মাতৃভূমির খবর ডেস্ক:  জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের বিভাগীয় সমাবেশ আজ বন্দরনগরী চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। শনিবার দুপুরে ২টা থেকে এ সমাবেশ শুরু হবে। এরই মধ্যে সকালে ঢাকা থেকে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নেতৃত্বে স্থায়ী কমিটির সদস্যসহ ঊর্ধ্বতন নেতারা চট্টগ্রামে এসে পৌঁছেছেন।

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে নগরীর লালদীঘি ময়দানের সমাবেশের জন্য এক সপ্তাহ আগে অনুমতি চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) সমাবেশের একদিন আগে গতকাল শুক্রবার দুপুরে ২৫ শর্তে সমাবেশের অনুমতি দেয়। তবে সেটি লালদীঘি ময়দান নয়, বরং নগরীর কাজীর দেউড়ির নগর বিএনপির কার্যালয়ের সামনে।

এ নিয়ে ক্ষোভও প্রকাশ করেছেন বিএনপি নেতারা। যদিও সমাবেশের স্থানের অনুমতি পেতে বিলম্ব হওয়ায় প্রচারের সুযোগ না পেলেও জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে কর্মসূচিতে যোগ দেবেন বলে আশা করেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন।

ঐক্যফ্রন্ট চট্টগ্রামের সমন্বয়ক বিএনপি এই নেতা জানান, বিএনপি নেতারা ছাড়াও আজকের সমাবেশে গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন, জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্নাসহ ঐক্যফ্রন্টের কেন্দ্রীয় নেতারা অংশ নেবেন।

এ দিকে সমাবেশের অনুমতির পর গতকাল দলীয় কার্যালয়ে নেতাকর্মীদের নিয়ে প্রস্তুতি সভার আয়োজন করে ঐক্যফ্রন্ট। এ সময় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, বরকত উল্লাহ বুলু বক্তব্য দেন।

সম্প্রতি বিএনপি, গণফোরাম, নাগরিক ঐক্য ও জেএসডির সমন্বয়ে সরকারবিরোধী জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠিত হয়েছে। গত ২৪ অক্টোবর সিলেটে হযরত শাহজালাল (র.) ও শাহপরান (রহ)-এর মাজার জিয়ারত ও সেখানে জনসভার মধ্য দিয়ে ঐক্যফ্রন্টের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়। জনসভায় নিরপেক্ষ সরকারের দাবি আদায়, ভোটের আগে সংসদ ভেঙে দেওয়া, নির্বাচনে বিচারিক ক্ষমতা দিয়ে সেনা মোতায়েনসহ সাত দফা দাবি জানান জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতারা।

সিলেটে জনসভার আগে অন্তত ১০ নেতাকর্মীকে পুলিশ আটক করে নিয়ে গেছে বলে দাবি করেছিল বিএনপি। চট্টগ্রামের সমাবেশের প্রস্তুতিসভার পর গত ২২ অক্টোবর বিএনপির বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহাবুবুর রহমান শামীম ও নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসেম বক্করকে আটক করা হয়।