মোহাম্মদ মনির হোসাইন, কুমিল্লা উত্তর জেলা প্রতিনিধি: কুমিল্লার মুরাদনগর হতে সারাবিশ্বে করোনা ভাইরাস মহামারী ছড়িয়ে পড়লে বিশ্ব যখন মানুষ মৃত্যুর কোলে মিছিল বইছে তখনই বিশ্ব লকডাউন পরিণত হয়, তারই ধারাবাহিকতায়  গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সরকার লকডাউন ঘোষণা করলে করোনা ভাইরাস থেকে  জনসাধারণকে বাঁচাতে, তদ্রুপ মুরাদনগর উপজেলা লকডাউন চলাকালে, মুরাদনগর থানা পুলিশের হাতে আটক হওয়া ১৩০টি সিএনজি ও অটোরিকশা ছেড়ে দিয়ে চালকদের খাদ্য সহায়তা দিয়ে আবারো মানবতার পরিচয় দিল মুরাদনগর থানার ওসি একেএম মনজুর আলম। জানা যায়, করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারনে সরকার কর্তৃক যে লকডাউনের ঘোষনা দিয়েছেন তা অমান্য করে উপজেলার বিভিন্ন সড়কে চলাচল করার সয়য় ১৩০ টি সিএনজি ও অটোরিকশা আটক করে মুরাদনগর থানা পুলিশ।

শনিবার দুপুরে পবিত্র মাহে রমজানের কথা চিন্তা করে প্রথম দিন এসব সিএনজি ছেড়ে দিয়ে চালকদের মাঝে বিনামূল্যে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন ওসি এ কে এম  মনজুর আলম। এতে ওই সিএনজি ও অটেরিকশার চালক সহ এলাকার জনসচেতন লোকজন ওসি মনজুর আলমের  মানবিকতা নিয়ে ব্যাপক প্রশংসাও আলোচনা করেন।

পুলিশ জানায়, করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি এবং এর প্রাদুর্ভাব মোকাবেলায় মুরাদনগর থানা এলাকায় পুলিশ লকডাউন পালন করার জন্য জনসাধারণের প্রতি আহবান জানায়। কিন্তু প্রশাসনের নির্দেশনা অমান্য করে কিছু সিএনজি ও অটো রিকশা চালক রাস্তায় বেরিয়ে পড়ে। এই সকল চালক লকডাউন ভেঙ্গে অকার্যকর পরিবেশ সৃষ্টি করে, পরিবেশ ও রাস্তাঘাট দূষিত আশঙ্কায় ১৩০টি সিএনজি ও অটোরিকশা আটক করে থানা পুলিশ। এর আগেও  অনেক মানব সেবা করে মুরাদনগর থানা এলাকায় বেশ কিছু দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন থানা পুলিশ।

পরিশেষে মুরাদনগর থানার সাধারণ জনগণ মানবতার পিতা হিসেবে ওসি একেএম মনজুর আলমকে আখ্যায়িত করেন।