ঢাকা ০৩:৪৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
লালমনিরহাট জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কে শপথ বাক্য পাঠ করালেন প্রধানমন্ত্রী বরিশালে সার্বজনীন পেনশন মেলা ২০২৪ উদ্বোধন হিরাঝীলে বিশ্বাস মঞ্জিল নামের একটি বিল্ডিং হেলে পড়ে,নিরাপত্তাহীনতায় এলাকাবাসী বাকেরগঞ্জে ভাইস চেয়ারম্যান পদে জন প্রিয়তার শীর্ষে সাইফুল ইসলাম ডাকুয়া। বাকেরগঞ্জে যুবদল সভাপতি টুকুর মুক্তির দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল বাকেরগঞ্জে চারটি দোকান ভাংচুর, লুটপাটের অভিযোগ। গাছবাড়ীয়া সাব-রেজিষ্ট্রার অফিসের সমম্বয় সমিতি’র নির্বাচন অনুষ্ঠিত- সভাপতি ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক ফখরু উদ্দিন বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে খুলনার ফুলতলায় তিন দিনব্যাপী অনুষ্ঠানসূচি। –চোরাইকৃত ১৪টি ইজিবাইক উদ্ধারসহ আটক চোর চক্রের পলাতক তিনজন সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০; চোরাইকৃত আরো তিনটি ইজিবাইক এবং চুরির কাজে ব্যবহৃত একটি মোটরসাইকেল জব্দ। চট্টগ্রাম হাজী মুহাম্মদ মহসিন কলেজ ছাত্রলীগের দুই পক্ষের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া …

নীলফামারীতে যৌতুকের বকেয়া চল্লিশ হাজার টাকার জন্য জীবন দিতে হলো শারমীনকে

শাহজাহান আলী মনন, নীলফামারী জেলা প্রতিনিধিঃ      
যৌতুকের বকেয়া ৪০ হাজার টাকা দিতে না পারায় গৃহবধূ হাবিবা আক্তার শারমিনকে (১৯) হত্যা করা হয়েছে। এই ঘটনায় প্রধান আসামি স্বামী মোমিনুর ও শ্বশুর লাল মাহমুদকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (১২ জুন) দুপুরে নীলফামারী জেলার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোখলেছুর রহমান এক সংবাদ সম্মেলন এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, এক বছর পূর্বে দিনাজপুর জেলার বীরগঞ্জ থানার কৃষ্ণপুর গ্রামের হাবিল শেখের মেয়ে হাবিবা আক্তার শারমিনের (১৯) সাথে নীলফামারী সদর থানার খোকশাবাড়ী ইউনিয়নের সাবুল্লিপাড়া গ্রামের লাল মাহমুদের ছেলে মোমিনুরের (২৫) সাথে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা যৌতুকের শর্তে বিবাহ হয়। বিবাহের সময় ৮০ হাজার টাকা নগদ প্রদান করা হলেও বকেয়া ৪০ হাজার টাকার জন্য শারমিনের স্বামী ও শ্বশুর তাকে বিভিন্ন সময় শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করত। যৌতুকের টাকা নিয়ে দিনে দিনে তাদের সম্পর্কের অবনতি হতে থাকে।
গত ৯ জুন সকালে শারমিনকে তার বাবার বাড়ি থেকে যৌতুকের বকেয়া ৪০ হাজার টাকা নিয়ে আসার জন্য বললে ঝগড়া শুরু হয়। একপর্যায়ে শ্বশুর লাল মাহমুদ শারমিনের পা চেপে ধরে এবং স্বামী মোমিনুর খাটের রোলার দিয়ে শারমিনের পায়ে আঘাত করে ও তার গলা চেপে ধরে একটি বড় স্টিলের মগ দিয়ে আঘাত করে।
শারমিনের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে বিষ পানে মৃত্যু দেখিয়ে শারমিনকে নীলফামারী আধুনিক সদর হাসপাতলে ভর্তি করা হয়। শারীরিক অবস্থার আরো অবনতি হলে তাকে রংপুর মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়ার পথে উত্তরা ইপিজেড এলাকায় তিনি মারা যান। মৃত্যুর পরপরেই স্বামী মোমিনুর অ্যাম্বুলেন্স থেকে পালিয়ে যায়।
ঘটনাটি সন্দেহজনক হওয়ায় জেলা পুলিশের একটি টিম মৃত্যুর রহস্য উদঘটনে কাজ শুরু করে। তাৎক্ষণিকভাবে নারী পুলিশ সদস্য ও পরিবারের মহিলা সদস্যদের দিয়ে নিহতের শরীরে আঘাতের চিহ্ন শনাক্ত হলে , ১৮ ঘণ্টা অভিযান পরিচালনা করে স্বামী মোমিনুর ও শ্বশুর লাল মাহমুদকে  গ্রেফতার করে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (১১ জুন) এই ঘটনায় জেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জাহিদ হাসানের আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করেছে আসামিরা।
Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

