মোঃ মহিউদ্দিন, খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি
বর্তমান বিশ্বের করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় সম্মুখযুদ্ধে আছেন চিকিৎসক, নার্স, চিকিৎসাসহকারীসহ আইনশৃংখলা রক্ষায় নিয়োজিত পুলিশবাহিনীর সদস্যরা। পশ্চিমা বিশ্বের রাষ্ট্রপ্রধান থেকে শুরু করে কেউই বাদ পড়ছেন না করোনার থাবা থেকে। এর মধ্যেই আক্রান্তদের চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত চিকিৎসক, নার্স এবং পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন। চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিতদের জন্য সরকারীভাবে অতিসল্প ব্যাক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রী সরবরাহের ব্যাবস্থা থাকলেও এ ক্ষেত্রে একেবারেই অরক্ষিত থেকে যাচ্ছে পুলিশ বাহিনী। ইতিমধ্যেই শতাধিক আক্রান্ত ও তিন জন পুলিশ সদস্য মৃত্যুবরন করে নতুন করে শংকার জন্ম দিয়েছে পুলিশ সদস্যদের মধ্যে।
এরই মধ্যে পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের পেশাগত দায়িত্ব পালন ও তাদের সুরক্ষায় সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেন বাংলাদেশ মেডিকেল সাইন্স হোম নামের একটি ব্যাবসায়িক প্রতিষ্ঠান। শনিবার বিকেলে এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানে খাগড়াছড়ির গুইমারা থানায় কর্মরত অফিসার ও কনষ্টেবলদের জন্য পিপিই, হ্যান্ডস্যানিটাইজার, গ্লাবস, মাক্স, নিরাপত্তা চশমা, ক্যাপ, সু-কাভার প্রদান করা হয়। বাংলাদেশ মেডিকেল সাইন্স হোমস এর স্বত্তাধিকারি জুয়েল আহমেদ চৌধুরীর পক্ষে তার দুই সন্তান মো: ওমর ফারুক চৌধুরী ও মুশফিকুর রহমান চৌধুরী গুইমারা থানার অফিসার ইনচার্জ মিজানুর রহমান এর নিকট পিপিই সামগ্রী হস্তান্তর করেন।
এসময় গুইমারা থানার ওসি বলেন, দেশের এই সংকটময় মুহূর্তে পুলিশ বাহিনীর কথা চিন্তা করে তাদের প্রতি সহযোগীতায় হাত বাড়িয়ে দেয়ায় সংশ্লিষ্টদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
এদিকে বাংলাদেশ মেডিকেল হোমস সুরক্ষা সামগ্রী প্রদানকালে ওমর ফারুক চৌধুরী বলেন, দেশের এই সংকটময় মুহূর্তে করোনা যোদ্ধাদের সুরক্ষার কথা চিন্তা করে পুলিশ বাহিনীর সদস্য, বিভিন্ন হসপিটাল, ও সাংবাদিকদের মাঝে পিপিই সামগ্রী বিতরন কার্যক্রম শুরু করেছি। ভবিষ্যৎ এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।