স্টাফ রিপোর্টার: মোঃ ছিদ্দিকুর রহমান (রিজন)।জাতীয় দৈনিক মাতৃভূমির খবর। দেশের অন্যতম দীর্ঘ নৌরুট ঢাকা-বরগুনা নৌ পথে প্রথমবারের মতো চালু হতে যাচ্ছে আধুনিক ও বিলাসবহুল লঞ্চ।
লঞ্চটি নির্মাণ করেছে দেশের অন্যতম শীর্ষ একটি নৌযান প্রস্ততকারী প্রতিষ্ঠান নাম রাখা হয়েছে এম.ভি রাজারহাট-বি।
এম.ভি রাজারহাট-বি লঞ্চটি আধুনিক সাজসজ্জা, নির্মাণশৈলী ও প্রযুক্তির দিক দিয়ে অতীতে চলা লঞ্চগুলোকে হার মানাবে।
এ লঞ্চটিতে যাত্রীদের জন্য রাখা হয়েছে নানা ব্যবস্থা। নামাজের স্থান,ক্যাফে, রেস্টুরেন্ট, ওয়াইফাই সুবিধাসহ বিনোদনের নানা ব্যবস্থা রাখা হয়েছে প্রযুক্তি নির্ভর এই লঞ্চে।
নিরাপত্তার জন্য পুরো নৌযানটি সিসি ক্যামেরা সংযুক্ত করা হয়েছে।সশস্ত্র আনসার সদস্যরা লঞ্চে যাত্রীদের নিরাপত্তায় দায়িত্ব পালন করবেন।
এদিকে দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর অবশেষে নদী পথে চলাচলের জন্য বৃহস্পতিবার (২৩ জুলাই) বিকেলে ঢাকা থেকে বিলাসবহুল এম.ভি রাজারহাট-বি লঞ্চ টির উদ্বোধন করা হয়।আজ শুক্রবার বিকাল থেকে বহুল প্রতীক্ষিত এম.ভি রাজারহাট-বি লঞ্চটিতে ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা করতে পারবে বরগুনাবাসী।
লঞ্চটির যাত্রী ধারণক্ষমতা ৬ শতাধিকের মত। এছাড়াও ৩ শতাধিক টন পণ্য পরিবহনের সক্ষমতা রয়েছে নৌযানটির। লঞ্চটির সবচেয়ে আকর্ষণীয় দিক হচ্ছে এর অন্দরসজ্জা। রকমারি বৈদ্যুতিক আলোকসজ্জা দিয়ে আলোকিত করা হয়েছে। লঞ্চের প্রতিটি কেবিনে দৃষ্টিনন্দন আসবাবপত্র দিয়ে সাজানো হয়েছে।বাতানুকূল প্রথম শ্রেণী ও ভিআইপি কক্ষসহ ডেক যাত্রীদের জন্য পর্যাপ্ত আলো ও বাতাস নিশ্চিতকরনে ২টি জেনারেটর। একটি স্ট্যান্ডবাই জেনারেটরও সংযোজন করা হয়েছে।
লঞ্চটিতে আধুনিক রাডার ছাড়াও জিপিএস পদ্ধতি রয়েছে। ফলে চলাচলরত ১ বর্গ কিলোমিটারের মধ্যে গভীরতা ছাড়াও এর আশপাশের অন্য যেকোনো নৌযানের উপস্থিতি চিহ্নিত করতে পারবে।এমনকি ঘন কুয়াশার মধ্যেও নৌযানটি নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারবে বলে।