ঢাকা ০৬:৩৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
যে পরিকল্পনায় খুন হন লোহাগড়ার চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল, চাঞ্চল্যকর তথ্য দিলেন ভাড়াটিয়া শুটার দুমকী উপজেলা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে হামলা-পাল্টা হামলা বাকেরগঞ্জের উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় এমপির কর্মকান্ডকে বাধাগ্রস্ত করছেন একটি কুচক্রী মহল।। “ভাইয়া গ্রুপ প্রথম বাংলাদেশের পর্যটন নগরী কক্সবাজারের মেরিন ড্রাইভসংলগ্ন,আন্তর্জাতিক মানের পাঁচ তারকা হোটেল ও রিসোর্টের শেয়ার বিক্রয় কার্যক্রম শুরু করেছেন” “এনএফএস’র নতুন কমিটি গঠন সভাপতি রাহাত, সম্পাদক হাসান” গজারিয়ায় তিতাসের অভিযান পাঁচ কিলোমিটার অবৈধ গ্যাসলাইন বিচ্ছিন্ন চুরি প্রতিরোধে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন বাকেরগঞ্জে ড. আবদুস সালাম মল্লিক ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় বিভিন্ন মহলের শুভেচ্ছা।। বরিশালে সুলভ মুল্যে বসুন্ধরা পন্য পেয়ে ক্রেতারা খুশী। বাবুগঞ্জে স্কুল ছুটির পরে বাড়ি যাওয়ার সময় দুই শিক্ষার্থী নিখোঁজ। আমার বাবাও মায়ের দেওয়া উপদেশ বড়দের সম্মান কর ছোটদের স্নেহ করো।

মাটিরাঙ্গা উপজেলার অসহায় মানুষের কল্যাণে নির্ভীক যোদ্ধা ইউ,এন,ও…বিভীষণ কান্তি দাশ

এস এম মহিউদ্দিন, খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি
বৈশ্বিক মহামারী করোনা ভাইরাসের ভয়ে সব মানুষ যখন গৃহবন্দি তখন উপজেলা প্রশাসনের সকল কর্মকর্তাদের সাথে নিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অবিরাম ছুটে চলেছেন মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিভীষণ কান্তি দাশ। এ উপজেলার আনাচে কানাচে এমন কোন স্থান নেই যেখানে তার পদচারণ হয়নি।
করোনা দুর্যোগ মোকাবিলায় উপজেলাবাসীকে সহযোগিতা করতে এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে ছুটে চলেছেন তিনি। অত্র উপজেলায় এখন পর্যন্ত কোনো করোনা রোগী শনাক্ত হয়নি। মূলত উপজেলা প্রশাসনের তৎপরতার কারণেই জেলার অন্য যেকোনো উপজেলার চেয়ে সার্বিক পরিস্থিতি এখনে অনেক ভালো।
করোনা ভাইরাস সংক্রমণরোধে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে প্রশাসনের কঠোর নজরদারী অব্যহত রয়েছে। সরকরি ত্রাণ সহায়তা পৌঁছে দিতে ছুটেছেন দুর্গম পাহাড়ের এক গ্রাম থেকে আরেক গ্রামের সাধারণ মানুষের দোড়গোরায়। আাবার কখনও এক বাজার থেকে অন্য বাজারে ছুটে চলেছেন নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে।
কখনও কখনও পরিচালনা করছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। অবিরাম ছুটে চলেছেন সামাজিক দুরত্ব নিশ্চিত করতে, হাটবাজারে আড্ডা ও জনসমাগম প্রতিরোধে ব্যবস্থা গ্রহণসহ করোনা ভাইরাসের প্রভাবে কর্মহীন হয়ে পড়াদের সহায়তা দিতে নানা পরিকল্পানা গ্রহণ করেছেন এ কর্মকর্তা। বর্তমানে মানবিক সহায়তা কার্ড প্রস্তুত করার কাজে ইউনিয়ন-ওয়ার্ড পর্যায়ে বিভিন্ন কর্মকর্তাদের যাচাই-বাছাইয়ের কাজের দায়িত্ব দিয়েছেন।
ইতিমধ্যে তিনি করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার পর থেকে ৭ টি ইউনিয়নে প্রায় ২০হাজার ৫ শত ও ১টি পৌরসভার ৫ হাজার মধ্যবিত্ত ও হতদরিদ্র পরিবারকে খাদ্য সামগ্রী প্রদান করেছেন।
মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বিভীষণ কান্তি দাশ জানান, কাছ থেকে না দেখলে মানুষের কষ্ট বুঝা যায় না। আয় না থাকায় খাবারের কষ্টে আছেন তারা। এমন খবর পেয়ে ঘরে বসে থাকতে পারিনা।  করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারনে সব শ্রেণী-পেশার মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছে। আমরা শুরু থেকেই কর্মহীন মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি।
করোনা ভাইরাস সংক্রমন ঠেকাতে ও সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখতে সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আমাদের এ প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

