মোহাম্মদ রফিক কুষ্টিয়া:-
ভুল চিকিৎসায় মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে শোভন (১৩) নামের এক মেধাবী ছাত্র। বর্তমানে কুষ্টিয়া হাসপাতালে জীবনমৃত্যুর সন্ধিক্ষণে শোভন। অসহ্য যন্ত্রণা সইতে না পেরে হাসপাতালের বিছানায় কাতরাচ্ছে সে। কুষ্টিয়া ঐতিহ্যবাহী হরিনারায়ণপু বহুমুখি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণীর ছাত্র শোভন (১৩) হরিনারায়ণপুর ডাক্তার তরুণ হোসেনের ভুল চিকিৎসায় কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের ২ নং ওয়ার্ডে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। জানা যায়, কুমারখালী উপজেলার চাদপুর ইউনিয়নের জঙ্গুলী গ্রামের মামুন জানান, গত ২০ মে তার ছেলে শোভন (১৩) গায়ে জ্বর আসে। এ সময় তিনি হরিনারায়ণপুর বাজারের ডাক্তার তরুণ হোসেনের নিউ হেলথ কেয়ারে চিকিৎসার জন্য তার ছেলে শোভনকে নিয়ে যায়। ডাক্তার তরুণ হোসেন শোভনকে দেখে জ্বরের বড়ি দেয়। বাড়ি এসে জ্বরের বড়ি খেয়ে আরও জ্বর বেড়ে যায়। পরে ২২ মে দুপুরে আবারও ডাক্তার তরুণ হোসেনের কাছে ফোন দিলে ওই ডাক্তার বলে আমার নিউ হেলথ কেয়ারে শোভনকে নিয়ে আসেন। নিয়ে গেলে পর পর ২টি ইনজেকশন শোভনের শরীরে পুশ করে বলে বাড়িতে নিয়ে যান। বাড়িতে নিয়ে আসলে শোভনের গালে, গলায় ও শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে প্রচন্ড ব্যাথা হয়। পরেরদিন সকালে দেখা যায়, শোভনের গোপন অঙ্গসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় পুসকা পড়ে ক্ষত সৃষ্টি হয়ে কষানি ঝরছে। এই অবস্থায় গত ২৪ মে তরিঘড়ি করে শোভনকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করি। বর্তমানে হাসপাতালের ২নং ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছে। হাসপাতালের ডাক্তার জানিয়েছে ভুল চিকিৎসায় শোভনের এই অবস্থা ঘটেছে। শোভনের অবস্থা ক্রমেই অবনতির দিকে যাচ্ছে। এ ব্যাপারে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ তাপস কুমার সরকারের সাথে মুঠোফোনে কথা বললে তিনি জানান, এ্যান্টিবায়োটিকের কারণে এমন ঘটনা ঘটতে পারে। এমন খবরে শোভনের পরিবার, স্বজন এবং এলাবাসীর মাঝে হতাশা এবং ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। এ ব্যাপারে ডাক্তার তরুণ হোসেনের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি শোভনকে ইনজেকশন পুশ করার কথা স্বীকার করে বলেন, আমি সবসময় রোগী ভাল করার চেষ্টা করি। কুষ্টিয়া সিভিল সার্জেন ডাঃ আনোয়ারুল জানান, এ ব্যাপারে আমাকে কেউ অভিযোগ করেনি। তবে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।