ঢাকা ০৭:৫৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বাকেরগঞ্জে ভাইস চেয়ারম্যান পদে জন প্রিয়তার শীর্ষে সাইফুল ইসলাম ডাকুয়া। বাকেরগঞ্জে যুবদল সভাপতি টুকুর মুক্তির দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল বাকেরগঞ্জে চারটি দোকান ভাংচুর, লুটপাটের অভিযোগ। গাছবাড়ীয়া সাব-রেজিষ্ট্রার অফিসের সমম্বয় সমিতি’র নির্বাচন অনুষ্ঠিত- সভাপতি ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক ফখরু উদ্দিন বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে খুলনার ফুলতলায় তিন দিনব্যাপী অনুষ্ঠানসূচি। –চোরাইকৃত ১৪টি ইজিবাইক উদ্ধারসহ আটক চোর চক্রের পলাতক তিনজন সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০; চোরাইকৃত আরো তিনটি ইজিবাইক এবং চুরির কাজে ব্যবহৃত একটি মোটরসাইকেল জব্দ। চট্টগ্রাম হাজী মুহাম্মদ মহসিন কলেজ ছাত্রলীগের দুই পক্ষের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া … “বনের জমিতে দেড় শতাধিক কারখানা” টাঙ্গাইলে পাহাড়ি টিলা কাটছে মাটিখেকোরা, জীব বৈচিত্র্য হুমকির মুখে “কুষ্টিয়ায় নকল আকিজ বিড়িসহ বিড়ি তৈরির উপকরণ জব্দ”

সাংবাদিক খোকনের পরিবারের পাশে সময়ের আলো কর্তৃপক্ষ

মো: আল-আমিন:
দৈনিক সময়ের আলো পত্রিকার প্রধান প্রতিবেদক হুমায়ুন কবির খোকনের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে তার প্রিয় কর্মস্থল দৈনিক সময়ের আলো পরিবার।  সঙ্কটময় এই মুহুর্তে পরিবারের দেখাশোনাসহ অর্থনৈতিক দায়িত্ব নিয়েছে কর্তৃপক্ষ৷
সময়ের আলোর প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, সাংবাদিক হুমায়ুন কবির খোকন মৃত্যুর আগ পর্যন্ত সময়ের আলোর সঙ্গে ছিলেন। তিনি প্রতিষ্ঠানের একজন নিবেদিতপ্রাণ ছিলেন। তার অসুস্থ হওয়ার পর থেকে মৃত্যু এবং দাফন পর্যন্ত সবকিছু আমরা আন্তরিকভাবে তত্ত্বাবধান করেছি। আমাদের এই সহকর্মীর শোকসন্তপ্ত পরিবারের পাশেও দাঁড়িয়েছি৷
তিনি আরও বলেন, সময়ের আলোর ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের নির্দেশে আমরা সাংবাদিক মরহুম হুমায়ুন কবির খোকনের পরিবারের যাবতীয় দায়িত্ব গ্রহণ করছি। যদিও তার চলে যাওয়ার এই শোক কোনোভাবেই পূরণ হবার নয়, তবুও শোকাহত পরিবারকে যাতে কোনো প্রকার সমস্যায় না পড়তে হয়, সেজন্য আমাদের আন্তরিকতার কমতি নেই।
পত্রিকাটির প্রকাশক আরো বলেন, হুমায়ুন কবির খোকনের স্ত্রী অথবা সন্তানদের কেউ চাকরি উপযুক্ত থাকলে যোগ্যতা অনুযায়ী সময়ের আলো’তে তাদেরকে চাকুরির ব্যবস্থা করা হবে৷
              উল্লেখ্য, মঙ্গলবার বিকেলে হঠাৎ প্রচণ্ড অসুস্থ হয়ে পড়লে সময়ের আলোর প্রধান প্রতিবেদক হুমায়ুন কবির  খোকনকে রাজধানীর উত্তরায় রিজেন্ট হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানে তাকে রাখা হয় নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে। রাত পৌনে দশটার দিকে তিনি না ফেরার দেশে চলে যান। তার মৃত্যুতে সময়ের আলো পরিবার ও সাংবাদিক মহলে শোকের ছায়া নেমে আসে।
            খোকনের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান,  জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের, মহাসচিব মশিউর রহমান রাঙ্গা, পুলিশের মহা পরিদর্শক বেনজীর আহমেদ,  বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি সাইফুল আলম, সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন, যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মইনুল হোসেন খান নিখিল, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ), ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে) এবং বিভিন্ন সংগঠন ও ব্যক্তি।
সাংবাদিক নেতা ও সংগঠনগুলোও তার আকস্মিক মৃত্যুতে শোক জানান।
এদিকে হুমায়ুন কবির খোকনের মৃত্যুতে আমিন মোহাম্মদ গ্রুপ গভীরভাবে শোকাহত। গ্রুপটির চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এম এনামুল হক, উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. রমজানুল হক নিহাদ, উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আমিনুল হক নাবিল, সময়ের আলোর প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ ও ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক কমলেশ রায় গভীর শোক প্রকাশ করেন।
          মৃত্যুকালে হুমায়ুন কবির খোকনের বয়স হয়েছিলো ৪৭ বছর। তিনি স্ত্রী, এক ছেলে ও দুই মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন তিনি।
বুধবার সকালে তার মরদেহ গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার মুরাদনগরে নিয়ে যাওয়া হয়। জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

বাকেরগঞ্জে ভাইস চেয়ারম্যান পদে জন প্রিয়তার শীর্ষে সাইফুল ইসলাম ডাকুয়া।

সাংবাদিক খোকনের পরিবারের পাশে সময়ের আলো কর্তৃপক্ষ

আপডেট টাইম ০২:০৪:২৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ এপ্রিল ২০২০
মো: আল-আমিন:
দৈনিক সময়ের আলো পত্রিকার প্রধান প্রতিবেদক হুমায়ুন কবির খোকনের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে তার প্রিয় কর্মস্থল দৈনিক সময়ের আলো পরিবার।  সঙ্কটময় এই মুহুর্তে পরিবারের দেখাশোনাসহ অর্থনৈতিক দায়িত্ব নিয়েছে কর্তৃপক্ষ৷
সময়ের আলোর প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, সাংবাদিক হুমায়ুন কবির খোকন মৃত্যুর আগ পর্যন্ত সময়ের আলোর সঙ্গে ছিলেন। তিনি প্রতিষ্ঠানের একজন নিবেদিতপ্রাণ ছিলেন। তার অসুস্থ হওয়ার পর থেকে মৃত্যু এবং দাফন পর্যন্ত সবকিছু আমরা আন্তরিকভাবে তত্ত্বাবধান করেছি। আমাদের এই সহকর্মীর শোকসন্তপ্ত পরিবারের পাশেও দাঁড়িয়েছি৷
তিনি আরও বলেন, সময়ের আলোর ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের নির্দেশে আমরা সাংবাদিক মরহুম হুমায়ুন কবির খোকনের পরিবারের যাবতীয় দায়িত্ব গ্রহণ করছি। যদিও তার চলে যাওয়ার এই শোক কোনোভাবেই পূরণ হবার নয়, তবুও শোকাহত পরিবারকে যাতে কোনো প্রকার সমস্যায় না পড়তে হয়, সেজন্য আমাদের আন্তরিকতার কমতি নেই।
পত্রিকাটির প্রকাশক আরো বলেন, হুমায়ুন কবির খোকনের স্ত্রী অথবা সন্তানদের কেউ চাকরি উপযুক্ত থাকলে যোগ্যতা অনুযায়ী সময়ের আলো’তে তাদেরকে চাকুরির ব্যবস্থা করা হবে৷
              উল্লেখ্য, মঙ্গলবার বিকেলে হঠাৎ প্রচণ্ড অসুস্থ হয়ে পড়লে সময়ের আলোর প্রধান প্রতিবেদক হুমায়ুন কবির  খোকনকে রাজধানীর উত্তরায় রিজেন্ট হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানে তাকে রাখা হয় নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে। রাত পৌনে দশটার দিকে তিনি না ফেরার দেশে চলে যান। তার মৃত্যুতে সময়ের আলো পরিবার ও সাংবাদিক মহলে শোকের ছায়া নেমে আসে।
            খোকনের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান,  জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের, মহাসচিব মশিউর রহমান রাঙ্গা, পুলিশের মহা পরিদর্শক বেনজীর আহমেদ,  বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি সাইফুল আলম, সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন, যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মইনুল হোসেন খান নিখিল, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ), ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে) এবং বিভিন্ন সংগঠন ও ব্যক্তি।
সাংবাদিক নেতা ও সংগঠনগুলোও তার আকস্মিক মৃত্যুতে শোক জানান।
এদিকে হুমায়ুন কবির খোকনের মৃত্যুতে আমিন মোহাম্মদ গ্রুপ গভীরভাবে শোকাহত। গ্রুপটির চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এম এনামুল হক, উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. রমজানুল হক নিহাদ, উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আমিনুল হক নাবিল, সময়ের আলোর প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ ও ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক কমলেশ রায় গভীর শোক প্রকাশ করেন।
          মৃত্যুকালে হুমায়ুন কবির খোকনের বয়স হয়েছিলো ৪৭ বছর। তিনি স্ত্রী, এক ছেলে ও দুই মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন তিনি।
বুধবার সকালে তার মরদেহ গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার মুরাদনগরে নিয়ে যাওয়া হয়। জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।