ঢাকা ১১:২৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বাকেরগঞ্জে ড. আবদুস সালাম মল্লিক ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় বিভিন্ন মহলের শুভেচ্ছা।। বরিশালে সুলভ মুল্যে বসুন্ধরা পন্য পেয়ে ক্রেতারা খুশী। বাবুগঞ্জে স্কুল ছুটির পরে বাড়ি যাওয়ার সময় দুই শিক্ষার্থী নিখোঁজ। আমার বাবাও মায়ের দেওয়া উপদেশ বড়দের সম্মান কর ছোটদের স্নেহ করো। বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈশাখী নারী উদ্যোক্তা মেলা শুরু। টাঙ্গাইলে তিনদিন ব্যাপী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলা শুরু বাকেরগঞ্জে প্রধান মন্ত্রীর ছবি ব্যঙ্গক্তি করে ফেসবুকে পোস্ট করায় হায়দর সিপাই গ্রেফতার। বাকেরগঞ্জে স্ত্রীর দায়ের কৃত মামলায় স্বামী পারভেজ খান গ্রেফতার।। বাকেরগঞ্জে তরমুজ চাষী হত্যা চেষ্টা মামলার আসামী রুদ্র গাজী গ্রেফতার টাঙ্গাইল জেলা পুলিশের মাস্টার প্যারেড অনুষ্ঠিত

আটোয়ারীতে রাস্তার গাছ কর্তন। বন বিভাগ নিরব ! রহস্য কি ?

আটোয়ারী(পঞ্চগড়) প্রতিনিধি ঃ পঞ্চগড়ের আটোয়ারীতে দীর্ঘদিন হতে একটি দুষ্ট চক্র রাতের আঁধারে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার সরকারি রাস্তার গাছ কেটে বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৯ এপ্রিল দিবাগত রাত প্রায় দেড়টার দিকে আটোয়ারী- রুহিয়া সীমান্ত উপজেলার রাধানগর ইউনিয়নের গোবিন্দপুর শিমুলতলা নামক এলাকায় পাকা রাস্তা সংলগ্ন সরকারি বিশাল আকারের একটি ইউক্লিপটাস গাছ করাত দিয়ে কেটে ৫টি খন্ড করে। আটোয়ারী থানা পুলিশ খবর পেয়ে বন বিভাগের কর্মচারী আব্বাস আলী সহ ঘটনাস্থলে এসে উপস্থিত হওয়ার আগেই দু’টি খন্ড সরিয়ে ফেলে সেই চক্রটি। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে চক্রটি সটকে পড়ে। ওই সময় ঘটনাস্থল হতে পুলিশ অবশিষ্ট ৩টি খন্ড থানায় নিয়ে আসে। পরদিন সকাল বেলা বন বিভাগের কর্মচারী আব্বাস আলীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, গাছের ৩টি খন্ড থানায় জমা আছে। সরকারি গাছ অবৈধভাবে কাটার অভিযোগে মামলার প্রস্তুতি চলছে। এপর্যন্ত রাতে গাছ কাটার সাথে জড়িত ১২ জনের নাম পাওয়া গেছে, সংখ্যা আরো বাড়তে পারে। রোববার (৩ মে) উপজেলা বন বিভাগ অফিসে মামলার খবর নিতে গিয়ে জানাযায় সম্পুর্ণ উল্টো হিসাব। থানায়তো গাছ কাটা বিষয়ে কোন মামলা হয়নি, তারপরও বন বিভাগের পঞ্চগড় জেলা রেঞ্জ কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল হাই থানায় জব্দকৃত কাঠের খন্ড ৩টি শনিবার (২ মে) তার নিজের জিম্মায় নিয়েছেন। কাঠের খন্ড ৩টি থানা থেকে বন বিভাগে নিয়ে রাখা হয়েছে। অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, থানার চেয়ে কি বন বিভাগ বেশী নিরাপদ ? কর্মচারী আব্বাস আলীর কাছ থেকে সরকারি গাছ কাটার সাথে জড়িতদের তালিকা চাওয়া হলে তিনি বলেন, স্যার ( রেঞ্জ কর্মকর্তা) আসামীর নামের তালিকা সহ আমার হাতে থাকা সমস্ত নথিপত্র নিয়ে গেছেন। আমার হাতে কোন কাগজপত্র নাই। এব্যাপারে আটোয়ারী থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ ইজার উদ্দীন বলেন, পঞ্চগড়ের বন বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা আব্দুল হাই বিভাগীয় মামলা করবেন বলে গাছের খন্ডগুলি তার জিম্মায় নিয়েছেন এবং কাঠের খন্ডগুলি থানা থেকে নিয়ে গেছেন। রেঞ্জ কর্মকর্তা আব্দুল হাইকে দু,দিন থেকে মুঠো ফোনে ( ০১৮২৫৫৪৪৫৩১) একাধিকবার কথা বলার চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেন নি। ইতিপুর্বে সরকারি গাছ অবৈধভাবে কাটার অপরাধে অসংখ্য বিভিন্ন প্রজাতির কাঠের গাছ বা খন্ড বনবিভাগ কর্তৃক জব্দ করা হয়েছিল। সচেতন মহলের প্রশ্ন, এ পর্যন্ত বন বিভাগে কয়টি মামলা হয়েছে ? জব্দকৃত কাঠ গেল কোথায় ? বন বিভাগের রহস্যজনক ভুমিকা নিয়ে এলাকায় নানা প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে।

