ঢাকা ০৬:২৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে মাতুয়াইলে বাস ও পিকআপ মুখোমুখি সংঘর্ষে ২ জন নিহত ও আহত ২ লালমনিরহাট জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কে শপথ বাক্য পাঠ করালেন প্রধানমন্ত্রী বরিশালে সার্বজনীন পেনশন মেলা ২০২৪ উদ্বোধন হিরাঝীলে বিশ্বাস মঞ্জিল নামের একটি বিল্ডিং হেলে পড়ে,নিরাপত্তাহীনতায় এলাকাবাসী বাকেরগঞ্জে ভাইস চেয়ারম্যান পদে জন প্রিয়তার শীর্ষে সাইফুল ইসলাম ডাকুয়া। বাকেরগঞ্জে যুবদল সভাপতি টুকুর মুক্তির দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল বাকেরগঞ্জে চারটি দোকান ভাংচুর, লুটপাটের অভিযোগ। গাছবাড়ীয়া সাব-রেজিষ্ট্রার অফিসের সমম্বয় সমিতি’র নির্বাচন অনুষ্ঠিত- সভাপতি ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক ফখরু উদ্দিন বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে খুলনার ফুলতলায় তিন দিনব্যাপী অনুষ্ঠানসূচি। –চোরাইকৃত ১৪টি ইজিবাইক উদ্ধারসহ আটক চোর চক্রের পলাতক তিনজন সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০; চোরাইকৃত আরো তিনটি ইজিবাইক এবং চুরির কাজে ব্যবহৃত একটি মোটরসাইকেল জব্দ।

ক্রমেই অবনতি হচ্ছে সিরাজগঞ্জের বন্যা পরিস্থিতি

নাজমুল হোসেন (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ
সিরাজগঞ্জে নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত  থাকায় জেলার নদী অববাহিকার ৫টি উপজেলার নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চলের বন্যা পরিস্হিতি  আরও অবনতি হয়েছে। অনেক স্হানে নদী ভাঙন ও বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ উঁপচে নদীর পানি  তীব্র  গতিতে  নিম্নাঞ্চলে  প্রবেশ করে মানুষের বাড়ীঘর, ফসলি  জমি পানিতে ডুবে গেছে। অনেকেই  বাড়ি-ঘর অন্যত্র সরিয়ে  নিয়েছে। সহায়সম্বল হারিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে বন্যায়  ক্ষতিগ্রস্ত অসহায়  মানুষেরা।
গত ২৪ ঘন্টায়  সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষা বাঁধের হার্ডপয়েন্টে যমুনা নদীর পানি  ৬ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বুধবার  সকাল ৬ টায় বিপদসীমার ৪৮ সেন্টিমিটার  ওপর দিয়ে প্রবাহিত  হচ্ছিল।  একই সময় কাজিপুর পয়েন্টে যমুনা নদীর পানি ১ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার  ৭০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।
তবে আগামী ৪৮ ঘন্টা যমুনা নদীর পানি স্হিতিশীল থাকতে পারে বলে জানিয়েছেন বন্যা পূর্বাভাস  ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র।
এ দিকে যমুনা নদীর পানি অব্যাহতভাবে বৃদ্ধি পেয়ে টানা চারদিন বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় সিরাজগঞ্জ সদর,কাজিপুর, বেলকুচি, চৌহালী ও শাহজাদপুর উপজেলার লক্ষাধিক পানিবন্দি মানুষের ঘর-বাড়িতে ঢেউ খেলছে বন্যার পানি।  রাস্তাঘাট পানির নিচে তলিয়ে থাকায় বন্যা কবলিত মানুষদের নৌকা ও কলাগাছের ভেলায় করে চলাচল করতে হচ্ছে।  যারা ঘর বাড়ি ছেড়ে বাঁধ ও উঁচু স্হানে আশ্রয় নিয়েছে তাদেরকেমখাদ্য,বিশুদ্ধ পানি ও জ্বালানির অভাবে নিদারুণ  কষ্ট ভোগ করতে হচ্ছে ।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আব্দুর রহিম জানান, ‘বন্যায় পাঁচটি উপজেলার ৩১টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ২শ ১৬টি গ্রামের ২৪ হাজার ৯শ ২৪টি পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ২শ ৮০টি ঘরবাড়ি আংশিক, ২২টি শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ১৬ দশমিক ৫ কিলোমিটার রাস্তা ও বাঁধ এবং প্রায় আড়াই হাজার হেক্টর জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বন্যা কবলিত মানুষের মধ্যে ১২৫ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।’
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক হাবিবুল ইসলাম বলেন, ‘যমুনা নদীতে পানি বাড়ার কারণে নদীবেষ্টিত জেলার কাজীপুর, সদর, বেলকুচি, শাহজাদপুর ও চৌহালী উপজেলায় ২৫২০ হেক্টর জমির পাট ও তিল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।###
Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে মাতুয়াইলে বাস ও পিকআপ মুখোমুখি সংঘর্ষে ২ জন নিহত ও আহত ২

