ঢাকা ০৬:৫৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
লোহাগড়া উপজেলা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে প্রতিক বরাদ্দ বগুড়া শিবগঞ্জে নাতির রাম দা’র কোপে নানী খুন ফুটপাত উদ্ধার করতে হবে: মেয়র রেজাউল আন্তর্জাতিক মে দিবস পালন করেন নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রাসাদ নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয় রাঙ্গুনিয়ায় চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানে প্রতিদ্বন্দ্বীবিহীন প্রার্থী ভোট হবে ভাইস চেয়ারম্যানের (চার প্রার্থীর মধ্যে দুই প্রার্থীর মনোনয়ন প্রত্যাহার ভোট প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে দুই জনের মধ্যে।) “কেরানীগঞ্জে এক হাজার পথচারীদের মাঝে শরবত বিতরণ করলেন সাংবাদিকরা” লক্ষ্মীপুরে শ্রেষ্ঠ অধ্যক্ষ পুরস্কার নিয়ে বির্তক দিঘলিয়ায় মে দিবস পালিত। মে দিবস উপলক্ষে জাতীয় প্রেসক্লাবে বিড়ি শ্রমিকদের র‌্যালি ও সমাবেশ নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ সাইনবোর্ড বাসস্ট্যান্ড তীব্রতাপ প্রভায়ে খাবার পানি ও স্যালাইন বিতরণ

কদর বাড়ছে গরম কাপড়ের

শীত এখনো জেঁকে বসেনি। দিনের বেলা রোদের রাজত্ব শেষে সন্ধ্যা নামতেই বদলে যাচ্ছে তাপমাত্রা। ভোরে কুয়াশার সঙ্গে শীতের আবহ বেশ আঁচ করা যায়। যদিও রোদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে এখনও পেরে ওঠেনি শীত। তবে এরই মধ্যে কদর বাড়তে শুরু করেছে গরম কাপড়ের।

দাম, মান আর দোকান ভেদে বিভিন্ন ধরনের গরম কাপড় পাওয়া যাচ্ছে রাজধানীর দোকানগুলোতে। বিশেষ করে ফুটপাতের ভাসমান দোকানগুলোতে এসব কাপড় বিক্রি হচ্ছে খুব বেশি। উলের তৈরি সোয়েটার, চাদরের সঙ্গে এসেছে ব্লেজার, ছোটদের গরম কাপরের সেট, টুপিসহ আরও অনেক পোশাক।

শুক্রবার (২৭ নভেম্বর) রাজধানীর মৌচাক, মালিবাগ, খিলগাঁও, পল্টন, গুলিস্থান, মতিঝিল এলাকার বিভিন্ন মার্কেট ও ফুটপাত ঘুরে এসব চিত্র দেখা গেছে।

jagonews24

সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, রাজধানীর এসব এলাকার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্রেতার সমাগম হচ্ছে ফুটপাতে। ফুটপাতে ছোটদের পোশাকের চাহিদাই বেশি চোখে পড়ছে। সেই সঙ্গে বিক্রি হচ্ছে বড়দের পোশাকও।

ছেলেদের পোশাকের মধ্যে এসব বাজারে রয়েছে গেঞ্জি বা ট্রাউজারের কাপড় দিয়ে তৈরি হুডি, ফুল হাতা টি-শার্ট, শীতের টুপি, জ্যাকেট, ডেনিম শার্ট, মিক্স স্টাইলের সোয়েটার আর ব্লেজার।

এছাড়া বাজারে এসেছে বিভিন্ন ধরনের কম্বল। নানা ডিজাইনের এসব কম্বল পাওয়া যাচ্ছে ১৫০ থেকে দুই হাজার টাকার মধ্যে। তবে এক্সপোর্ট কম্বলের দাম চাওয়া হচ্ছে চার হাজার থেকে আট হাজার টাকার মধ্যে। কম্বলের দোকানে ক্রেতার আগ্রহ ছিল চোখে পড়ার মতো। তবে ক্রেতাদের অভিযোগ, কম্বলের দাম বেশি বলছেন বিক্রেতারা।

forbos1

মৌচাক এলাকার ক্রেতা হামিদা আজাদ বলেন, শীত ভালোভাবে না আসায় এখন পর্যন্ত গরম কাপড়ের দাম কম আছে। এ সুযোগটি কাজে লাগাতেই মার্কেটে আসা। বেশকিছু কপড় কেনা হয়েছে।

খিলগাঁও বাজারের বিক্রেতা সুমন মিয়া বলেন, আমাদের এখানে গরম কাপেড়ের বিক্রি আগে থেকেই শুরু হয়েছে। বিশেষ করে ছোটদের কাপড়। এখন দাম বাড়তে শুরু করেছে। শীত বেশি হলে কাপড়ের দাম আরও বেড়ে যাবে।

পল্টন এলাকার ফুটপাত ব্যবসায়ী আলী আহমেদ বলেন, প্রতিবছরের মতো এবারও গরম কাপড়ের ব্যবসা করছি। তবে ফুটপাতে জায়গার স্বল্পতা আর সিটি করপোরেশনের বাঁধার কারণে ব্যবসা জমাতে পারছি না। এখন পর্যন্ত বিক্রি বেশ ভালো। ছোটদের পোশাকের পাশাপাশি দাম কম হওয়ায় এখন কম্বল বিক্রি আগের তুলনায় অনেক বেড়েছে।

কম্বলের দামের বিষয়ে তিনি বলেন, ১৫০ থেকে ৮ হাজার টাকার মধ্যে কম্বল মিলছে। তবে এক্সপোর্ট কোয়ালিটির দাম বেশি পড়লেও অন্য বছরের তুলনায় দাম অনেক কম। শীত বেশি হলে আরও দাম বাড়বে বলে জানান তিনি।

সূত্রঃ জাগো নিউজ

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

লোহাগড়া উপজেলা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে প্রতিক বরাদ্দ

কদর বাড়ছে গরম কাপড়ের

আপডেট টাইম ০২:৩৫:৪০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ নভেম্বর ২০২০

শীত এখনো জেঁকে বসেনি। দিনের বেলা রোদের রাজত্ব শেষে সন্ধ্যা নামতেই বদলে যাচ্ছে তাপমাত্রা। ভোরে কুয়াশার সঙ্গে শীতের আবহ বেশ আঁচ করা যায়। যদিও রোদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে এখনও পেরে ওঠেনি শীত। তবে এরই মধ্যে কদর বাড়তে শুরু করেছে গরম কাপড়ের।

দাম, মান আর দোকান ভেদে বিভিন্ন ধরনের গরম কাপড় পাওয়া যাচ্ছে রাজধানীর দোকানগুলোতে। বিশেষ করে ফুটপাতের ভাসমান দোকানগুলোতে এসব কাপড় বিক্রি হচ্ছে খুব বেশি। উলের তৈরি সোয়েটার, চাদরের সঙ্গে এসেছে ব্লেজার, ছোটদের গরম কাপরের সেট, টুপিসহ আরও অনেক পোশাক।

শুক্রবার (২৭ নভেম্বর) রাজধানীর মৌচাক, মালিবাগ, খিলগাঁও, পল্টন, গুলিস্থান, মতিঝিল এলাকার বিভিন্ন মার্কেট ও ফুটপাত ঘুরে এসব চিত্র দেখা গেছে।

jagonews24

সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, রাজধানীর এসব এলাকার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্রেতার সমাগম হচ্ছে ফুটপাতে। ফুটপাতে ছোটদের পোশাকের চাহিদাই বেশি চোখে পড়ছে। সেই সঙ্গে বিক্রি হচ্ছে বড়দের পোশাকও।

ছেলেদের পোশাকের মধ্যে এসব বাজারে রয়েছে গেঞ্জি বা ট্রাউজারের কাপড় দিয়ে তৈরি হুডি, ফুল হাতা টি-শার্ট, শীতের টুপি, জ্যাকেট, ডেনিম শার্ট, মিক্স স্টাইলের সোয়েটার আর ব্লেজার।

এছাড়া বাজারে এসেছে বিভিন্ন ধরনের কম্বল। নানা ডিজাইনের এসব কম্বল পাওয়া যাচ্ছে ১৫০ থেকে দুই হাজার টাকার মধ্যে। তবে এক্সপোর্ট কম্বলের দাম চাওয়া হচ্ছে চার হাজার থেকে আট হাজার টাকার মধ্যে। কম্বলের দোকানে ক্রেতার আগ্রহ ছিল চোখে পড়ার মতো। তবে ক্রেতাদের অভিযোগ, কম্বলের দাম বেশি বলছেন বিক্রেতারা।

forbos1

মৌচাক এলাকার ক্রেতা হামিদা আজাদ বলেন, শীত ভালোভাবে না আসায় এখন পর্যন্ত গরম কাপড়ের দাম কম আছে। এ সুযোগটি কাজে লাগাতেই মার্কেটে আসা। বেশকিছু কপড় কেনা হয়েছে।

খিলগাঁও বাজারের বিক্রেতা সুমন মিয়া বলেন, আমাদের এখানে গরম কাপেড়ের বিক্রি আগে থেকেই শুরু হয়েছে। বিশেষ করে ছোটদের কাপড়। এখন দাম বাড়তে শুরু করেছে। শীত বেশি হলে কাপড়ের দাম আরও বেড়ে যাবে।

পল্টন এলাকার ফুটপাত ব্যবসায়ী আলী আহমেদ বলেন, প্রতিবছরের মতো এবারও গরম কাপড়ের ব্যবসা করছি। তবে ফুটপাতে জায়গার স্বল্পতা আর সিটি করপোরেশনের বাঁধার কারণে ব্যবসা জমাতে পারছি না। এখন পর্যন্ত বিক্রি বেশ ভালো। ছোটদের পোশাকের পাশাপাশি দাম কম হওয়ায় এখন কম্বল বিক্রি আগের তুলনায় অনেক বেড়েছে।

কম্বলের দামের বিষয়ে তিনি বলেন, ১৫০ থেকে ৮ হাজার টাকার মধ্যে কম্বল মিলছে। তবে এক্সপোর্ট কোয়ালিটির দাম বেশি পড়লেও অন্য বছরের তুলনায় দাম অনেক কম। শীত বেশি হলে আরও দাম বাড়বে বলে জানান তিনি।

সূত্রঃ জাগো নিউজ