নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ শহীদ জিয়াউর রহমান জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র চাঁদপুর মতলব দক্ষিণ ও উত্তর দুটি উপজেলা নিয়ে চাঁদপুর-২ আসন থেকে বিএনপি’র সাবেক মন্ত্রী মরহুম মোহাম্মদ নুরুল হুদা সাহেব চার বার ভোটে নির্বাচিত হয়েছিলো এমপি এবং দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ছিলেন। এমপি নুরুল হুদা সাহেবের সুযোগ্য সন্তান জননেতা তানবীর হুদার বাবার নৈতিক ও আদর্শের কর্মকান্ড ধরে রাখতে ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেন।কিন্ত’ূ দলীয় মনোনয়ন বাচাইতে তিনি দলীয় চিঠি পেয়েছেন।চুড়ান্ত পর্যায় নমিনেশন পায়নি। একদিকে পিতার আদর্শ অন্য দিকে শহীদ জিয়ার ও দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুল দলের হাল ধরে রাখার জন্য তানবীর হুদা তিনি ছাত্রদল, যুবদল থেকে শুরু করে সকল

নেতাকর্মীদের সাথে মোবাইল মুঠো ফোনে যোগাযোগ থেকে শুরু করে দিনরাত পরিশ্রমের মাধ্যমে বিএনপি সংগঠনকে পিতার রাজনৈতিক আদর্শকে মাথার মুকুট হিসেবে অক্ষরে অক্ষরে পালন করে আসছেন। অন্যদিকে ড. জালাল সাহেব মতলব উত্তর উপজেলায় ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করেন। কিন্তুু সেখানে তিনি তিনশত এগার ভোট পেয়ে ফেল করেন। দ্বিতীয় বারের মত বিএনপি দল থেকে ধানের শীষ প্রতীক না পেয়ে আনারস মার্কা প্রতীক নিয়ে তিনি সম্মানের সাথে পরাজয় বরণ করেন। তৃতীয় বারের মতো ২০১৮ইং সালে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে চাঁদপুর-২ আসনে জাতীয় নির্বাচনে অংশ গ্রহন করেন। কিন্তুু মাঠ পর্যায় না থেকে ঢাকায় অবস্থান করে তিনি বিবৃতি দিলেন ফেইজবুক সোস্যাল মিডিয়াতে তার বসত বাড়ি ভাংচুর করেছে আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীরা। যাহা মিথ্যা বানোয়াট ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত ছিলো প্রার্থীর নিজের সাজানো নিল নক্সার জাল বুনে গোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টায় চালাচ্ছিলেন প্রার্থী নিজেই। চতুর্থ বারের মতো ফেইজ বুক সোস্যাল মিডিয়া ড.জালাল জল্পনা-কল্পনার মধ্যে দিয়ে অর্থ বছর ২০২০ সালের ৩১ জানুয়ারী তারিখে সকল নেতাকর্মীদের সমন্বয় করে বিএনপি’র কমিটি গঠন করিবে বলে ড.জালাল ও সাবেক মেয়র এনামুল হক বাদল, সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সফিকুল ইসলাম সাগর সহ কমিটি অনুমোদন করে আনা হয়। নতুন কমিটি আনার পর থেকে তৃণমুল নেতাকর্মীদের মাঝে কোন্দল সৃষ্টি রেখে নিজ ব্যক্তিগত পকেট কমিটি গঠন করে ফেইজ বুক সোস্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হওয়ায় তৃণমুল নেতাকর্মীদের মাঝে বিতর্কের জড় উঠে। এতে শহীদ জিয়াউর রহমান ও দেশ নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বিএনপি দলের ভাবমূর্তি বিনষ্ট করেছে ড. জালাল। অপর দিকে জননেতা এম.এ.শুক্কুর পাটোয়ারী দু-দুইবার জনগণের ভোটে নির্বাচিত ইউনিয়নের পরিষদের চেয়ারম্যান হয়েছেন এবং মতলব দক্ষিণ উপজেলার সাধারন জনগণের ভোটে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হন তিনি। মতলব দক্ষিণ উপজেলা যুবদলের আহবায়ক এক বার সভাপতি ছিলেন এবং জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি, বর্তমানে বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক ২০১৮ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচন করেন। কিন্তু দলীয় সমর্থন পায়নি। মূলধারার রাজনীতি করে আসছে। মতলব দক্ষিণ পৌরসভার সাবেক প্যানেল মেয়র শাহা গিয়াস ও সাবেক যুগ্ম আহবায়ক পৌর বিএনপি, সাবেক সহ-সাধারণ সম্পাদক পৌর বিএনপি, সাবেক সিনিয়র যুগ্ম- আহবায়ক মতলব পৌর বিএনপি, পদ পদবি নিয়ে বিভিন্ন নেতাকর্মীদের সাথে দুঃখে সুখে থাকা নেতাকর্মীদের পাশে থেকে দলকে চাঙ্গা করার জন্য ও বিএনপি দলকে এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে আসছেন। কিন্তু মোঃ শাহ গিয়াস এর হাতের তুলিতে যা নেতাকর্মী উপস্থিত হবে প্রায় ৩/৪ হাজার। সেই তৃনমূলক নেতার সাথে সমন্বয় না করে, দলের ভার্বমুত্তি নষ্ট করছেন ড. জালাল। এরই মধ্যে ফেইস বুক সোস্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হয় বিএনপি কমিটি গঠন। সেই কমিটি গঠন করাতে তৃনমূলক নেতাকর্মীদের মাঝে কোন্দল সৃষ্টি হচ্ছে। ড. জালাল বিএনপি দলের মধ্যে যদি থাকে, তাহলে দল দিন দিন পিছিয়ে যাবে।