ঢাকা ০৯:২১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ফুটপাত উদ্ধার করতে হবে: মেয়র রেজাউল আন্তর্জাতিক মে দিবস পালন করেন নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রাসাদ নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয় রাঙ্গুনিয়ায় চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানে প্রতিদ্বন্দ্বীবিহীন প্রার্থী ভোট হবে ভাইস চেয়ারম্যানের (চার প্রার্থীর মধ্যে দুই প্রার্থীর মনোনয়ন প্রত্যাহার ভোট প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে দুই জনের মধ্যে।) “কেরানীগঞ্জে এক হাজার পথচারীদের মাঝে শরবত বিতরণ করলেন সাংবাদিকরা” লক্ষ্মীপুরে শ্রেষ্ঠ অধ্যক্ষ পুরস্কার নিয়ে বির্তক দিঘলিয়ায় মে দিবস পালিত। মে দিবস উপলক্ষে জাতীয় প্রেসক্লাবে বিড়ি শ্রমিকদের র‌্যালি ও সমাবেশ নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ সাইনবোর্ড বাসস্ট্যান্ড তীব্রতাপ প্রভায়ে খাবার পানি ও স্যালাইন বিতরণ বগুড়া শাজাহানপুরে অসহায় পরিবারের পাশে দাঁড়ালেন ইউএনও “দেশ টিভির সাংবাদিককে লিগ্যাল নোটিশ”

নীলফামারীতে পানির দরে বিক্রি হচ্ছে চামড়া

শাহজাহান আলী মনন, সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধিঃ নীলফামারী জেলার গ্রামাঞ্চলে ঘুর ঘুরে কম মূল্যে চামড়া কিনেও বিক্রি করতে গিয়ে লোকসান হওয়ার দাবি করেছেন মৌসুমী ব্যাবসায়ীরা। গরুর চামড়া ১০০ থেকে সর্বোচ্চ ২০০ টাকা ও ছাগলের চামড়া বিক্রি হয়েছে ৩০ থেকে ৪০ টাকায়।

শনিবার (০১ আগস্ট) সকালে সরকারি স্বাস্থ্যবিধি মেনেই জেলা শহর ও উপজেলা গুলোতে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। তবে সকালে বৃষ্টির কারণে জামাতে কিছুটা বিঘ্ন সৃষ্টি হয়। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে নামাজ আদায় করা হয়।

নীলফামারী জেলা প্রশাসক মোঃ হাফিজুর রহমান চৌধুরী জানান, মসজিদে মসজিদে ঈদের জামাতের জন্য আগেই নির্দেশনা দিয়ে প্রতিটি সুরক্ষা সামগ্রী দেওয়া হয়েছিল। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় তৎপর ছিল পুলিশ ও আনসার বাহিনী। ফলে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।

এদিকে, কোরবানির চামড়া নিয়ে চরম বিপাকে পড়েন অনেকে। দাম নেই, ক্রেতাও নেই। ফলে অনেকে বাধ্য হয়ে বড় গরুর চামড়া ২০০ টাকা ও ছোট গরুর চামড়া মাত্র ১০০ টাকায় বিক্রি করেছেন। ছাগলের চামড়া কেনা-বেচা হয়েছে মাত্র ৩০ থেকে ৪০ টাকায়।জেলার সদরের ডাক বাংলো এলাকার মোঃ সাহিদ ইসলাম বলেন, তিনজন মিলে ৭৫ হাজার টাকার গরু কোরবানি দিয়েছিলাম। চামড়া বিক্রি করেছি মাত্র ৩শ টাকায়। চামড়ার মুল্য পানির দরে হওয়ায় অনেকে চামড়া এতিম খানায় দান করেছেন।

ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম বলেন, এক লাখ ৫ হাজার টাকার গরুর চামড়া যদি ৩০০ টাকা বলে তাহলে কেমন লাগে বলেন, সরকার যে দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে সেই অনুযায়ী এই চামড়ার দাম হয় সর্বনিম্ন এক হাজার ৩০০ টাকা। তাহলে এত কম দামে কেন চামড়া বিক্রি করব? এই কারণে এতিমখানায় চামড়া দিয়ে দিয়েছি। ছাত্ররা এসে নিয়ে গেছে।জেলার জলঢাকা উপজেলার মোঃ জোবায়দুল ইসলাম বলেন, আগে মৌসুমী ব্যবসায়ীরা চামড়া কেনার জন্য আসত। চামড়া নেয়ার জন্য কাড়াকাড়ি করত। গত দুই বছর যাবত চামড়া ব্যবসায় তাদের লোকসান গুনতে হয়েছে। ফলে চামড়া বিক্রির জন্য কোন লোক পাইনি। মসজিদের হুজুরের কাছ থেকে নম্বর নিয়ে মাদরাসায় ফোন দিলাম। তারা এসে নিয়ে গেছে। চামড়া গরিবের হক। এতিমখানায় গরিব ছেলে পড়া লেখা করে তাদের জন্যই দান করে দিলাম।এবছরও চামড়ার দাম কমে যাওয়ায় আলেম সমাজ ক্ষোভ ও হতাশা প্রকাশ করেছেন। তারা অনেকে বিভিন্ন পরিবহনে করে চামড়া সংগ্রহ করে পাইকারি বাজারে নিয়ে বিক্রি করার সময় দাম দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এতে যানবাহনের ভাড়াও উঠছে না।

Tag :

ফুটপাত উদ্ধার করতে হবে: মেয়র রেজাউল

নীলফামারীতে পানির দরে বিক্রি হচ্ছে চামড়া

আপডেট টাইম ১০:০৩:২২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ অগাস্ট ২০২০

শাহজাহান আলী মনন, সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধিঃ নীলফামারী জেলার গ্রামাঞ্চলে ঘুর ঘুরে কম মূল্যে চামড়া কিনেও বিক্রি করতে গিয়ে লোকসান হওয়ার দাবি করেছেন মৌসুমী ব্যাবসায়ীরা। গরুর চামড়া ১০০ থেকে সর্বোচ্চ ২০০ টাকা ও ছাগলের চামড়া বিক্রি হয়েছে ৩০ থেকে ৪০ টাকায়।

শনিবার (০১ আগস্ট) সকালে সরকারি স্বাস্থ্যবিধি মেনেই জেলা শহর ও উপজেলা গুলোতে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। তবে সকালে বৃষ্টির কারণে জামাতে কিছুটা বিঘ্ন সৃষ্টি হয়। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে নামাজ আদায় করা হয়।

নীলফামারী জেলা প্রশাসক মোঃ হাফিজুর রহমান চৌধুরী জানান, মসজিদে মসজিদে ঈদের জামাতের জন্য আগেই নির্দেশনা দিয়ে প্রতিটি সুরক্ষা সামগ্রী দেওয়া হয়েছিল। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় তৎপর ছিল পুলিশ ও আনসার বাহিনী। ফলে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।

এদিকে, কোরবানির চামড়া নিয়ে চরম বিপাকে পড়েন অনেকে। দাম নেই, ক্রেতাও নেই। ফলে অনেকে বাধ্য হয়ে বড় গরুর চামড়া ২০০ টাকা ও ছোট গরুর চামড়া মাত্র ১০০ টাকায় বিক্রি করেছেন। ছাগলের চামড়া কেনা-বেচা হয়েছে মাত্র ৩০ থেকে ৪০ টাকায়।জেলার সদরের ডাক বাংলো এলাকার মোঃ সাহিদ ইসলাম বলেন, তিনজন মিলে ৭৫ হাজার টাকার গরু কোরবানি দিয়েছিলাম। চামড়া বিক্রি করেছি মাত্র ৩শ টাকায়। চামড়ার মুল্য পানির দরে হওয়ায় অনেকে চামড়া এতিম খানায় দান করেছেন।

ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম বলেন, এক লাখ ৫ হাজার টাকার গরুর চামড়া যদি ৩০০ টাকা বলে তাহলে কেমন লাগে বলেন, সরকার যে দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে সেই অনুযায়ী এই চামড়ার দাম হয় সর্বনিম্ন এক হাজার ৩০০ টাকা। তাহলে এত কম দামে কেন চামড়া বিক্রি করব? এই কারণে এতিমখানায় চামড়া দিয়ে দিয়েছি। ছাত্ররা এসে নিয়ে গেছে।জেলার জলঢাকা উপজেলার মোঃ জোবায়দুল ইসলাম বলেন, আগে মৌসুমী ব্যবসায়ীরা চামড়া কেনার জন্য আসত। চামড়া নেয়ার জন্য কাড়াকাড়ি করত। গত দুই বছর যাবত চামড়া ব্যবসায় তাদের লোকসান গুনতে হয়েছে। ফলে চামড়া বিক্রির জন্য কোন লোক পাইনি। মসজিদের হুজুরের কাছ থেকে নম্বর নিয়ে মাদরাসায় ফোন দিলাম। তারা এসে নিয়ে গেছে। চামড়া গরিবের হক। এতিমখানায় গরিব ছেলে পড়া লেখা করে তাদের জন্যই দান করে দিলাম।এবছরও চামড়ার দাম কমে যাওয়ায় আলেম সমাজ ক্ষোভ ও হতাশা প্রকাশ করেছেন। তারা অনেকে বিভিন্ন পরিবহনে করে চামড়া সংগ্রহ করে পাইকারি বাজারে নিয়ে বিক্রি করার সময় দাম দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এতে যানবাহনের ভাড়াও উঠছে না।