ঢাকা ১১:১৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
টাঙ্গাইলে পাহাড়ি টিলা কাটছে মাটিখেকোরা, জীব বৈচিত্র্য হুমকির মুখে “কুষ্টিয়ায় নকল আকিজ বিড়িসহ বিড়ি তৈরির উপকরণ জব্দ” চট্টগ্রামের উন্নয়নে তিন খাতে সিঙ্গাপুরের সহায়তা চাইলেন মেয়র রেজাউল বরিশালে বাস শ্রমিককে মারধরের ঘটনায় কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল অবরোধ করে শ্রমিকেরা। গজারিয়ায় কাভার্ড ভ্যানের ধাক্কায় খাদে প্রাইভেটকার, নিহত ৩ সিলেটে আগাম বন্যার আশঙ্কায়!! হাওরজুড়ে কৃষকের ব্যস্ততা শিশুদের মনোবিকাশে প্রয়োজন সংস্কৃতি চর্চা: মেয়র রেজাউল উপজেলা পরিষদ নির্বাচন হাতীবান্ধায় নির্বাচনী সংঘর্ষে চেয়ারম্যান প্রার্থী সহ আহত ১০ ভূয়া নিয়োগপত্র দিয়ে টাকা হাতিয়ে নেয়ার, প্রতারক চক্রের এক সদস্য গ্রেপ্তার প্রথম দিনেই রোগী দেখে সবার মন জয় করেলেন ডাক্তার মোঃ হুমায়ুন রশিদ শাকিল

মানুষের সেবা করতে গিয়ে জীবন বিপন্ন হলে ও পুলিশ সদস্যরা পিছপা হবো না••• ও সি এ কে এম মনজুর আলম

মোহাম্মদ মনির হোসাইন,কুমিল্লা উত্তর জেলা প্রতিনিধি:  মুরাদনগর থানা করোনা ভাইরাসের প্রতিরোধের এই দুর্যোগের সময় মুরাদনগর থানা পুলিশ ঝুঁকি নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। অফিসার ইনচার্জ এ কে এম মনজুর আলম এর নেতৃত্বে থানার পুলিশ বাহিনী ও সকল সদস্য নিয়োজিত রয়েছেন মুরাদনগর বাসিক কল্যাণে। পুলিশ সদস্যরা বর্তমানে তাদের দৈনন্দিন কাজের ৮০ ভাগই কাজ করছে করোনা ভাইরাস নিয়ে। মার্চ মাসে প্রবাস থেকে দেশে আসা সকল  প্রবাসীর মধ্যে খোঁজ খবর প্রবাস ফেরত রেমিটেন্স যোদ্ধাদের বাড়িতে পুলিশ গিয়েছে। এর মধ্যে সকলের বাড়িতে হোম কোয়ারেন্টাইনে পেয়েছে। এ সময় তাদের শারিরীক অবস্থার খোঁজ খবর নেন পুলিশ। পুলিশ সদস্যরা তাদেরকে হোম কোয়ারেন্টানে থাকার নিয়ম-কানুন বুঝিয়ে বলেন। এছাড়া  এসব প্রবাসীদের নিয়মিত খোঁজ রাখার স্বার্থে বাড়ির পাশের  ভিন্ন ব্যক্তির ফোন নম্বর সংগ্রহ করে পুলিশ। প্রবাসীদের ব্যাপারে  প্রতিবেশীদের কাছ থেকে নিয়মিত কোয়ারেন্টাইনে আছে কিনা তা খোঁজ নিচ্ছে সংশ্লিষ্ট থানার পুলিশের সদস্যরা।
ইতোমধ্যে থানা পুলিশের পক্ষ থেকে করোনা ভাইরাস সম্পর্কিত নিয়মকানুন সম্বলিত  লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে। সাধারন মানুষকে সচেতন করার পাশাপাশি তাদের মধ্যে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও মাস্ক বিতরণ করা হচ্ছে। এছাড়া সেনাবাহিনী  সমন্বিতভাবে করোনা ভাইরাস রোধে নিয়মিত কাজ করে যাচ্ছে মুরাদনগর থানা পুলিশের সদস্যরা। পুলিশের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে    অসাধু ব্যবসায়ীদের কারসাজিতে বাজারে দ্রব্যমূল্য বৃ্দ্ধি ঠেকাতে বাজার মনিটরিংয়ে সিভিল প্রশাসনকে সহযোগিতা করছে পুলিশ। একই সাথে থানা আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঠিক রাখার নিয়মিত দায়িত্বও পালন করছেন তারা। এক সপ্তাহ পরে খাদ্যদ্রব্যের অভাব দেখা দিলে চুরি  ডাকাতির আশঙ্কা রয়েছে, বিষয়টি মাথায় রেখে পুলিশের পূর্ব প্রস্তুতি রয়েছে বলেও জানাগেছে। করোনা রোধের কাজে ব্যবহারের জন্য পুলিশ সদ্যদের জন্য রেইনকোট মওজুদ রাখা হয়েছে। যা দিয়ে পা থেকে মাথা পর্যন্ত নিজকে আবৃত্ত রাখা যাবে। এ ছাড়া আরও সুরক্ষা পোশাক তৈরি করা হচ্ছে। করোনা প্রতিরোধে কোন পুলিশ সদস্য আক্রান্ত হলে তার যথাযথ সেবা দেওয়ার প্রস্তুতি রয়েছে। পুলিশ হাসপাতালে অসুস্থ পুলিশদেরকে রাখার জন্যও বেড প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
জানতে চাইলে থানা অফিসার ইনচার্জ এ কে এম মনজুর আলম  বলেন, করোনা ভাইরাসের এই দুর্যোগে অন্য কোন সেবাদানকারী সংস্থার চাইতে পুলিশ কোন অংশে পিছিয়ে নেই। এমনিতেই দেশবাসীর বিপদে আপদে পুলিশ সার্বক্ষণিক নিয়োজিত থাকে। বর্তমান পরিস্থিতিতেও মানুষের সেবায় পিছিয়ে থাকবেনা তারা। বরং সার্বক্ষণিক মাঠে থাকার মানসিকতা নিয়ে মুরাদনগর থানার প্রতিটি পুলিশ সদস্য এই সংকটময় পরিস্থিতিতে কাজ করে যাচ্ছে। এছাড়া সরকারের সকল নির্দেশনা মেনে সর্বোপরি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিক দিক নির্দেশনায় পুলিশ শেষ পর্যন্ত কাজ করে যাবেন বলেও জানান তিনি। মানুষের সেবা করতে গিয়ে জীবন বিপন্ন হলেও পুলিশ সদস্যরা পিছপা হবে না বলেও উল্লেখ করেন অফিসার্স ইনচার্জ এ কাজে আল্লাহ্ তায়লা সকল পুলিশ সদস্যদের সহায়তা করবেন বলে মনে করেন তিনি।
Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

