ঢাকা ০৮:২১ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সিলেটে আগাম বন্যার আশঙ্কায়!! হাওরজুড়ে কৃষকের ব্যস্ততা শিশুদের মনোবিকাশে প্রয়োজন সংস্কৃতি চর্চা: মেয়র রেজাউল উপজেলা পরিষদ নির্বাচন হাতীবান্ধায় নির্বাচনী সংঘর্ষে চেয়ারম্যান প্রার্থী সহ আহত ১০ ভূয়া নিয়োগপত্র দিয়ে টাকা হাতিয়ে নেয়ার, প্রতারক চক্রের এক সদস্য গ্রেপ্তার প্রথম দিনেই রোগী দেখে সবার মন জয় করেলেন ডাক্তার মোঃ হুমায়ুন রশিদ শাকিল বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষে বগুড়া জেলা আরজেএফ’র সুপেয় পানি স্যালাইন ও বিস্কুট বিতরণ দুমকীতে খাল সংস্কার প্রকল্পে অনিয়মসহ শত শতগাছ উপড়ে ফেলার অভিযোগ। বাকেরগঞ্জ বাসীর উন্নয়নমুলক সকল প্রত্যাশা পুরনে কাজ করব। ৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷ রাজীব আহমেদ তালুকদার। দেশ জুরে শুরু হয়েছে ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। মুরাদনগর উপজেলা মোট-১৭ জন প্রার্থী মনোনয়ন পত্র দাখিল করেন। টাঙ্গাইলে এইচআইভি ও এইডস রোগের সচেতনতা সৃষ্টিতে কর্মশালা অনুষ্ঠিত

নদীর তীর ঘেঁসে মেঘনায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগ

জাতীয় দৈনিক মাতৃভূমির খবর, কুমিল্লা উত্তর জেলা প্রতিনিধি, মনির খান: কুমিল্লার মেঘনা উপজেলায় নদীর তীর ঘেঁসে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে। আজ সোমবার সরেজমিনে গিয়ে অনুসন্ধানে জানা যায় বালু উত্তোলনের নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে রাতের আধারে নদীর তীর ঘেঁসে বালু উত্তোলন করে নিচ্ছে ইজারাদাররা। এতে করে নদীর তীরের গ্রাম গুলি নদীতে বিলিন হয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় নিরঘুম রাত কাটাচ্ছে নদীর পাড়ের গ্রামবাসী। অনুসন্ধানে আরো জানা যায় উপজেলার নলচর ও মইষারচর দুইটি বালু মহাল রয়েছে এর মধ্যে নলচর এলাকায় বালু উত্তোলনের ইজারা পান মেসার্স ভূইয়া এন্টারপ্রাইজ এবং মইষারচর এলাকায় বালু উত্তোলনের ইজারা পায় নার্গিস এন্টারপ্রাইজ। ইজারায় উল্লোখিত এলাকা থেকে তারা বালু উত্তোলন না করে তারা তাদের উত্তোলন খরচ কমাতে এবং অতিরিক্ত বালু তুলতে রাতের আধারে নদীর তীরে চলে আসে বলে এলাকাবাসী জানায়। তবে সরেজমিনে গিয়ে অভিযুক্ত এলাকায় কোনো ড্রেজার পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে ইজারাদার কাইয়ুম হোসেন বলেন আমরা নির্দৃষ্ট এলাকা থেকে বালু উত্তোলন করে আসছি,এতে কারো ক্ষতি হচ্ছেনা।অপর ইজারাদার লতিফ চেয়ারম্যানকে তার ব্যহৃত মোবাইলে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মিলন সরকার বলেন ইজারাদাররা রাতের আধারে সোনাকান্দা এলাকায় ও মইষারচর,রাম প্রসাদেরচর এসে বালু উত্তোলন করে এতে করে নদীর তীরের গ্রাম গুলি ভাঙ্গনের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। তিনি ইজারাদারদের প্রতি অনুরোধ করে বলেন যেখানে ইজারা দেওয়া হয়েছে সেখান থেকেই যেনো বালু উত্তোলন করা হয়। মেঘনা থানার ওসি আব্দুল মজিদ বলেন তারা বালু উত্তোলনের জন্য সরকার থেকে ইজারা এনেছে তবে তারা নদীর তীরে চলে আসে এমন খবর পেয়ে আমরা ঘটনা স্থলে গিয়ে তাদেরকেও পাইনা এবং কোন ড্রেজার ও পাইনা। উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফুল্লাহ মিয়া রতন শিকদার বলেন যারা ইজারাদার তারা কোটি টাকা খরচ করে ইজারা আনে এবং তাদেরকে একটি নির্দৃষ্ট এড়িয়া থেকে বালু উত্তোলনের নির্দেশ দেয়া হয়,কিন্তু তারা ওই নির্দৃষ্ট এলাকা ছেড়ে নদীর তীরে চলে আসে। এতে করে নদীর পাড়ের গ্রাম গুলি ভাঙ্গনের আশঙ্কা থাকে,যাতে করে বালু উত্তোলনের ফলে কোনো গ্রামের ক্ষতি না হয় এবং ইজারাদাররা যেনো তাদের নির্দৃষ্ট এলাকা থেকে বালু উত্তোলন করে আমি প্রশাসনকে নিয়ে সেই চেষ্টা করে যাচ্ছি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও) প্রবীর কুমার রায় বলেন আমি এখানে যোগদান করেছি ৫ মাস হয়,যোগদানের পর থেকেই মৌখিক অভিযোগ শুনে আসছি কিন্তু আমরা সরেজমিনে গিয়ে বালু উত্তোলনকারী ড্রেজার পাইনা এবং কোনো ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার লিখিত অভিযোগ করেনি যদি কোনো ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার লিখিত অভিযোগ করে তাহলে আমি প্রশাসনিকভাবে ব্যবস্থা নিবো।
Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

