ঢাকা ০৬:১৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
প্রথম দিনেই রোগী দেখে সবার মন জয় করেলেন ডাক্তার মোঃ হুমায়ুন রশিদ শাকিল বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষে বগুড়া জেলা আরজেএফ’র সুপেয় পানি স্যালাইন ও বিস্কুট বিতরণ দুমকীতে খাল সংস্কার প্রকল্পে অনিয়মসহ শত শতগাছ উপড়ে ফেলার অভিযোগ। বাকেরগঞ্জ বাসীর উন্নয়নমুলক সকল প্রত্যাশা পুরনে কাজ করব। ৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷ রাজীব আহমেদ তালুকদার। দেশ জুরে শুরু হয়েছে ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। মুরাদনগর উপজেলা মোট-১৭ জন প্রার্থী মনোনয়ন পত্র দাখিল করেন। টাঙ্গাইলে এইচআইভি ও এইডস রোগের সচেতনতা সৃষ্টিতে কর্মশালা অনুষ্ঠিত লোহাগড়া উপজেলা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে প্রতিক বরাদ্দ বগুড়া শিবগঞ্জে নাতির রাম দা’র কোপে নানী খুন ফুটপাত উদ্ধার করতে হবে: মেয়র রেজাউল আন্তর্জাতিক মে দিবস পালন করেন নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রাসাদ নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়

রমজানে মসজিদে খতম তারাবিহ হচ্ছে না ৫ হাজার হাফেজ পরিবার অসহায় জীবন যাপন

শেখ সাইফুল ইসলাম কবির.সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার,বাগেরহাট:মরণঘাতি করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে পবিএ রমজানে এ বছর বাগেরহাটে প্রায়  ২৫১৪টি মসজিদে খতম তারাবিহ নামাজ পড়ানো হচ্ছে না। এ সাথে জড়িত প্রায় ৫ হাজার পরিবার অসহায় জীবন যাপন করছে।সাধারনত মুসল্লীদের দানেই চলে। আর এই দানের অংশ থেকেই বেতন হয় ইমাম,হাফেজদের।কোভিড-১৯ এ আত্রান্তের সংখ্যা বিশ্বব্যাপি বৃদ্ধি পাওয়ায় সরকার মসজিদে না গিয়ে বাড়ীতে বসে নামাজ পড়ার সিদ্ধান্ত দেন। এতে বেশিরভাগ মুসল্লীরা ঘরে বসেই নামাজ পড়েন ঘরে বসেই। মসজিদে মুসল্লিদের উপস্থিতি না থাকায় ইমাম ও হাফেজরা তাদের বেতন পাচ্ছেননা। বেতন না পাওয়ায় অধিকাংশ পরিবার নিয়ে চরম অর্থ কস্টে রয়েছেন। এ সামান্য বেতন দিয়ে তাদের কোন রকমের জীবন চালিয়ে যেতে হয়।আবার খতম তারাবিহ নামাজ বন্ধ থাকায় ওই সব কুরআনে হাফেজদের এক মাসের আয় রোজাগার থাকছে না। । করোনার কারনে প্রায় মসজিদে মসজিদে এ বছর খতম তারাবিহ পড়ানো হচ্ছে না। বিশেষ করে প্রতিটি মসজিদে ১২ জনের বেশী মুসল্লি অংশ নিতে পারবেন-সরকারি ভাবে এমন সংখ্যা বেধে দেওয়ার পর বাগেরহাটে অধিকাংশ মসজিদেই খতম তারাবিহ নামাজ আদায় করা হবে না।
ভাইজোড়া জামে মসজিদের সভাপতি  মোতালেব ফকির জানান  এলাকার মুসল্লীদের চাঁদার টাকায় আমাদের মসজিদ চলে। করোনাভাইরাসের কারনে মুসল্লিরা নামাজ পড়তে আসেনা এবং মাসিক চাঁদাও দেয় না, তাই আমরা ইমামদের বেতন দিতে পারছি না। একারনে আমাদের ইমাম এখন মসজিদে আসতে চাচ্ছে না।
ভাইজোড়া জামে মসজিদের ইমাম বলেন, গত মাসের বেতন এখন পর্যন্ত দেয়নি। চলতি মাসে মসজিদ কমিটি কি করবে জানি না। করোনাভাইরাসের কারনে মুসল্লীরা এখন মসজিদে নামাজ পড়তে আসেনা বললেই চলে। পরিবার পরিজন নিয়ে সংসার চালাতে ভিষন কষ্ট হচ্ছে। সরকারি ভাবে আমাদের যদি সাহায্য করতো তাহলে হয়তো দু‘বেলা দু‘মুঠো খেতে পারতাম।

