মোহাম্মদ রফিক কুষ্টিয়া:—
কুষ্টিয়া শহরের কমলাপুরে এক অন্তঃসত্বা সেই গৃহবধুর শরীরে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয় বাড়ির মালিকের ছেলে। আগুনে ওই নারীর শরীরের প্রায় ৮০ ভাগের বেশি ঝলছে গেছে। পুলিশ উদ্ধার করে তাদের খরচে ঢাকায় পাঠিয়েছে। এদিকে রনিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ৮ মাসের অন্তঃসত্বা ছিলেন জুলিয়া খাতুন। গত ৫ বছর ধরে ভাড়া থাকতেন কুষ্টিয়া শহরের কমলাপুরে অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য বজলুল হকের বাড়িতে। বাড়ির মালিকদের সঙ্গে ছিলো সুসস্পর্ক। গত ৩০শে এপ্রিল বজলুল হকের বড় ছেলে রোকনুজ্জামান রনি নেশার টাকা না পেয়ে মায়ের সঙ্গে ঝামেলা করছিলো। এসময় বাড়িরওয়ালার ড্রয়িং রুমে বসে রনির মা অন্য ভাড়াটিয়ার সাথে জুলিয়া গল্প করছিলেন। জুলিয়া রনির মায়ের পক্ষ নিয়ে কথা বলায় রনি ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। এরপর রুম থেকে পেট্রলের বোতল নিয়ে এসে আগুন ধরিয়ে দেয় জুলিয়ার গায়ে। এতে সে দৌড়ে গিয়ে খাটের ওপর শুয়ে পড়ে। এরপর রনির মা পাটের বস্তা দিয়ে তার গায়ে চাপা দিয়ে আগুন নেভায়। পরে, পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের লোকজন এসে এসে তাকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করে। অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকা মেডিক্যালের বার্ন ইউনিটে পাঠানো হয়। সেখানে অপারেশনের মাধ্যমে মৃত বাচ্চা প্রসব করেন তিনি। তার অবস্থাও ভালো না বলে জানান জুলিয়ার স্বামী মেহেদী হাসান। ওই নারীকে নিজের মেয়ের মত জানতেন বলে রনির মা জানান, ছেলের বিষয় নিয়ে ভাবছি না।আমার মেয়ের সুস্থতা চাই। ছেলের শাস্তিও চান তিনি।
এদিকে রনিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে কুষ্টিয়া মডেল থানায় মামলা হয়েছে ঘটনার দিনই। বিষয়টি তদন্ত করছে পুলিশ। এ ঘটনায় রনির কঠোর শাস্তি চান জুলিয়ার পরিবার ও এলাকাবাসী