ঢাকা ১১:৫০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
আন্তর্জাতিক মে দিবস পালন করেন নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রাসাদ নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয় রাঙ্গুনিয়ায় চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানে প্রতিদ্বন্দ্বীবিহীন প্রার্থী ভোট হবে ভাইস চেয়ারম্যানের (চার প্রার্থীর মধ্যে দুই প্রার্থীর মনোনয়ন প্রত্যাহার ভোট প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে দুই জনের মধ্যে।) “কেরানীগঞ্জে এক হাজার পথচারীদের মাঝে শরবত বিতরণ করলেন সাংবাদিকরা” লক্ষ্মীপুরে শ্রেষ্ঠ অধ্যক্ষ পুরস্কার নিয়ে বির্তক দিঘলিয়ায় মে দিবস পালিত। মে দিবস উপলক্ষে জাতীয় প্রেসক্লাবে বিড়ি শ্রমিকদের র‌্যালি ও সমাবেশ নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ সাইনবোর্ড বাসস্ট্যান্ড তীব্রতাপ প্রভায়ে খাবার পানি ও স্যালাইন বিতরণ বগুড়া শাজাহানপুরে অসহায় পরিবারের পাশে দাঁড়ালেন ইউএনও “দেশ টিভির সাংবাদিককে লিগ্যাল নোটিশ” বাকেরগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় কলেজ শিক্ষার্থীর পায়ের পাতা বিচ্ছিন্ন।

ঠাকুরগাঁও গড়েয়া রাস্তায় ধানের রোপা লাগিয়ে এলাকা বাসীর ক্ষোভ প্রকাশ

এম এ সালাম রুবেল ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধিঃ
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার গড়েয়া কিসমত তেয়ারীগাও গোপিকান্তপুর গ্রামে দুুই কিলো মিটার চলাচলের একমাত্র রাস্তা নিয়ে ভোগান্তিতে পড়েছে প্রায় পাঁচ শতাধিক কৃষক পরিবারের তিন হাজার লোকজন।
স্থানীয় এলাকাবাসী নূর মোহাম্মদ (জিটু) সাংবাদিকদের জানান, আমরা এই এলাকায় প্রায় তিন হাজার লোক বসবাস করি কিন্তু চলাচলের একটি মাত্র রাস্তা এই রাস্তাটির বেহাল দশা, এই রাস্তার কারনে আমরা কোন মালামাল গড়েয়া হাটে নিয়ে কেনা বেচা করতে পারি না। এমনকি জরুরী রোগী নিয়ে আমরা মহাবিপদে পড়ে গেছি, গর্ভবতী এক মহিলাকে গত ২৬ জুলাই রাত ১২ টায় লাশ নেওয়া খাটিয়ায় করে পাঁকা রাস্তা পর্যন্ত নিয়া ঠাকুরগাঁও সদরে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এমনকি একটি স্টকের রোগী বর্তমানে ঠাকুরগাঁওয়ে ভর্তি আছে তাকেও লাশের খাটিয়ায় করে নিতে হয়েছে। আসলে বর্তমানে এই রাস্তা দিয়ে ভটভটিতে দশ বস্তা ধান নিয়ে গড়েয়া হাটে পৌঁছাতে সময় লাগে তিন থেকে ৪ ঘন্টা অথচ দশ মিনিটের রাস্তা । তিনি ইউপি চেয়ারম্যান, সরকার ও উর্ধতন কতৃপক্ষের নিকট রাস্তা টি দ্রুত পাঁকা করণের দাবি জানান।
এ সময় ৪নং ওয়াড ইউপি সদস্য বেলাল হোসেন রেনু বলেন,আমার এই এলাকার প্রায় দুই হাজার একর জমির আবাদ ও ফসল এই একটি রাস্তা দিয়ে আনা নেওয়া করা হয়।  ব্রিটিশ শাসনের পর থেকে আমাদের এই এলাকায় কোন উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি, ১৯৮৮ সালে দশ ফিট পানির নিচে রাস্তাটি তলিয়ে গিয়েছিলো এবং ২০১৭ সালে ৪ ফিট পানির নিচে রাস্তা টি তলিয়ে যায়। দুখের বিষয় আমি একজন ইউপি সদস্য হয়েও এখন পর্যন্ত বার বার ধর্না দিয়েও ইউনিয়ন পরিষদ, জেলা পরিষদ,উপজেলা পরিষদ বা এমপি মহোদয় কারো কোন সহযোগিতা পাইনি।
এলাকার প্রবীন ব্যক্তি দীনেশ চন্দ্র রায় বলেন আমি একজন অবসর প্রাপ্ত পোস্ট মাষ্টার আমার বয়স ৮৭ বছর এখন পর্যন্ত আমার এলাকায় সরকারি কোন উন্নয়ন চোখে পড়েনি। আমরা সরকারের কাছে আমাদের রাস্তাটির উপর সুদৃষ্টি কামনা করছি।
কৃষক হামিদ বলেন এই রাস্তার জন্য ভ্যান, বা গাড়ি কোন কিছু না পাওয়ায় আমার চার বিঘা মাটির প্রায় দুইশত মন ধান নষ্ট হয়ে গেছে। ধান গুলো হাটে নিয়ে যেতে পারিনি। এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে সরকারের কাছে রাস্তা টি দ্রুত পাঁকা করণের দাবি ও কৃষকদের ভোগান্তির হাত থেকে মুক্ত করবেন।
Tag :

