ঢাকা ০৫:০৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বাকেরগঞ্জে ড. আবদুস সালাম মল্লিক ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় বিভিন্ন মহলের শুভেচ্ছা।। বরিশালে সুলভ মুল্যে বসুন্ধরা পন্য পেয়ে ক্রেতারা খুশী। বাবুগঞ্জে স্কুল ছুটির পরে বাড়ি যাওয়ার সময় দুই শিক্ষার্থী নিখোঁজ। আমার বাবাও মায়ের দেওয়া উপদেশ বড়দের সম্মান কর ছোটদের স্নেহ করো। বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈশাখী নারী উদ্যোক্তা মেলা শুরু। টাঙ্গাইলে তিনদিন ব্যাপী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলা শুরু বাকেরগঞ্জে প্রধান মন্ত্রীর ছবি ব্যঙ্গক্তি করে ফেসবুকে পোস্ট করায় হায়দর সিপাই গ্রেফতার। বাকেরগঞ্জে স্ত্রীর দায়ের কৃত মামলায় স্বামী পারভেজ খান গ্রেফতার।। বাকেরগঞ্জে তরমুজ চাষী হত্যা চেষ্টা মামলার আসামী রুদ্র গাজী গ্রেফতার টাঙ্গাইল জেলা পুলিশের মাস্টার প্যারেড অনুষ্ঠিত

কুষ্টিয়ায় টানা ৬ দিন নতুন করোনা আক্রান্ত নেই : বাড়ি ফিরছেন ২ জন

মোহাম্মদ রফিক কুষ্টিয়া:
টানা ৬ দিন অতিবাহিত হয়ে যাওয়ার পরও কুষ্টিয়ায় নতুন কোন করোনা রোগী শনাক্ত হয়নি। গতকাল ২৪টি নমুন পরীক্ষার ফলাফলও ছিল নেগেটিভ। জেলা চিকিৎসা দফতর বলছে এটা ইতিবাচক।
আক্রান্ত ১৬ জনেই কুষ্টিয়া জেলা আপাতত স্থির রয়েছে। এর বাইরে ঢাকা থেকে আসা আরো ২ জন রোগী কুষ্টিয়ার একটি আইসোলেশনে চিকিৎসা নিচ্ছেন। যেখানে আরো ৫ রোগী রয়েছে। এদের মধ্যে ৩ জন ঢাকা থেকে আসা। বাকীরা নিজেদের বাড়িতেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
ইতোমধ্যে জেলায় আক্রান্তদের মধ্যে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশনে থাকা দুই রোগী চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরে গেছেন। ১ মে তাদেরকে ছাড়পত্র দেয়া হয়। তারা সেখানে ১০ দিন চিকিৎসাধীন ছিলেন। এরা ঐ ১৬ জনের মধ্যে। ওদিকে জেলার খোকসা উপজেলার একই পরিবারের ৫জনের অবস্থা এখনও অপরিবর্তিত বলে জানিয়েছেন খোকসা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা কামররুজ্জামান সোহেল। তিনি জানান পরিবারটি পুরোপুরি নিজ বাড়িতে আইসোলেশনে রয়েছে। তাদের টেস্টের ফলাফল ১ মে আসতে পারে। জেলা চিকিৎসা দফতরের মতে, কুষ্টিয়া করোনা রোগের প্রার্দুভাব ও বিস্তারের ক্ষেত্র হয়ে উঠতে পারেনি। বিশেষজ্ঞগণ এর কারন বলছেন ভে ভৌগলিক। এখানে শিল্প কারখানা, নদী-বন্দর বা বাইরের মানুষের আনাগোনা কম ছিল। এখানে শুরু থেকেই সিভিল প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন তৎপর ছিল। বিচ্ছিন্ন মানুষের তৎপরতা চোখে পড়লেও সংঘবদ্ধ মানুষের ঢল ছিল না।
“নানা কারনে কুষ্টিয়াতে সংক্রমণ হয়নি। প্রশাসনের তৎপরতা ও মানুষের সচেতনতা এখানে কাজ করেছে। তাছাড়া, শেষ দিকে হবার কারনে এখানে পরিস্থিতি ওতটা কঠোর হতে দেখা যায়নি,” বললেন ডাক্তার তাপস কুমার সরকার, আবাসিক মেডিকেল অফিসার কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল।
ডাক্তার তাপস কুমার সরকার জানান, তবে তারপরও পরিস্থিতি কখন কোন দিকে মোড় নেয় তা বলা যায়না।দোকান পাট খুলে দেয়া প্রসঙ্গে এই চিকিৎসক জানান অনেক কিছুই খুলে দেয়া যেতে পারে তবে মানুষ সচেতনভাবে যদি সেটির সঠিক ব্যবহার করে তবেই সেখানে অঘটনের সম্ভাবনা কম থাকবে। কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক আসলাম হোসেন জানান এই রোগের ভয়াবহতা বিস্তার রোধে কুষ্টিয়া প্রশাসন প্রথম থেকেই তৎপর ছিল। নানা পদক্ষেপের মাধ্যমে এক সিংহভাগ মানুষকে নিয়মের আওতায় আনা সম্ভব হয়েছিল। তিনি সবাইকে নিয়ম, অনুশাসন মেনে চলার পরামর্শ দেন। প্রশাসনের সকল নজরদারী অব্যাহত থাকবে বলে জেলা প্রশাসক জানান।
Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

