শাহজাহান আলী মনন, নীলফামারী জেলা প্রতিনিধিঃ
উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা পদে প্যানেলের মাধ্যমে নিয়োগের দাবিতে নীলফামারীতে মানববন্ধন করেছেন ওই পদে নিয়োগের প্রিলমিনারী ও লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণরা।
২৪ জুন বুধবার বেলা ১১টায় শহরের স্বাধীনতা অম্লাণ স্মৃতি স্তম্ভ পাদদেশে চুড়ান্ত ফলাফলে বৈষম্যের শিকার ও পদবঞ্চিত সকল মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীর ব্যানারে এ কর্মসূচী পালিত হয়। কর্মসূচিতে শতাধীক পদবঞ্চিত চাকরী প্রত্যাশী অংশ নেন। এসময় পদবঞ্চিতদের পক্ষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্ততা করেন, সাইফুল ইসলাম, চাঁন মিয়া, শাহিনুর ইসলাম ও অরুন পাল।
বক্তারা অভিযোগ করেন, ১৬৫০ জন উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা নিয়োগের জন্য ২০১৮ সালের ২৩ জানুয়ারী বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। বিজ্ঞপ্তি মোতাবেক প্রিলিমিনারী পরীক্ষায় ২৮ হাজার পরীক্ষার্থীর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়ে লিখিত পরীক্ষায় ১০ হাজার ৩৯ জন পরীক্ষার্থী লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেন।
এদের মধ্যে লিখিত পরীক্ষায় ৫ হাজার ১১৪ জন প্রার্থী উত্তীর্ণ হন। এসব উত্তীর্ণদের নিয়ে ২০১৯ সালের ১৮ ডিসেম্বর থেকে ২০২০ সালের ১৪ জানুয়ারী পর্যন্ত মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
মৌখিক পরীক্ষা শেষে মাত্র তিন দিনের মাথায় সাপ্তাহিক ছুটির দিন ১৭ জানুয়ারী শুক্রবার ১৬৫০ জনের চুড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হয়।
উক্ত চুড়ান্ত তালিকা তৈরীতে যথাযথভাবে জেলা কোটা না মেনে কোন জেলায় কোটার বেশী এবং কোন জেলায় অনেক কম প্রার্থীকে উক্ত পদের জন্য চুড়ান্ত করা হয়।
এরই প্রেক্ষিতে ২০২০ সালের ৬ ফেব্রুয়ারী কয়েকজন পদবঞ্চিত উচ্চ আদালতে একটি রিট করেন। রিটের প্রেক্ষিতে ১৬ ফেব্রুয়ারী মহামান্য হাইকোর্ট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরকে বেশ বিছু রুল জারি করে নিয়োগ কার্য়ক্রমের উপর স্থগিতাদেশ দেন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর রুলের কোন জবাব না দিয়ে সুপ্রীম কোর্টের আপিলেড ডিভিশনে আপিল করেন। সেই আপিলটি আপিল বিভাগ খারিজ করে দিয়ে হাই কোর্টের রুলের জবাব দিতে ও মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির নির্দেশ দিলেও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর অদ্যাবদি রুলের জবাব দেয়নি।
তাই উক্ত ক্রুটিপূর্ণ তালিকা বাতিল করে নতুন করে প্যানেলের মাধ্যমে উক্ত পদে নিয়োগের দাবি করেন পদবঞ্চিতরা।
একই দাবিতে জেলা প্রশাসককের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবরে একটি স্মারক লিপি হস্তান্তর করে আন্দোলনকারীরা। (ছবি আছে)