আন্তর্জাতিক মে দিবস পালন করেন নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রাসাদ নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়

ঠাকুরগাঁও গড়েয়া রাস্তায় ধানের রোপা লাগিয়ে এলাকা বাসীর ক্ষোভ প্রকাশ

আপডেট টাইম ০৫:২৮:৫৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ অগাস্ট ২০২০
এম এ সালাম রুবেল ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধিঃ
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার গড়েয়া কিসমত তেয়ারীগাও গোপিকান্তপুর গ্রামে দুুই কিলো মিটার চলাচলের একমাত্র রাস্তা নিয়ে ভোগান্তিতে পড়েছে প্রায় পাঁচ শতাধিক কৃষক পরিবারের তিন হাজার লোকজন।
স্থানীয় এলাকাবাসী নূর মোহাম্মদ (জিটু) সাংবাদিকদের জানান, আমরা এই এলাকায় প্রায় তিন হাজার লোক বসবাস করি কিন্তু চলাচলের একটি মাত্র রাস্তা এই রাস্তাটির বেহাল দশা, এই রাস্তার কারনে আমরা কোন মালামাল গড়েয়া হাটে নিয়ে কেনা বেচা করতে পারি না। এমনকি জরুরী রোগী নিয়ে আমরা মহাবিপদে পড়ে গেছি, গর্ভবতী এক মহিলাকে গত ২৬ জুলাই রাত ১২ টায় লাশ নেওয়া খাটিয়ায় করে পাঁকা রাস্তা পর্যন্ত নিয়া ঠাকুরগাঁও সদরে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এমনকি একটি স্টকের রোগী বর্তমানে ঠাকুরগাঁওয়ে ভর্তি আছে তাকেও লাশের খাটিয়ায় করে নিতে হয়েছে। আসলে বর্তমানে এই রাস্তা দিয়ে ভটভটিতে দশ বস্তা ধান নিয়ে গড়েয়া হাটে পৌঁছাতে সময় লাগে তিন থেকে ৪ ঘন্টা অথচ দশ মিনিটের রাস্তা । তিনি ইউপি চেয়ারম্যান, সরকার ও উর্ধতন কতৃপক্ষের নিকট রাস্তা টি দ্রুত পাঁকা করণের দাবি জানান।
এ সময় ৪নং ওয়াড ইউপি সদস্য বেলাল হোসেন রেনু বলেন,আমার এই এলাকার প্রায় দুই হাজার একর জমির আবাদ ও ফসল এই একটি রাস্তা দিয়ে আনা নেওয়া করা হয়।  ব্রিটিশ শাসনের পর থেকে আমাদের এই এলাকায় কোন উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি, ১৯৮৮ সালে দশ ফিট পানির নিচে রাস্তাটি তলিয়ে গিয়েছিলো এবং ২০১৭ সালে ৪ ফিট পানির নিচে রাস্তা টি তলিয়ে যায়। দুখের বিষয় আমি একজন ইউপি সদস্য হয়েও এখন পর্যন্ত বার বার ধর্না দিয়েও ইউনিয়ন পরিষদ, জেলা পরিষদ,উপজেলা পরিষদ বা এমপি মহোদয় কারো কোন সহযোগিতা পাইনি।
এলাকার প্রবীন ব্যক্তি দীনেশ চন্দ্র রায় বলেন আমি একজন অবসর প্রাপ্ত পোস্ট মাষ্টার আমার বয়স ৮৭ বছর এখন পর্যন্ত আমার এলাকায় সরকারি কোন উন্নয়ন চোখে পড়েনি। আমরা সরকারের কাছে আমাদের রাস্তাটির উপর সুদৃষ্টি কামনা করছি।
কৃষক হামিদ বলেন এই রাস্তার জন্য ভ্যান, বা গাড়ি কোন কিছু না পাওয়ায় আমার চার বিঘা মাটির প্রায় দুইশত মন ধান নষ্ট হয়ে গেছে। ধান গুলো হাটে নিয়ে যেতে পারিনি। এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে সরকারের কাছে রাস্তা টি দ্রুত পাঁকা করণের দাবি ও কৃষকদের ভোগান্তির হাত থেকে মুক্ত করবেন।