রেজাউল করিম
নারায়ণগঞ্জ বন্দর উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকায় অবৈধ গ্যাস সংযোগের হিড়িক পড়েছে। কোনোরকম অনুমতি ছাড়া এবং নিম্নমানের পাইপের সাহায্যে সংযোগগুলো স্থাপন করা হচ্ছে। বন্দর উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়ন এর অবৈধ গ্যাস সংযোগের দালাল আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বাচ্চু ও মুসাপুর ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান মাকসুদ ,আগ্রহীদের কাছ থেকে বাসাবাড়ির প্রতিটি লাইন থেকে ৬০,৭০ হাজার টাকা নিয়ে গ্যাস সংযোগ দিয়েছেন অভিযোগ উঠেছে এ ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা এ টাকার বিনিময়ে বৈধ লাইন করে দেবেন এমন আশ্বাস দিয়েছেন ওই এলাকার জনগণকে। ফলে বৈধ সংযোগে আগ্রহ হারাচ্ছে সাধারণ মানুষ। প্রায় প্রতিদিন বন্দর বিভিন্ন এলাকায় তিতাসের সরবরাহকৃত লাইন থেকে সংযোগ স্থাপন করা হচ্ছে।
অভিযোগ রয়েছে, মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে আওয়ামী লীগ নেতা বাচ্চু ও ইউপি চেয়ারম্যান মাকসুদের তত্ত্বাবধানে রাস্তা কেটে অদক্ষ লোক দ্বারা নিম্নমানের পাইপ দিয়ে গ্যাসের মূল লাইন স্থাপন করছে। এসব কারণে অগ্নিকাণ্ডের মতো দুর্ঘটনা ও জীবননাশের ঝুঁকিও বাড়ছে। অনুমোদিত প্রযুক্তি ব্যবহার না করায় বিভিন্ন পাকা সড়কের ক্ষতি হচ্ছে। সড়কের বিভিন্ন স্থান এখন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে উঠেছে।
বন্দর মুছাপুর ইউনিয়নে বিভিন্ন এলাকার কিছু কোয়েল কারখানা বিনা অননুমোদিত এসব সংযোগ দিয়েছেন। সরজমিন দেখা গেছে,
নারায়ণগঞ্জ ৫৫০ অবৈধ গ্যাস নারায়ণগঞ্জে মুছাপুর ইউনিয়ন বিভিন্ন বাসাবাড়িতে নেওয়া অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্টিবিউশন কোম্পানি।২৯,৯,২০২০ মঙ্গলবার নারায়ণগঞ্জ বন্দর উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়ন গোলবাগ(গকুল দাসের বাগ) গ্রামে এলাকায় অভিযান চালায় তিতাস কোম্পানির বন্দর জোনালঅফিস ও বন্দর উপজেলা প্রশাসন।
তিতাসের বন্দরে জোনাল অফিসের উপ-প্রকৌশলী মেজবা রহমান জাতীয় সাপ্তাহিক বিশ্বমিডিয়া কে বলেন, ‘দিনব্যাপী অভিযানে প্রায় ১ কিলোমিটার এলাকার পাঁচ শত পঞ্চাশ বাসা বাড়িতে নেওয়া অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘এ সময় অবৈধ সংযোগে ব্যবহৃত লোহার পাইপ, রাইজার ও বিভিন্ন মালামাল জব্দ করা হয়।এর আগেও এসব এলাকায় অভিযান চালিয়ে অভিযানে অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছিল। কিন্তু, চলমান করোনা মহামারিতে পুনরায় এই এলাকায় গ্যাস সংযোগ দেওয়া হয়।’তিতাসের পক্ষ থেকে অবৈধ সংযোগ গ্রহীতা ও এর সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। তিতাসের কোন কর্মকর্তা ও কর্মচারী সাথে জড়িত থাকলেও তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার সময় এলাকাবাসী ক্ষেপে যান। এলাকাবাসী জানান বৈধ সংযোগ দেওয়ার কথা বলে আওয়ামী লীগ নেতা বাচ্চু আমাদের কাছ থেকে প্রতিটি লাইন থেকে ৭০ হাজার টাকা নিয়েছে। বিষয়টি জানতে বাচ্চুর কাছে গেলে বাচ্চু বিষয়টি স্বীকার করে বলেন আমি টাকা নিয়ে ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাকসুদকে কে দিয়েছি। শত শত এলাকাবাসীর অভিযোগের ভিত্তিতে বন্দর উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শুক্লা সরকার আমি লীগ নেতা বাচ্চুকে গ্রেফতার করেন। বাচ্চু উপরোক্ত বিষয়টি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও এলাকাবাসীর সামনে স্বীকার করেন। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এর নির্দেশে উপ-প্রকৌশলী মেজবা রহমান, বাদী হয়ে আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি বাচ্চুর বিরুদ্ধে ও মুছাপুর ইউনিয়ন ইউপি চেয়ারম্যান মাসুদের বিরুদ্ধে অবৈধ গ্যাস থেকে টাকা আত্মসাতের কারণে মামলা দায়ের করেন।নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শুকরা সরকার জাতীয় সাপ্তাহিক বিশ্ব মিডিয়াকে জানান বাচ্চুর মামলাটি রেগুলার করা হবে এবং এর সাথে যারা জড়িত তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে।