লক্ষ্মীপুর জেলা প্রতিনিধি : আমজাদ হোসেন । লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার ১৬নং শাকচর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড রহিম উদ্দিন বেপারী বাড়ির মনির হোসেনের কন্যা জামেলা আক্তার (১৯) গত এক বছর পূর্বে বিয়ের পিঁড়িতে বসেন টুৃমচর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের রিয়াজ উদ্দিন মুন্সি বাড়ীর আবুল কাশেমের পুত্র মেহেদী হাসান হৃদয় ( ২২) এর সাথে । নিয়তির নির্মম পরিহাস! কিছু দিন পার না হতেই শুরু হলো কাল বৈশাখির ঝড় । স্বামী মেহেদী হাসান হৃদয় পরকিয়ায় আসক্ত, মদ, জুয়া, মাদক সেবন থেকে শুরু করে সকল অন্যায় কাজের সাথে সে জড়িত । স্ত্রী জামেলা আক্তার শান্তাকে মারধর ও নির্যাতন ছিলো হৃদয়ের প্রতিদিনের নিত্য নতুন ঘটনা । স্বামী হৃদয়ের অত্যাচারে এক পর্যায়ে অতিষ্ঠ হয়ে আত্মহত্যার পথ বেঁচে নিলেন স্ত্রী জামেলা আক্তার । সরেজমিনে গিয়ে জানা যায় যে, লক্ষ্মীপুর ২১নং টুমচর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড রিয়াজউদ্দিন মুন্সি বাড়ির আবুল কাশেমের ছেলে হৃদয়ের সাথে ইসলামিক শরীয়ত মতে সর্ব সম্মতিক্রমে শুভ বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয় লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার ১৬নং শাকচর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড রহিম উদ্দিন ব্যপারী বাড়ীর মনির হোসেন মিস্টারের কন্যা জামেলা আক্তার শান্তার সাথে । কিছুদিন পর স্বামী হৃদয় পরকিয়া ও মাদকাসক্ত হয়ে পড়ে । বিয়ের কিছুদিন পর নিযার্তন শুরু করে দেন স্ত্রী জামেলার উপর । শ্বশুর-শাশুড়ি ও স্বামীর অমানবিক নির্যাতন চলমান থাকায় গত- (২৯ সেপ্টেম্বর) মঙ্গলবার দুপুরে তার নিজ বাড়িতে ফ্যানের সাথে ওড়না পেছিয়ে আত্মহত্যা করে জামেলা আক্তার শান্তা । স্হানীয় এলাকাবাসী জানায়, স্বামী হৃদয় স্ত্রী জামেলাকে যৌতুকের জন্য চাপ প্রয়োগ করে আসছে । জামেলা আক্তারের বোন জোসনা বেগম কান্না জড়িত হয়ে বলেন, মৃত্যুর আগের দিন আমার বোনকে তার স্বামী মেহেদী হাসান হৃদয় এবং হৃদয়ের বাবা অমানবিক নির্যাতন করে অনেকদিন যাবৎ ঘরে হাত,পা, বেঁধে রেখেছিলো । তখন হৃদয়ের বাড়ি থেকে এক মহিলা ফোন করে আমার মাকে ঘটনাটি অবহিত করেন । এই ঘটনা শুনে আমার মা ও আমার দাদি গিয়ে জামেলাকে উদ্ধার করে আমাদের বাড়িতে নিয়ে আসেন । বাড়িতে নিয়ে আসার পরেই আমার বোন আমাদের ঘরের দরজা বন্ধ করে দিয়ে ফ্যানের সাথে আত্মহত্যা করে । আমি প্রশাসনের কাছে আমার বোনের হত্যার বিচার চায় ।
এ বিষয়ে ১৬নং শাকচর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আবুল কাশেম এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, জামেলার পাষন্ড স্বামী হৃদয় জামেলার উপর অমানবিক নির্যাতন চালাতো । আমি কয়েকবার তাদেরকে সতর্ক করেও কোন লাভ হয় নাই । এ বিষয়ে জামেলার পরিবার প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন । এ বিষয়ে অভিযুক্ত স্বামী হৃদয় এর কাছে জানতে গেলে তাকে পাওয়া যায়নি । এ বিষয়ে লক্ষ্মীপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ.কে. এম আজিজুর রহমান এর কাছে জানতে তাকে একাদিকবার মুঠোফোনে কল করেও পাওয়া যায়নি ।