মোহাম্মদ মনির হোসাইন,কুমিল্লা উত্তর জেলা প্রতিনিধি : মুরাদনগর উপজেলার বাবা ক্যান্সারজনিত কারনে পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছে মাত্র কয়েকদিন, মা হারিয়েছে আরো আগে, দের বছরের মেয়ে আর স্বামী দিনমজুর সাইফুল ইসলামকে নিয়ে ই তার পৃথিবী, চৈত্রের খরায় আকস্মিক বৈশাখীর তান্ডবে বাবার রেখে যাওয়া শুধু ভিটেমাটি ও আজ শূন্য, এই প্রতিবেদক কে দেখে ফুঁপিয়ে কেঁদে উঠে সোহাগী ‘ এমন নিদারুণ দৃশ্যটি কাঁদিয়েছে উপস্থিত সকলকে, এটি বাঙ্গরা বাজার থানাধীন কাগাতুয়া গ্রামের মৃত মানিক মিয়ার মেয়ে সোহাগীর কথা বলছি।
কুমিল্লা মুরাদনগর উপজেলার নবীপুর পশ্চিম,, জাহাপুর,কামাল্লা, রামচন্দ্রপুর উঃ, বাঙ্গরা পশ্চিম, শ্রীকাইলসহ ৬ টি ইউনিয়নের প্রায় ১০ টি গ্রামে কালবৈশাখী তাণ্ডব চালিয়ে ব্যপক ক্ষতি করে।
শুক্রবার বিকেলে আকস্মিক তাণ্ডব শুরু হয়ে প্রায় ৩০ মিনিটের মধ্যে ই অনেকের স্বপ্ন চুরমার হয়ে যায়, এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কামাল্লার খোরশিদ সরকার, মাঞ্জু মিয়া, বারু মিয়া, নেছারের মুরগীর খামার, আজমল খানের বাড়ী, ভাঙ্গানাগরের শামমিয়া, শাহিন মিয়ার বাড়ী,দিঘির পাড়ের তাজুল ইসলাম,কাগাতুয়ার সুপার মার্কেটের ৪ টি দোকান, কুড়াখালের হাই স্কুলের ঘর, আবুল হোসেন, ফজলু মিয়া, আমজাদ হোসেন,মাইনুল ইসলাম সরকার নেছার,বিল্লাল খা,মোর্শেদ খা, পিপড়িয়ার লিটন খার মুরগীর খামারসহ অনেকে ই ক্ষতিগ্রস্ত হয়, এতে অনেক পরিবার সবকিছু হারিয়ে খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছে, ক্ষতিগ্রস্তরা এখনো কোন প্রকার সহযোগীতা পায়নি বলে অভিযোগ করেন, সরকারী সহযোগীতা না পেলে এ ক্ষতি কাটিয়ে উঠা সম্ভব নয় বলে তারা জানিয়েছেন, এ ব্যপারে বাঙ্গরা পশ্চিম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রুহুল আমিন বলেন আমরা মাননীয় এমপি মহোদয়ের নির্দেশে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করে খুব তাড়াতাড়ি জমা জমা করিডোর।