প্রতিনিধি: বেতাগী, বরগুনা নির্দেশনা মানছে না অনেকেই।যথাযথভাবে মানা হচ্ছে না সামাজিক দূরত্বও।নিয়ম ভেঙে বেতাগীর বিভিন্ন কাঁচাবাজার ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দোকানে জনসাধারণের অবাধে চলাফেরা বেড়েছে।অনেকের মুখে মাস্ক থাকলেও একে অপরের গা ঘেঁষে দাঁড়িয়ে বাজার করছেন।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নজরদারি এড়িয়ে বিনা প্রয়োজনেও ঘর থেকে রাস্তায় বের হচ্ছেন কেউ কেউ।তবে এদের কিছু কিছু নিম্ন-আয়ের মানুষ, খাদ্যের জন্য নেমেছেন রাস্তায়।শিথিলতার সুযোগে বেড়েছে মানুষ ও যানবহানের চলাচলও।তবে মানুষকে ঘরে রাখতে টহল অব্যাহত রেখেছেন নৌ-বাহিনী ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।বেতাগীর বিভিন্ন ইউনিয়ন ঘুরে দেখা যায়, প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রতিনিয়ত মাইকিং ও সচেতনতামুলক বিভিন্ন প্রচারণা চালিয়ে গেলেও প্রতিফলন নেই মানুষের মাঝে।বিভিন্ন ইউনিয়নের হাটবাজার, গুরুত্বপূর্ণ মোড়সহ বিভিন্ন স্থানে অহেতুক জটলা পাকিয়ে বসে থাকতে দেখা যাচ্ছে।এবং বিভিন্ন হাটবাজারে নিয়মনীতি মানছে না ব্যবসায়ী ও ক্রেতারা।এছাড়াও দুপুর ১২ টার পর ফার্মেসী ব্যতীত অন্যান্য দোনাট বন্ধ রাখার নির্দেশনা থাকলেও তা মানছে না অনেক ব্যবসায়ী।এবং সন্ধ্যা ৬টার পর রাস্তার যে কোন মানুষ থাকলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের হুশিয়ারিকেও গুরুত্ব দিচ্ছে না কিশোর ও যুবকরা।তারা সন্ধ্যার পর গ্রামঅঞ্চলের বিভিন্ন স্থানে বসিয়ে দেন গল্প গুজব আর আড্ডায়।।এদিকে রাস্তায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দেখলেই দোকানপাট বন্ধ হয়ে পুরো এলাকা ফাঁকা হয়ে যায়।প্রশাসন আসলেই লোকজন পালাচ্ছে, প্রশাসনের সদস্যরা টহল দিয়ে চলে যাওয়ার পর পরই লোকজন সমেবেত হচ্ছে।মনে হচ্ছে প্রশাসনের সাথে জনগন পলানটুক খেলছে।এছাড়াও চলাচল করছে যানবাহন।রিকশা, প্রাইভেট কার, কাভার্ড ভ্যান, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ঠেলাগাড়িসহ নানা ধরনের যানবাহন যাত্রী ও পণ্য নিয়ে চলাচল করেছে।
এমন পরিস্থিতিতে রাস্তাঘাটে মানুষের ভিড় কমাতে হিমশিম খাচ্ছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।যদিও বেতাগীর করোনার সংক্রমণ এড়াতে সমাগম না করে সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখতে এবং জনগণকে নিজ নিজ ঘরে থাকার আহ্বান জানিয়ে অবিরাম প্রচারণা চালাচ্ছে স্থানীয় প্রশাসন।