রুবেল আহমেদ, আখাউড়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, প্রতিনিধিঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় ঈদের রাতে আলোচিত গঠনা উপজেলার দক্ষিণ ইউনিয়ন বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক মো. আজাদ হোসেন ভূঁইয়া ইয়াবাসহ আটকের পর আদালত থেকে জামিন পেয়েছেন।
২৮মে বৃহস্পতিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আদালতে তার জামিন হয় বলে আইনজীবীদের বরাত দিয়ে উপজেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক আবুল মুনসুর মিশন নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশের ভাষ্যমতে, ঈদের দিন রাতে নুরপুর এলাকায় স্থানীয় লোকজন আজাদ হোসেন ভূঁইয়াকে আটক করে। তার কাছে ২০ পিস ইয়াবা পাওয়া যায়। পরে তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। পুলিশ বাদি হয়ে তার বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলা দায়ের করেন।
তবে পরিবারের লোকজন এবং দলীয় সূত্রের দাবি, আজাদ হোসেন ভূঁইয়া প্রতিহিংসার শিকার।
করোনা ভাইরাস পরিস্থিতিতে এলাকায় নগদ টাকা ও খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করে আলোচনায় এসেছে তা দেখে একটি মহলের প্রতিহিংসায় শিকার হয়েছেন।গঠনার রাতে তিনি মসজিদে টাকা অনুদান দেওয়ার ঘোষণা দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে তার পকেটে ইয়াবা ঢুকিয়ে তাকে ফাঁসিয়ে দেওয়া হয়।
আজাদ হোসেন ভূঁইয়া স্ত্রী স্থানীয় প্রাইমারী স্কুল শিক্ষিকা সুমা আক্তার বলেন তাঁর স্বামী ষড়যন্ত্রের শিকার।গঠনার রাতে নূরপুর গ্রামের মসজিদে অনুদান দেওয়ার কথা বলে হীরাপুরে তার বাড়িতে ফেরার পথে কতিপয় যুবক তাঁর পথরোধ করে তাঁর পকেটে ইয়াবা ডুকিয়ে ২০ পিস ইয়াবাসহ পুলিশের কাছে ধরিয়ে দেওয়া হয়।
আখাউড়া উপজেলা বিএনপি’র সাধারন সম্পাদক আবুল মুনসুর মিশন বলেন, আজাদ হোসেন ভূঁইয়া স্থানীয় প্রতিহিংসার শিকার।আগামী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হবেন বলে প্রতিহিংসার শিকার হয়েছেন। এলাকার মানুষ জানে আজাদ কেমন মানুষ। করোনা পরিস্থিতিতে তিনি ৭২০ জনের প্রত্যেককে ৫০০ টাকা করে দেওয়াসহ বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করেছেন। দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে পুলিশ ব্যাপক কাজ করে যেভাবে প্রশংসা কুঁড়িয়েছেন সেটা ম্লান হয়ে যাবে যদি এমন ধরণের ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত না করেন।
এদিকে বুধবার সাংবাদিকদের কাছে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা যায়, এ ঘটনায় বিএনপি’র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এক বিবৃতিতে ঘটনাটির জন্য দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. জালাল উদ্দিনকে দায়ী করেছেন। জালাল উদ্দিন লোকজন নিয়ে আজাদ হোসেন ভূঁইয়াকে পুলিশের হাতে তুলে দেন বলে বিএনপি’র সহ দপ্তর সম্পাদক বেলাল আহমেদের বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
তবে জালাল উদ্দিন এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি জানান, গ্রামের লোকজন ইয়াবাসহ একজনকে আটক করে আমাকে খবর দেয়। আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে এর প্রমাণ পাই। এখানে আমাকে দোষারোপ করার কি আছে।
আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রসুল আহমেদ নিজামী জানান, এলাকার মানুষ ইয়াবাসহ আটক করে পুলিশের কাছে তুলে দেয়। অভিযোগ এভাবে উল্লেখ করা আছে। তবে বিষয়টি
তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।