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

প্রথম দিনেই রোগী দেখে সবার মন জয় করেলেন ডাক্তার মোঃ হুমায়ুন রশিদ শাকিল

রমজানে মসজিদে খতম তারাবিহ হচ্ছে না ৫ হাজার হাফেজ পরিবার অসহায় জীবন যাপন

আপডেট টাইম ০৩:৫০:০৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২০

শেখ সাইফুল ইসলাম কবির.সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার,বাগেরহাট:মরণঘাতি করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে পবিএ রমজানে এ বছর বাগেরহাটে প্রায়  ২৫১৪টি মসজিদে খতম তারাবিহ নামাজ পড়ানো হচ্ছে না। এ সাথে জড়িত প্রায় ৫ হাজার পরিবার অসহায় জীবন যাপন করছে।সাধারনত মুসল্লীদের দানেই চলে। আর এই দানের অংশ থেকেই বেতন হয় ইমাম,হাফেজদের।কোভিড-১৯ এ আত্রান্তের সংখ্যা বিশ্বব্যাপি বৃদ্ধি পাওয়ায় সরকার মসজিদে না গিয়ে বাড়ীতে বসে নামাজ পড়ার সিদ্ধান্ত দেন। এতে বেশিরভাগ মুসল্লীরা ঘরে বসেই নামাজ পড়েন ঘরে বসেই। মসজিদে মুসল্লিদের উপস্থিতি না থাকায় ইমাম ও হাফেজরা তাদের বেতন পাচ্ছেননা। বেতন না পাওয়ায় অধিকাংশ পরিবার নিয়ে চরম অর্থ কস্টে রয়েছেন। এ সামান্য বেতন দিয়ে তাদের কোন রকমের জীবন চালিয়ে যেতে হয়।আবার খতম তারাবিহ নামাজ বন্ধ থাকায় ওই সব কুরআনে হাফেজদের এক মাসের আয় রোজাগার থাকছে না। । করোনার কারনে প্রায় মসজিদে মসজিদে এ বছর খতম তারাবিহ পড়ানো হচ্ছে না। বিশেষ করে প্রতিটি মসজিদে ১২ জনের বেশী মুসল্লি অংশ নিতে পারবেন-সরকারি ভাবে এমন সংখ্যা বেধে দেওয়ার পর বাগেরহাটে অধিকাংশ মসজিদেই খতম তারাবিহ নামাজ আদায় করা হবে না।
ভাইজোড়া জামে মসজিদের সভাপতি  মোতালেব ফকির জানান  এলাকার মুসল্লীদের চাঁদার টাকায় আমাদের মসজিদ চলে। করোনাভাইরাসের কারনে মুসল্লিরা নামাজ পড়তে আসেনা এবং মাসিক চাঁদাও দেয় না, তাই আমরা ইমামদের বেতন দিতে পারছি না। একারনে আমাদের ইমাম এখন মসজিদে আসতে চাচ্ছে না।
ভাইজোড়া জামে মসজিদের ইমাম বলেন, গত মাসের বেতন এখন পর্যন্ত দেয়নি। চলতি মাসে মসজিদ কমিটি কি করবে জানি না। করোনাভাইরাসের কারনে মুসল্লীরা এখন মসজিদে নামাজ পড়তে আসেনা বললেই চলে। পরিবার পরিজন নিয়ে সংসার চালাতে ভিষন কষ্ট হচ্ছে। সরকারি ভাবে আমাদের যদি সাহায্য করতো তাহলে হয়তো দু‘বেলা দু‘মুঠো খেতে পারতাম।