মোহাম্মদ রফিক কুষ্টিয়া:—
স্বামীর ফোনকল রেকর্ড করার জের শেষ পর্যন্ত গড়ালো গ্রাম্য সংঘর্ষে। প্রাণ হারালেন একজন, আহত বেশ কয়েকজন। কুষ্টিয়ার ভবানীপুরে শনিবার গ্রামের দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ফরিদ ফারাজী পেশায় ছিলেন একজন নিরাপত্তাকর্মী। একপক্ষের হয়ে সংঘর্ষে অংশ নিতে গিয়ে প্রাণ হারান তিনি।
কুষ্টিয়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান তালুকদার জানান, সদর থানার ভবানীপুর গ্রামের দক্ষিণপাড়া মসজিদ এলাকায় ভোরে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়।
দুই পক্ষের বিরোধের শুরু ওই গ্রামের মুদি দোকানি রাশিদুল ইসলামের বাড়ি থেকে। রাশিদুল বিয়ে বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িত- এমন সন্দেহে তার ফোনকল রেকর্ডের পরিকল্পনা করেন স্ত্রী রাজিয়া খাতুন। তিনি একটি মেমোরি কার্ড রাশিদুলের ফোনে স্থাপন করে কল রেকর্ড করেন। কথোপকথনের এই রেকর্ড পরে রাশিদুলের চাচাতো ভাই সারোয়ারের মাধ্যমে গ্রামে ছড়িয়ে পড়ে। এতে সারোয়ারকে মারধর করেন রাশিদুল। তবে সারোয়ারের পক্ষে দাঁড়ান গ্রাম্য মাতবর বাদশা ব্যাপারী ও রিজা মণ্ডলের লোকজন। অন্যদিকে, রাশিদুলের পক্ষ নেন গ্রাম্য মাতবর লাবু শকাতি ও রহিদুল ইসলামের সমর্থকেরা।
শুক্রবার সন্ধ্যায় রিজা মণ্ডলের ছেলেকে মারধর করে প্রতিপক্ষের লোকজন। এর জেরে শনিবার ভোরে সংঘর্ষে জড়ায় দুই পক্ষ।
এসময় রহিদুলের সমর্থক ফরিদ ফরাজীকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। আহত কয়েকজনকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।