ঢাকা ০২:৫২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
দেশ জুরে শুরু হয়েছে ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। মুরাদনগর উপজেলা মোট-১৭ জন প্রার্থী মনোনয়ন পত্র দাখিল করেন। টাঙ্গাইলে এইচআইভি ও এইডস রোগের সচেতনতা সৃষ্টিতে কর্মশালা অনুষ্ঠিত লোহাগড়া উপজেলা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে প্রতিক বরাদ্দ বগুড়া শিবগঞ্জে নাতির রাম দা’র কোপে নানী খুন ফুটপাত উদ্ধার করতে হবে: মেয়র রেজাউল আন্তর্জাতিক মে দিবস পালন করেন নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রাসাদ নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয় রাঙ্গুনিয়ায় চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানে প্রতিদ্বন্দ্বীবিহীন প্রার্থী ভোট হবে ভাইস চেয়ারম্যানের (চার প্রার্থীর মধ্যে দুই প্রার্থীর মনোনয়ন প্রত্যাহার ভোট প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে দুই জনের মধ্যে।) “কেরানীগঞ্জে এক হাজার পথচারীদের মাঝে শরবত বিতরণ করলেন সাংবাদিকরা” লক্ষ্মীপুরে শ্রেষ্ঠ অধ্যক্ষ পুরস্কার নিয়ে বির্তক দিঘলিয়ায় মে দিবস পালিত।

মুরাদনগরের করোনায় কর্মহীন হয়ে পড়া প্রায় ২০ হাজার পরিবহন শ্রমিকের পাশে নেই মালিকরা

মোহাম্মদ মনির হোসাইন, কুমিল্লা উত্তর জেলা প্রতিনিধি: কুমিল্লার মুরাদনগরে করোনা ভাইরাস সংক্রমনের প্রভাবে সরকারি নির্দেশনা মেনে বন্ধ রাখা হয়েছে গুপরিবহন। এমন পরিস্থিতিতে দিন আনে দিন খাওয়া পরিবহন শ্রমিকরা পড়েছেন মহা সংকটে। সাহায্য সহযোগীতা নিয়ে মালিকরাও নেই তাদের পাশে। সাধারণ পরিবহন শ্রমিকরা বলছেন গাড়ির চাকা না ঘুরলে তাদের আয় রোজগার হয় না। সরকারি সাহায্যের দিকে তাকিয়ে দিন কাটাচ্ছেন তারা।
এ উপজেলায় পরিবহন খাতে শ্রমিক রয়েছে প্রায় ২০ হাজার তার মধ্যে সিএনজি চালক রয়েছে প্রায় ৬ হাজার, ইটভাটায় চলাচলরত ট্রাক্টরে রয়েছে প্রায় ৫ হাজার, বাসে রয়েছে প্রায় ৩ হাজার ও অন্যান্য পরিবহনে রয়েছে প্রায় ৬ হাজার শ্রমিক। শ্রমিকদের অভিযোগ, এমন সংকটে তাদের পাশে দাঁড়ানো তো দুরের কথা খোঁজ খবরও নিচ্ছেননা অনেক মালিকরা। এমন পরিস্থিতিতে কেউ কেউ অনাহারেও দিন যাপন করতে হচ্ছে পরিবার নিয়ে। রবিবার মুরাদনগরের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে দেখা গেছে, দু-একটি রিক্সা দাঁড়িয়ে আছে কোন সড়কেই নেই গণপরিবহন। রাস্তায় নেই মানুষের ছোটাছুটি। মোড়ে-মোড়ে রয়েছে আইর-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতা।
কুমিল্লা জেলা পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ণের সাধারণ সম্পাদক মোঃ সহিদ মিয়া জানান, সারা জেলায় কমপক্ষে বাস শ্রমিক রয়েছে ৮ হাজার, যারা দিন আনে দিন খায়। জেলা প্রশাসক থেকে কিছু সহায়তা পেয়েছি, তা শ্রমিকদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে, শ্রমিকদের ত্রাণের জন্য সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হয়েছে। কুমিল্লা জেলা পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক হাজী তাজুল ইসলাম জানান, করোনার কারণে যানবাহন না চলায়, শ্রমিকরা যেমন বেকার হয়ে পড়েছে, ঠিক তেমনি মালিকরা ও পড়েছে বিপাকে। এই অবস্থায় সরকার পরিবহন মালিক ও শ্রমিকদের পাশে না থাকলে দেশে যোগাযোগ ব্যবস্থায় বা পরিবহন খাতে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে জানান।
তিশা পরিবহনের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর হাজী মোবারক হোসেন বলেন, মুরাদনগর থেকে প্রতিদিন প্রায় শতাধিক তিশা বাস চলাচল করত করোনার কারণে ২৪ মার্চ থেকে গণপরিবহন বন্ধ থাকায় শুধু শ্রমিক নয়, পরিবহন মালিকরাও আয়বঞ্চিত হয়ে কঠিন সময় পার করছে।
কুমিল্লা জেলা পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের কোম্পানীগঞ্জ শাখার সভাপতি হাবিবুর রহমান বলেন, আমি ব্যক্তিগত ভাবে পরিবহন শ্রমিকদেরকে খাদ্য সামগ্রী দিয়েছি, এ পর্যন্ত সরকারি কোন অনুদান পাই নি। সরকারি ত্রাণের জন্য কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মহোদয়ের বরাবর আবেদন করা হয়েছে।
Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