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

বাকেরগঞ্জে ড. আবদুস সালাম মল্লিক ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় বিভিন্ন মহলের শুভেচ্ছা।।

আটোয়ারীতে রাস্তার গাছ কর্তন। বন বিভাগ নিরব ! রহস্য কি ?

আপডেট টাইম ০৪:২১:৪৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ মে ২০২০

আটোয়ারী(পঞ্চগড়) প্রতিনিধি ঃ পঞ্চগড়ের আটোয়ারীতে দীর্ঘদিন হতে একটি দুষ্ট চক্র রাতের আঁধারে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার সরকারি রাস্তার গাছ কেটে বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৯ এপ্রিল দিবাগত রাত প্রায় দেড়টার দিকে আটোয়ারী- রুহিয়া সীমান্ত উপজেলার রাধানগর ইউনিয়নের গোবিন্দপুর শিমুলতলা নামক এলাকায় পাকা রাস্তা সংলগ্ন সরকারি বিশাল আকারের একটি ইউক্লিপটাস গাছ করাত দিয়ে কেটে ৫টি খন্ড করে। আটোয়ারী থানা পুলিশ খবর পেয়ে বন বিভাগের কর্মচারী আব্বাস আলী সহ ঘটনাস্থলে এসে উপস্থিত হওয়ার আগেই দু’টি খন্ড সরিয়ে ফেলে সেই চক্রটি। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে চক্রটি সটকে পড়ে। ওই সময় ঘটনাস্থল হতে পুলিশ অবশিষ্ট ৩টি খন্ড থানায় নিয়ে আসে। পরদিন সকাল বেলা বন বিভাগের কর্মচারী আব্বাস আলীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, গাছের ৩টি খন্ড থানায় জমা আছে। সরকারি গাছ অবৈধভাবে কাটার অভিযোগে মামলার প্রস্তুতি চলছে। এপর্যন্ত রাতে গাছ কাটার সাথে জড়িত ১২ জনের নাম পাওয়া গেছে, সংখ্যা আরো বাড়তে পারে। রোববার (৩ মে) উপজেলা বন বিভাগ অফিসে মামলার খবর নিতে গিয়ে জানাযায় সম্পুর্ণ উল্টো হিসাব। থানায়তো গাছ কাটা বিষয়ে কোন মামলা হয়নি, তারপরও বন বিভাগের পঞ্চগড় জেলা রেঞ্জ কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল হাই থানায় জব্দকৃত কাঠের খন্ড ৩টি শনিবার (২ মে) তার নিজের জিম্মায় নিয়েছেন। কাঠের খন্ড ৩টি থানা থেকে বন বিভাগে নিয়ে রাখা হয়েছে। অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, থানার চেয়ে কি বন বিভাগ বেশী নিরাপদ ? কর্মচারী আব্বাস আলীর কাছ থেকে সরকারি গাছ কাটার সাথে জড়িতদের তালিকা চাওয়া হলে তিনি বলেন, স্যার ( রেঞ্জ কর্মকর্তা) আসামীর নামের তালিকা সহ আমার হাতে থাকা সমস্ত নথিপত্র নিয়ে গেছেন। আমার হাতে কোন কাগজপত্র নাই। এব্যাপারে আটোয়ারী থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ ইজার উদ্দীন বলেন, পঞ্চগড়ের বন বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা আব্দুল হাই বিভাগীয় মামলা করবেন বলে গাছের খন্ডগুলি তার জিম্মায় নিয়েছেন এবং কাঠের খন্ডগুলি থানা থেকে নিয়ে গেছেন। রেঞ্জ কর্মকর্তা আব্দুল হাইকে দু,দিন থেকে মুঠো ফোনে ( ০১৮২৫৫৪৪৫৩১) একাধিকবার কথা বলার চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেন নি। ইতিপুর্বে সরকারি গাছ অবৈধভাবে কাটার অপরাধে অসংখ্য বিভিন্ন প্রজাতির কাঠের গাছ বা খন্ড বনবিভাগ কর্তৃক জব্দ করা হয়েছিল। সচেতন মহলের প্রশ্ন, এ পর্যন্ত বন বিভাগে কয়টি মামলা হয়েছে ? জব্দকৃত কাঠ গেল কোথায় ? বন বিভাগের রহস্যজনক ভুমিকা নিয়ে এলাকায় নানা প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে।