় যে পরিমাণ ভোট পড়ে মধ্যবর্তী নির্বাচনে তার থেকে অনেক কম ভোট দেন ভোটাররা। কিন্তু তাতে কি! ফল যাই হোক তাতে যুক্তরাষ্ট্রের ওপর নাটকীয় এক প্রভাব ফেলে। বিশেষ করে ট্রাম্পের আইনগত অথবা লেজিসলেটিভ সব এজেন্ডা বাস্তবায়নে। বার্তা সংস্থা এএফপি বলছে, প্রতিনিধি পরিষদে রিপাবলিকানরা আসন হারাবে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে তারা সিনেটের নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতে পারে। প্রতিনিধি পরিষদে মোট আসন ৪৩৫টি। বর্তমানে ২৩৬টি আসন ধরে রেখেছে রিপাবলিকানরা। ডেমোক্রেটদের দখলে আছে ১৯৩টি। ৬টি আসন ফাঁকা আছে। প্রতি দু’বছর পর পর এ পরিষদের সব আসনে নির্বাচন হয়। নতুন নির্বাচিত কংগ্রেসের মেয়াদ শুরু হবে ২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকে।

২০১০ সালের নভেম্বরে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে সামনে রেখে যে টি-পার্টি আয়োজন করা হয় তার পর থেকে প্রতিনিধি পরিষদের নিয়ন্ত্রণ ধরে রেখেছে রিপাবলিকানরা। নিম্নকক্ষ বলে পরিচিত এই প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার হলেন রিপাবলিকান পল যায়ান। তিনিও এবার তার নিজের রাজ্য উইসকনসিন থেকে নির্বাচন করছেন। প্রতিনিধি পরিষদের নিয়ন্ত্রণ পেতে হলে ডেমোক্রেটদের প্রয়োজন ২৩টি আসন। তারা সেটা পাবে বলে বিশ্লেষণে বলা হচ্ছে।

ওদিকে সিনেটে রয়েছে ১০০ আসন। প্রতিটি রাজ্যে দুটি করে আসন মিলে এই সংখ্যা দাঁড়ায়। বর্তমানে সিনেটে রিপাবলিকানদের দখলে আছে ৫১ আসন। ডেমোক্রেটদের ৪৯ আসন। নির্বাচিত সিনেট সদস্যদের মেয়াদ ছয় বছর। কিন্তু প্রতি দু’বছর পর পর এর প্রায় এক তৃতীয়াংশ আসনে নির্বাচন হয়। ফলে মঙ্গলবারের নির্বাচনে সিনেটের ৩৫টি আসনে ভোট দেবেন ভোটাররা। বর্তমানে এই আসনগুলোর মধ্যে ২৬টিতে ক্ষমতাসীন ডেমোক্রেটরা। ৯টি রিপাবলিকানদের।