ঢাকা ০৯:৪১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বাকেরগঞ্জে ড. আবদুস সালাম মল্লিক ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় বিভিন্ন মহলের শুভেচ্ছা।। বরিশালে সুলভ মুল্যে বসুন্ধরা পন্য পেয়ে ক্রেতারা খুশী। বাবুগঞ্জে স্কুল ছুটির পরে বাড়ি যাওয়ার সময় দুই শিক্ষার্থী নিখোঁজ। আমার বাবাও মায়ের দেওয়া উপদেশ বড়দের সম্মান কর ছোটদের স্নেহ করো। বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈশাখী নারী উদ্যোক্তা মেলা শুরু। টাঙ্গাইলে তিনদিন ব্যাপী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলা শুরু বাকেরগঞ্জে প্রধান মন্ত্রীর ছবি ব্যঙ্গক্তি করে ফেসবুকে পোস্ট করায় হায়দর সিপাই গ্রেফতার। বাকেরগঞ্জে স্ত্রীর দায়ের কৃত মামলায় স্বামী পারভেজ খান গ্রেফতার।। বাকেরগঞ্জে তরমুজ চাষী হত্যা চেষ্টা মামলার আসামী রুদ্র গাজী গ্রেফতার টাঙ্গাইল জেলা পুলিশের মাস্টার প্যারেড অনুষ্ঠিত

বাঙ্গরায় যাড্ডা গাবতলী বাজারে চাঁদা না পেয়ে দোকানে তালা:ছেলেকে মেরে ফেলার হুমকি।

জাতীয় দৈনিক মাতৃভূমির খবর, মোহাম্মদ মনির হোসাইন, কুমিল্লা উত্তর জেলা প্রতিনিধি: কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানা এলাকায় চাঁদার ৫ লাখ টাকা না দেয়ায় দোকানে তালা দিয়ে একমাত্র ছেলেকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানাধীন আন্দিকুট ইউনিয়নের জাড্ডা গাবতলী বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, জাড্ডা গাবতলী বাজার এলাকার মৃত আবদুল কাদিরের ছেলে হেলাল (৪০), ইব্রাহিম (৪২), ইসমাইল (৪৪), মোসলেম মিয়া (৪৮), আলাল মিয়া ও তাদের আরো ৬জন সহযোগী একই এলাকার শহিদ মিয়ার ছেলে গফুর মিয়া ও মেয়ে মাকসুদা আক্তারের সাথে ক্রয়কৃত জমি সংক্রান্তর জের ধরে বিভিন্ন সময় মোটা অংকের চাঁদা দাবি করে আসছিলো। গত ১৪ই মে হেলাল ও তার লোকজন জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আর ঝামেলা করবে না এই মর্মে মাকসুদা আক্তারের কাছ থেকে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। এ ঘটনার পর গত ১৬ই মে আবারো হেলাল চাঁদার টাকা চাইলে মাকসুদা টাকা দিতে অস্বিকার করে। তখন হেলাল ও তার লোকজন মাকসুদাকে হুমকি প্রদান করে যদি টাকা না দেয়া হয় তাহলে সপ্তম শ্রেণীতে পড়য়া তার একমাত্র ছেলে পারভেজকে মেরে ফেলবে। পরে ওই দিন সন্ধ্যায় গফুর জাড্ডা গাবতলী বাজারে তার দোকানের ভাড়া আদায় করতে গেলে সেখানে হেলাল ও তার সঙ্গীরা গফুরকে বেধরক মারধর করে দোকানে তালা দিয়ে দেয়। পরে এ বিষয়ে বাঙ্গরা বাজার থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন গফুর। আর সেই অভিযোগ করাতে আরো ব্যাপরোয়া হয়ে যায় হেলাল বাহিনী। তারা বিগত ১৫দিন যাবৎ গফুর ও তার পরিবারের লোকজনকে জাড্ডা গাবতলী বাজার এলাকায় ঢুকতে দিচ্ছেনা। দেখলেই লাঠি শোঠা দিয়ে মারতে আসে। তাই ভয়ে এখন নিজ বাড়ীতে বন্দি প্রায় গফুর ও তার বোন মাকসুদা আক্তারের দুইটি পরিবার। এ বিষয়ে গফুর মিয়া বলেন, আমার বাবা হেলালের চাচার কাছ থেকে জমি ক্রয় করেছে প্রায় ১০ বছর হয়। সেখানে গত ৯ বছর আগে একটি দালান নির্মাণ করে দোকান ভাড়া দিয়ে আসছি। কোন কারণ ছাড়াই হেলাল ও তার লোকজন আমার বোনের কাছ থেকে চাঁদা দাবি করে। আমার বোন মাকসুদা চাঁদার ৫ লাখ টাকা দিতে অস্বীকার করলে হেলাল তার ছেলেকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। এ ঘটনার পরদিন আমি দোকানের ভাড়া আদায় করতে গেলে হঠাৎ হেলাল আমাকে বলে দোকানের ভাড়া নাকি সে নিবে, আমি কারণ জানতে চাইলে সে বলে দোকান ভাড়া নিতে হলে তার সাথে সমযোতা করতে হবে। তখন সে আমাকে বেধরক মারধর করে সেখান থেকে তাড়িয়ে দেয়। পরে পূনরায় একই গ্রামে আমার বোন মাকসুদার শশুর বাড়িতে গিয়ে তার থাকার ঘরে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে। এ বিষয়ে বাঙ্গরা বাজার থানায় আমি একটি লিখিত অভিযোগ দেয়ার পরে তারা আমাদের যতেষ্ট সহযোগীতা করলেও আমাদের বাড়ী থানা এলাকার একদম শেষ প্রান্তে হওয়ায় বর্তমানে ওই চাঁদাবাজদের ভয়ে ঘর থেকে বের হতে পারছি না। পরিচিত লোকদের দিয়ে বাজার সদাই করে আনতে হচ্ছে। আমরা এর সুষ্ঠু বিচার চাই। অভিযোগের তদন্তকারি কর্মকর্তা বাঙ্গরাবাজার থানার এএসআই জসিম উদ্দিন বলেন, অভিযোগ পেয়ে আমি জাড্ডা গাবতলী বাজারের গফুরের দোকানে দেয়া তালা উদ্ধার করেছি। তবে কে বা কাহারা এ তালা দিয়েছে তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। পরবর্তীতে গত কয়েকদিন আগে আবার গফুর আমাকে ফোনকরে বলেন তার প্রতিবেশি হেলাল, মোসলেমরা তাকে নানা ভাবে হুমকি দিচ্ছে। এ বিষয়ে আমি খোজ খবর নিচ্ছি যদি সত্যিকার অর্থে তারা গফুরকে হুমকি দিয়ে থাকে তবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

বাকেরগঞ্জে ড. আবদুস সালাম মল্লিক ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় বিভিন্ন মহলের শুভেচ্ছা।।

বাঙ্গরায় যাড্ডা গাবতলী বাজারে চাঁদা না পেয়ে দোকানে তালা:ছেলেকে মেরে ফেলার হুমকি।

আপডেট টাইম ০১:০৫:০২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ জুন ২০২০
জাতীয় দৈনিক মাতৃভূমির খবর, মোহাম্মদ মনির হোসাইন, কুমিল্লা উত্তর জেলা প্রতিনিধি: কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানা এলাকায় চাঁদার ৫ লাখ টাকা না দেয়ায় দোকানে তালা দিয়ে একমাত্র ছেলেকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানাধীন আন্দিকুট ইউনিয়নের জাড্ডা গাবতলী বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, জাড্ডা গাবতলী বাজার এলাকার মৃত আবদুল কাদিরের ছেলে হেলাল (৪০), ইব্রাহিম (৪২), ইসমাইল (৪৪), মোসলেম মিয়া (৪৮), আলাল মিয়া ও তাদের আরো ৬জন সহযোগী একই এলাকার শহিদ মিয়ার ছেলে গফুর মিয়া ও মেয়ে মাকসুদা আক্তারের সাথে ক্রয়কৃত জমি সংক্রান্তর জের ধরে বিভিন্ন সময় মোটা অংকের চাঁদা দাবি করে আসছিলো। গত ১৪ই মে হেলাল ও তার লোকজন জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আর ঝামেলা করবে না এই মর্মে মাকসুদা আক্তারের কাছ থেকে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। এ ঘটনার পর গত ১৬ই মে আবারো হেলাল চাঁদার টাকা চাইলে মাকসুদা টাকা দিতে অস্বিকার করে। তখন হেলাল ও তার লোকজন মাকসুদাকে হুমকি প্রদান করে যদি টাকা না দেয়া হয় তাহলে সপ্তম শ্রেণীতে পড়য়া তার একমাত্র ছেলে পারভেজকে মেরে ফেলবে। পরে ওই দিন সন্ধ্যায় গফুর জাড্ডা গাবতলী বাজারে তার দোকানের ভাড়া আদায় করতে গেলে সেখানে হেলাল ও তার সঙ্গীরা গফুরকে বেধরক মারধর করে দোকানে তালা দিয়ে দেয়। পরে এ বিষয়ে বাঙ্গরা বাজার থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন গফুর। আর সেই অভিযোগ করাতে আরো ব্যাপরোয়া হয়ে যায় হেলাল বাহিনী। তারা বিগত ১৫দিন যাবৎ গফুর ও তার পরিবারের লোকজনকে জাড্ডা গাবতলী বাজার এলাকায় ঢুকতে দিচ্ছেনা। দেখলেই লাঠি শোঠা দিয়ে মারতে আসে। তাই ভয়ে এখন নিজ বাড়ীতে বন্দি প্রায় গফুর ও তার বোন মাকসুদা আক্তারের দুইটি পরিবার। এ বিষয়ে গফুর মিয়া বলেন, আমার বাবা হেলালের চাচার কাছ থেকে জমি ক্রয় করেছে প্রায় ১০ বছর হয়। সেখানে গত ৯ বছর আগে একটি দালান নির্মাণ করে দোকান ভাড়া দিয়ে আসছি। কোন কারণ ছাড়াই হেলাল ও তার লোকজন আমার বোনের কাছ থেকে চাঁদা দাবি করে। আমার বোন মাকসুদা চাঁদার ৫ লাখ টাকা দিতে অস্বীকার করলে হেলাল তার ছেলেকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। এ ঘটনার পরদিন আমি দোকানের ভাড়া আদায় করতে গেলে হঠাৎ হেলাল আমাকে বলে দোকানের ভাড়া নাকি সে নিবে, আমি কারণ জানতে চাইলে সে বলে দোকান ভাড়া নিতে হলে তার সাথে সমযোতা করতে হবে। তখন সে আমাকে বেধরক মারধর করে সেখান থেকে তাড়িয়ে দেয়। পরে পূনরায় একই গ্রামে আমার বোন মাকসুদার শশুর বাড়িতে গিয়ে তার থাকার ঘরে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে। এ বিষয়ে বাঙ্গরা বাজার থানায় আমি একটি লিখিত অভিযোগ দেয়ার পরে তারা আমাদের যতেষ্ট সহযোগীতা করলেও আমাদের বাড়ী থানা এলাকার একদম শেষ প্রান্তে হওয়ায় বর্তমানে ওই চাঁদাবাজদের ভয়ে ঘর থেকে বের হতে পারছি না। পরিচিত লোকদের দিয়ে বাজার সদাই করে আনতে হচ্ছে। আমরা এর সুষ্ঠু বিচার চাই। অভিযোগের তদন্তকারি কর্মকর্তা বাঙ্গরাবাজার থানার এএসআই জসিম উদ্দিন বলেন, অভিযোগ পেয়ে আমি জাড্ডা গাবতলী বাজারের গফুরের দোকানে দেয়া তালা উদ্ধার করেছি। তবে কে বা কাহারা এ তালা দিয়েছে তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। পরবর্তীতে গত কয়েকদিন আগে আবার গফুর আমাকে ফোনকরে বলেন তার প্রতিবেশি হেলাল, মোসলেমরা তাকে নানা ভাবে হুমকি দিচ্ছে। এ বিষয়ে আমি খোজ খবর নিচ্ছি যদি সত্যিকার অর্থে তারা গফুরকে হুমকি দিয়ে থাকে তবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।