দেশ জুরে শুরু হয়েছে ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। মুরাদনগর উপজেলা মোট-১৭ জন প্রার্থী মনোনয়ন পত্র দাখিল করেন।

মুরাদনগরের করোনায় কর্মহীন হয়ে পড়া প্রায় ২০ হাজার পরিবহন শ্রমিকের পাশে নেই মালিকরা

আপডেট টাইম ০১:৫২:৪৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ এপ্রিল ২০২০
মোহাম্মদ মনির হোসাইন, কুমিল্লা উত্তর জেলা প্রতিনিধি: কুমিল্লার মুরাদনগরে করোনা ভাইরাস সংক্রমনের প্রভাবে সরকারি নির্দেশনা মেনে বন্ধ রাখা হয়েছে গুপরিবহন। এমন পরিস্থিতিতে দিন আনে দিন খাওয়া পরিবহন শ্রমিকরা পড়েছেন মহা সংকটে। সাহায্য সহযোগীতা নিয়ে মালিকরাও নেই তাদের পাশে। সাধারণ পরিবহন শ্রমিকরা বলছেন গাড়ির চাকা না ঘুরলে তাদের আয় রোজগার হয় না। সরকারি সাহায্যের দিকে তাকিয়ে দিন কাটাচ্ছেন তারা।
এ উপজেলায় পরিবহন খাতে শ্রমিক রয়েছে প্রায় ২০ হাজার তার মধ্যে সিএনজি চালক রয়েছে প্রায় ৬ হাজার, ইটভাটায় চলাচলরত ট্রাক্টরে রয়েছে প্রায় ৫ হাজার, বাসে রয়েছে প্রায় ৩ হাজার ও অন্যান্য পরিবহনে রয়েছে প্রায় ৬ হাজার শ্রমিক। শ্রমিকদের অভিযোগ, এমন সংকটে তাদের পাশে দাঁড়ানো তো দুরের কথা খোঁজ খবরও নিচ্ছেননা অনেক মালিকরা। এমন পরিস্থিতিতে কেউ কেউ অনাহারেও দিন যাপন করতে হচ্ছে পরিবার নিয়ে। রবিবার মুরাদনগরের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে দেখা গেছে, দু-একটি রিক্সা দাঁড়িয়ে আছে কোন সড়কেই নেই গণপরিবহন। রাস্তায় নেই মানুষের ছোটাছুটি। মোড়ে-মোড়ে রয়েছে আইর-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতা।
কুমিল্লা জেলা পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ণের সাধারণ সম্পাদক মোঃ সহিদ মিয়া জানান, সারা জেলায় কমপক্ষে বাস শ্রমিক রয়েছে ৮ হাজার, যারা দিন আনে দিন খায়। জেলা প্রশাসক থেকে কিছু সহায়তা পেয়েছি, তা শ্রমিকদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে, শ্রমিকদের ত্রাণের জন্য সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হয়েছে। কুমিল্লা জেলা পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক হাজী তাজুল ইসলাম জানান, করোনার কারণে যানবাহন না চলায়, শ্রমিকরা যেমন বেকার হয়ে পড়েছে, ঠিক তেমনি মালিকরা ও পড়েছে বিপাকে। এই অবস্থায় সরকার পরিবহন মালিক ও শ্রমিকদের পাশে না থাকলে দেশে যোগাযোগ ব্যবস্থায় বা পরিবহন খাতে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে জানান।
তিশা পরিবহনের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর হাজী মোবারক হোসেন বলেন, মুরাদনগর থেকে প্রতিদিন প্রায় শতাধিক তিশা বাস চলাচল করত করোনার কারণে ২৪ মার্চ থেকে গণপরিবহন বন্ধ থাকায় শুধু শ্রমিক নয়, পরিবহন মালিকরাও আয়বঞ্চিত হয়ে কঠিন সময় পার করছে।
কুমিল্লা জেলা পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের কোম্পানীগঞ্জ শাখার সভাপতি হাবিবুর রহমান বলেন, আমি ব্যক্তিগত ভাবে পরিবহন শ্রমিকদেরকে খাদ্য সামগ্রী দিয়েছি, এ পর্যন্ত সরকারি কোন অনুদান পাই নি। সরকারি ত্রাণের জন্য কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মহোদয়ের বরাবর আবেদন করা হয়েছে।