লালমনিরহাট জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কে শপথ বাক্য পাঠ করালেন প্রধানমন্ত্রী

নীলফামারীতে যৌতুকের বকেয়া চল্লিশ হাজার টাকার জন্য জীবন দিতে হলো শারমীনকে

আপডেট টাইম ১০:১১:৫০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ জুন ২০২০
শাহজাহান আলী মনন, নীলফামারী জেলা প্রতিনিধিঃ      
যৌতুকের বকেয়া ৪০ হাজার টাকা দিতে না পারায় গৃহবধূ হাবিবা আক্তার শারমিনকে (১৯) হত্যা করা হয়েছে। এই ঘটনায় প্রধান আসামি স্বামী মোমিনুর ও শ্বশুর লাল মাহমুদকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (১২ জুন) দুপুরে নীলফামারী জেলার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোখলেছুর রহমান এক সংবাদ সম্মেলন এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, এক বছর পূর্বে দিনাজপুর জেলার বীরগঞ্জ থানার কৃষ্ণপুর গ্রামের হাবিল শেখের মেয়ে হাবিবা আক্তার শারমিনের (১৯) সাথে নীলফামারী সদর থানার খোকশাবাড়ী ইউনিয়নের সাবুল্লিপাড়া গ্রামের লাল মাহমুদের ছেলে মোমিনুরের (২৫) সাথে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা যৌতুকের শর্তে বিবাহ হয়। বিবাহের সময় ৮০ হাজার টাকা নগদ প্রদান করা হলেও বকেয়া ৪০ হাজার টাকার জন্য শারমিনের স্বামী ও শ্বশুর তাকে বিভিন্ন সময় শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করত। যৌতুকের টাকা নিয়ে দিনে দিনে তাদের সম্পর্কের অবনতি হতে থাকে।
গত ৯ জুন সকালে শারমিনকে তার বাবার বাড়ি থেকে যৌতুকের বকেয়া ৪০ হাজার টাকা নিয়ে আসার জন্য বললে ঝগড়া শুরু হয়। একপর্যায়ে শ্বশুর লাল মাহমুদ শারমিনের পা চেপে ধরে এবং স্বামী মোমিনুর খাটের রোলার দিয়ে শারমিনের পায়ে আঘাত করে ও তার গলা চেপে ধরে একটি বড় স্টিলের মগ দিয়ে আঘাত করে।
শারমিনের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে বিষ পানে মৃত্যু দেখিয়ে শারমিনকে নীলফামারী আধুনিক সদর হাসপাতলে ভর্তি করা হয়। শারীরিক অবস্থার আরো অবনতি হলে তাকে রংপুর মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়ার পথে উত্তরা ইপিজেড এলাকায় তিনি মারা যান। মৃত্যুর পরপরেই স্বামী মোমিনুর অ্যাম্বুলেন্স থেকে পালিয়ে যায়।
ঘটনাটি সন্দেহজনক হওয়ায় জেলা পুলিশের একটি টিম মৃত্যুর রহস্য উদঘটনে কাজ শুরু করে। তাৎক্ষণিকভাবে নারী পুলিশ সদস্য ও পরিবারের মহিলা সদস্যদের দিয়ে নিহতের শরীরে আঘাতের চিহ্ন শনাক্ত হলে , ১৮ ঘণ্টা অভিযান পরিচালনা করে স্বামী মোমিনুর ও শ্বশুর লাল মাহমুদকে  গ্রেফতার করে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (১১ জুন) এই ঘটনায় জেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জাহিদ হাসানের আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করেছে আসামিরা।