সিলেটে আগাম বন্যার আশঙ্কায়!! হাওরজুড়ে কৃষকের ব্যস্ততা

নদীর তীর ঘেঁসে মেঘনায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগ

আপডেট টাইম ১২:৩৫:৫১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ জুলাই ২০২০
জাতীয় দৈনিক মাতৃভূমির খবর, কুমিল্লা উত্তর জেলা প্রতিনিধি, মনির খান: কুমিল্লার মেঘনা উপজেলায় নদীর তীর ঘেঁসে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে। আজ সোমবার সরেজমিনে গিয়ে অনুসন্ধানে জানা যায় বালু উত্তোলনের নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে রাতের আধারে নদীর তীর ঘেঁসে বালু উত্তোলন করে নিচ্ছে ইজারাদাররা। এতে করে নদীর তীরের গ্রাম গুলি নদীতে বিলিন হয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় নিরঘুম রাত কাটাচ্ছে নদীর পাড়ের গ্রামবাসী। অনুসন্ধানে আরো জানা যায় উপজেলার নলচর ও মইষারচর দুইটি বালু মহাল রয়েছে এর মধ্যে নলচর এলাকায় বালু উত্তোলনের ইজারা পান মেসার্স ভূইয়া এন্টারপ্রাইজ এবং মইষারচর এলাকায় বালু উত্তোলনের ইজারা পায় নার্গিস এন্টারপ্রাইজ। ইজারায় উল্লোখিত এলাকা থেকে তারা বালু উত্তোলন না করে তারা তাদের উত্তোলন খরচ কমাতে এবং অতিরিক্ত বালু তুলতে রাতের আধারে নদীর তীরে চলে আসে বলে এলাকাবাসী জানায়। তবে সরেজমিনে গিয়ে অভিযুক্ত এলাকায় কোনো ড্রেজার পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে ইজারাদার কাইয়ুম হোসেন বলেন আমরা নির্দৃষ্ট এলাকা থেকে বালু উত্তোলন করে আসছি,এতে কারো ক্ষতি হচ্ছেনা।অপর ইজারাদার লতিফ চেয়ারম্যানকে তার ব্যহৃত মোবাইলে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মিলন সরকার বলেন ইজারাদাররা রাতের আধারে সোনাকান্দা এলাকায় ও মইষারচর,রাম প্রসাদেরচর এসে বালু উত্তোলন করে এতে করে নদীর তীরের গ্রাম গুলি ভাঙ্গনের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। তিনি ইজারাদারদের প্রতি অনুরোধ করে বলেন যেখানে ইজারা দেওয়া হয়েছে সেখান থেকেই যেনো বালু উত্তোলন করা হয়। মেঘনা থানার ওসি আব্দুল মজিদ বলেন তারা বালু উত্তোলনের জন্য সরকার থেকে ইজারা এনেছে তবে তারা নদীর তীরে চলে আসে এমন খবর পেয়ে আমরা ঘটনা স্থলে গিয়ে তাদেরকেও পাইনা এবং কোন ড্রেজার ও পাইনা। উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফুল্লাহ মিয়া রতন শিকদার বলেন যারা ইজারাদার তারা কোটি টাকা খরচ করে ইজারা আনে এবং তাদেরকে একটি নির্দৃষ্ট এড়িয়া থেকে বালু উত্তোলনের নির্দেশ দেয়া হয়,কিন্তু তারা ওই নির্দৃষ্ট এলাকা ছেড়ে নদীর তীরে চলে আসে। এতে করে নদীর পাড়ের গ্রাম গুলি ভাঙ্গনের আশঙ্কা থাকে,যাতে করে বালু উত্তোলনের ফলে কোনো গ্রামের ক্ষতি না হয় এবং ইজারাদাররা যেনো তাদের নির্দৃষ্ট এলাকা থেকে বালু উত্তোলন করে আমি প্রশাসনকে নিয়ে সেই চেষ্টা করে যাচ্ছি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও) প্রবীর কুমার রায় বলেন আমি এখানে যোগদান করেছি ৫ মাস হয়,যোগদানের পর থেকেই মৌখিক অভিযোগ শুনে আসছি কিন্তু আমরা সরেজমিনে গিয়ে বালু উত্তোলনকারী ড্রেজার পাইনা এবং কোনো ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার লিখিত অভিযোগ করেনি যদি কোনো ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার লিখিত অভিযোগ করে তাহলে আমি প্রশাসনিকভাবে ব্যবস্থা নিবো।