বাকেরগঞ্জে ড. আবদুস সালাম মল্লিক ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় বিভিন্ন মহলের শুভেচ্ছা।।

কুষ্টিয়ায় টানা ৬ দিন নতুন করোনা আক্রান্ত নেই : বাড়ি ফিরছেন ২ জন

আপডেট টাইম ১০:১৯:৪৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ মে ২০২০
মোহাম্মদ রফিক কুষ্টিয়া:
টানা ৬ দিন অতিবাহিত হয়ে যাওয়ার পরও কুষ্টিয়ায় নতুন কোন করোনা রোগী শনাক্ত হয়নি। গতকাল ২৪টি নমুন পরীক্ষার ফলাফলও ছিল নেগেটিভ। জেলা চিকিৎসা দফতর বলছে এটা ইতিবাচক।
আক্রান্ত ১৬ জনেই কুষ্টিয়া জেলা আপাতত স্থির রয়েছে। এর বাইরে ঢাকা থেকে আসা আরো ২ জন রোগী কুষ্টিয়ার একটি আইসোলেশনে চিকিৎসা নিচ্ছেন। যেখানে আরো ৫ রোগী রয়েছে। এদের মধ্যে ৩ জন ঢাকা থেকে আসা। বাকীরা নিজেদের বাড়িতেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
ইতোমধ্যে জেলায় আক্রান্তদের মধ্যে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশনে থাকা দুই রোগী চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরে গেছেন। ১ মে তাদেরকে ছাড়পত্র দেয়া হয়। তারা সেখানে ১০ দিন চিকিৎসাধীন ছিলেন। এরা ঐ ১৬ জনের মধ্যে। ওদিকে জেলার খোকসা উপজেলার একই পরিবারের ৫জনের অবস্থা এখনও অপরিবর্তিত বলে জানিয়েছেন খোকসা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা কামররুজ্জামান সোহেল। তিনি জানান পরিবারটি পুরোপুরি নিজ বাড়িতে আইসোলেশনে রয়েছে। তাদের টেস্টের ফলাফল ১ মে আসতে পারে। জেলা চিকিৎসা দফতরের মতে, কুষ্টিয়া করোনা রোগের প্রার্দুভাব ও বিস্তারের ক্ষেত্র হয়ে উঠতে পারেনি। বিশেষজ্ঞগণ এর কারন বলছেন ভে ভৌগলিক। এখানে শিল্প কারখানা, নদী-বন্দর বা বাইরের মানুষের আনাগোনা কম ছিল। এখানে শুরু থেকেই সিভিল প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন তৎপর ছিল। বিচ্ছিন্ন মানুষের তৎপরতা চোখে পড়লেও সংঘবদ্ধ মানুষের ঢল ছিল না।
“নানা কারনে কুষ্টিয়াতে সংক্রমণ হয়নি। প্রশাসনের তৎপরতা ও মানুষের সচেতনতা এখানে কাজ করেছে। তাছাড়া, শেষ দিকে হবার কারনে এখানে পরিস্থিতি ওতটা কঠোর হতে দেখা যায়নি,” বললেন ডাক্তার তাপস কুমার সরকার, আবাসিক মেডিকেল অফিসার কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল।
ডাক্তার তাপস কুমার সরকার জানান, তবে তারপরও পরিস্থিতি কখন কোন দিকে মোড় নেয় তা বলা যায়না।দোকান পাট খুলে দেয়া প্রসঙ্গে এই চিকিৎসক জানান অনেক কিছুই খুলে দেয়া যেতে পারে তবে মানুষ সচেতনভাবে যদি সেটির সঠিক ব্যবহার করে তবেই সেখানে অঘটনের সম্ভাবনা কম থাকবে। কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক আসলাম হোসেন জানান এই রোগের ভয়াবহতা বিস্তার রোধে কুষ্টিয়া প্রশাসন প্রথম থেকেই তৎপর ছিল। নানা পদক্ষেপের মাধ্যমে এক সিংহভাগ মানুষকে নিয়মের আওতায় আনা সম্ভব হয়েছিল। তিনি সবাইকে নিয়ম, অনুশাসন মেনে চলার পরামর্শ দেন। প্রশাসনের সকল নজরদারী অব্যাহত থাকবে বলে জেলা প্রশাসক জানান।