ক্রমেই অবনতি হচ্ছে সিরাজগঞ্জের বন্যা পরিস্থিতি

আপডেট টাইম ০৫:৪৬:১৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ জুলাই ২০২০
নাজমুল হোসেন (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ
সিরাজগঞ্জে নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত  থাকায় জেলার নদী অববাহিকার ৫টি উপজেলার নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চলের বন্যা পরিস্হিতি  আরও অবনতি হয়েছে। অনেক স্হানে নদী ভাঙন ও বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ উঁপচে নদীর পানি  তীব্র  গতিতে  নিম্নাঞ্চলে  প্রবেশ করে মানুষের বাড়ীঘর, ফসলি  জমি পানিতে ডুবে গেছে। অনেকেই  বাড়ি-ঘর অন্যত্র সরিয়ে  নিয়েছে। সহায়সম্বল হারিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে বন্যায়  ক্ষতিগ্রস্ত অসহায়  মানুষেরা।
গত ২৪ ঘন্টায়  সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষা বাঁধের হার্ডপয়েন্টে যমুনা নদীর পানি  ৬ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বুধবার  সকাল ৬ টায় বিপদসীমার ৪৮ সেন্টিমিটার  ওপর দিয়ে প্রবাহিত  হচ্ছিল।  একই সময় কাজিপুর পয়েন্টে যমুনা নদীর পানি ১ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার  ৭০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।
তবে আগামী ৪৮ ঘন্টা যমুনা নদীর পানি স্হিতিশীল থাকতে পারে বলে জানিয়েছেন বন্যা পূর্বাভাস  ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র।
এ দিকে যমুনা নদীর পানি অব্যাহতভাবে বৃদ্ধি পেয়ে টানা চারদিন বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় সিরাজগঞ্জ সদর,কাজিপুর, বেলকুচি, চৌহালী ও শাহজাদপুর উপজেলার লক্ষাধিক পানিবন্দি মানুষের ঘর-বাড়িতে ঢেউ খেলছে বন্যার পানি।  রাস্তাঘাট পানির নিচে তলিয়ে থাকায় বন্যা কবলিত মানুষদের নৌকা ও কলাগাছের ভেলায় করে চলাচল করতে হচ্ছে।  যারা ঘর বাড়ি ছেড়ে বাঁধ ও উঁচু স্হানে আশ্রয় নিয়েছে তাদেরকেমখাদ্য,বিশুদ্ধ পানি ও জ্বালানির অভাবে নিদারুণ  কষ্ট ভোগ করতে হচ্ছে ।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আব্দুর রহিম জানান, ‘বন্যায় পাঁচটি উপজেলার ৩১টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ২শ ১৬টি গ্রামের ২৪ হাজার ৯শ ২৪টি পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ২শ ৮০টি ঘরবাড়ি আংশিক, ২২টি শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ১৬ দশমিক ৫ কিলোমিটার রাস্তা ও বাঁধ এবং প্রায় আড়াই হাজার হেক্টর জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বন্যা কবলিত মানুষের মধ্যে ১২৫ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।’
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক হাবিবুল ইসলাম বলেন, ‘যমুনা নদীতে পানি বাড়ার কারণে নদীবেষ্টিত জেলার কাজীপুর, সদর, বেলকুচি, শাহজাদপুর ও চৌহালী উপজেলায় ২৫২০ হেক্টর জমির পাট ও তিল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।###