যে পরিকল্পনায় খুন হন লোহাগড়ার চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল, চাঞ্চল্যকর তথ্য দিলেন ভাড়াটিয়া শুটার

মাটিরাঙ্গা উপজেলার অসহায় মানুষের কল্যাণে নির্ভীক যোদ্ধা ইউ,এন,ও…বিভীষণ কান্তি দাশ

আপডেট টাইম ০৩:৩৫:২৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৯ মে ২০২০
এস এম মহিউদ্দিন, খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি
বৈশ্বিক মহামারী করোনা ভাইরাসের ভয়ে সব মানুষ যখন গৃহবন্দি তখন উপজেলা প্রশাসনের সকল কর্মকর্তাদের সাথে নিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অবিরাম ছুটে চলেছেন মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিভীষণ কান্তি দাশ। এ উপজেলার আনাচে কানাচে এমন কোন স্থান নেই যেখানে তার পদচারণ হয়নি।
করোনা দুর্যোগ মোকাবিলায় উপজেলাবাসীকে সহযোগিতা করতে এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে ছুটে চলেছেন তিনি। অত্র উপজেলায় এখন পর্যন্ত কোনো করোনা রোগী শনাক্ত হয়নি। মূলত উপজেলা প্রশাসনের তৎপরতার কারণেই জেলার অন্য যেকোনো উপজেলার চেয়ে সার্বিক পরিস্থিতি এখনে অনেক ভালো।
করোনা ভাইরাস সংক্রমণরোধে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে প্রশাসনের কঠোর নজরদারী অব্যহত রয়েছে। সরকরি ত্রাণ সহায়তা পৌঁছে দিতে ছুটেছেন দুর্গম পাহাড়ের এক গ্রাম থেকে আরেক গ্রামের সাধারণ মানুষের দোড়গোরায়। আাবার কখনও এক বাজার থেকে অন্য বাজারে ছুটে চলেছেন নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে।
কখনও কখনও পরিচালনা করছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। অবিরাম ছুটে চলেছেন সামাজিক দুরত্ব নিশ্চিত করতে, হাটবাজারে আড্ডা ও জনসমাগম প্রতিরোধে ব্যবস্থা গ্রহণসহ করোনা ভাইরাসের প্রভাবে কর্মহীন হয়ে পড়াদের সহায়তা দিতে নানা পরিকল্পানা গ্রহণ করেছেন এ কর্মকর্তা। বর্তমানে মানবিক সহায়তা কার্ড প্রস্তুত করার কাজে ইউনিয়ন-ওয়ার্ড পর্যায়ে বিভিন্ন কর্মকর্তাদের যাচাই-বাছাইয়ের কাজের দায়িত্ব দিয়েছেন।
ইতিমধ্যে তিনি করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার পর থেকে ৭ টি ইউনিয়নে প্রায় ২০হাজার ৫ শত ও ১টি পৌরসভার ৫ হাজার মধ্যবিত্ত ও হতদরিদ্র পরিবারকে খাদ্য সামগ্রী প্রদান করেছেন।
মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বিভীষণ কান্তি দাশ জানান, কাছ থেকে না দেখলে মানুষের কষ্ট বুঝা যায় না। আয় না থাকায় খাবারের কষ্টে আছেন তারা। এমন খবর পেয়ে ঘরে বসে থাকতে পারিনা।  করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারনে সব শ্রেণী-পেশার মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছে। আমরা শুরু থেকেই কর্মহীন মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি।
করোনা ভাইরাস সংক্রমন ঠেকাতে ও সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখতে সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আমাদের এ প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।