টাঙ্গাইলে পাহাড়ি টিলা কাটছে মাটিখেকোরা, জীব বৈচিত্র্য হুমকির মুখে

মানুষের সেবা করতে গিয়ে জীবন বিপন্ন হলে ও পুলিশ সদস্যরা পিছপা হবো না••• ও সি এ কে এম মনজুর আলম

আপডেট টাইম ১১:০০:৫৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১ এপ্রিল ২০২০
মোহাম্মদ মনির হোসাইন,কুমিল্লা উত্তর জেলা প্রতিনিধি:  মুরাদনগর থানা করোনা ভাইরাসের প্রতিরোধের এই দুর্যোগের সময় মুরাদনগর থানা পুলিশ ঝুঁকি নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। অফিসার ইনচার্জ এ কে এম মনজুর আলম এর নেতৃত্বে থানার পুলিশ বাহিনী ও সকল সদস্য নিয়োজিত রয়েছেন মুরাদনগর বাসিক কল্যাণে। পুলিশ সদস্যরা বর্তমানে তাদের দৈনন্দিন কাজের ৮০ ভাগই কাজ করছে করোনা ভাইরাস নিয়ে। মার্চ মাসে প্রবাস থেকে দেশে আসা সকল  প্রবাসীর মধ্যে খোঁজ খবর প্রবাস ফেরত রেমিটেন্স যোদ্ধাদের বাড়িতে পুলিশ গিয়েছে। এর মধ্যে সকলের বাড়িতে হোম কোয়ারেন্টাইনে পেয়েছে। এ সময় তাদের শারিরীক অবস্থার খোঁজ খবর নেন পুলিশ। পুলিশ সদস্যরা তাদেরকে হোম কোয়ারেন্টানে থাকার নিয়ম-কানুন বুঝিয়ে বলেন। এছাড়া  এসব প্রবাসীদের নিয়মিত খোঁজ রাখার স্বার্থে বাড়ির পাশের  ভিন্ন ব্যক্তির ফোন নম্বর সংগ্রহ করে পুলিশ। প্রবাসীদের ব্যাপারে  প্রতিবেশীদের কাছ থেকে নিয়মিত কোয়ারেন্টাইনে আছে কিনা তা খোঁজ নিচ্ছে সংশ্লিষ্ট থানার পুলিশের সদস্যরা।
ইতোমধ্যে থানা পুলিশের পক্ষ থেকে করোনা ভাইরাস সম্পর্কিত নিয়মকানুন সম্বলিত  লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে। সাধারন মানুষকে সচেতন করার পাশাপাশি তাদের মধ্যে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও মাস্ক বিতরণ করা হচ্ছে। এছাড়া সেনাবাহিনী  সমন্বিতভাবে করোনা ভাইরাস রোধে নিয়মিত কাজ করে যাচ্ছে মুরাদনগর থানা পুলিশের সদস্যরা। পুলিশের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে    অসাধু ব্যবসায়ীদের কারসাজিতে বাজারে দ্রব্যমূল্য বৃ্দ্ধি ঠেকাতে বাজার মনিটরিংয়ে সিভিল প্রশাসনকে সহযোগিতা করছে পুলিশ। একই সাথে থানা আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঠিক রাখার নিয়মিত দায়িত্বও পালন করছেন তারা। এক সপ্তাহ পরে খাদ্যদ্রব্যের অভাব দেখা দিলে চুরি  ডাকাতির আশঙ্কা রয়েছে, বিষয়টি মাথায় রেখে পুলিশের পূর্ব প্রস্তুতি রয়েছে বলেও জানাগেছে। করোনা রোধের কাজে ব্যবহারের জন্য পুলিশ সদ্যদের জন্য রেইনকোট মওজুদ রাখা হয়েছে। যা দিয়ে পা থেকে মাথা পর্যন্ত নিজকে আবৃত্ত রাখা যাবে। এ ছাড়া আরও সুরক্ষা পোশাক তৈরি করা হচ্ছে। করোনা প্রতিরোধে কোন পুলিশ সদস্য আক্রান্ত হলে তার যথাযথ সেবা দেওয়ার প্রস্তুতি রয়েছে। পুলিশ হাসপাতালে অসুস্থ পুলিশদেরকে রাখার জন্যও বেড প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
জানতে চাইলে থানা অফিসার ইনচার্জ এ কে এম মনজুর আলম  বলেন, করোনা ভাইরাসের এই দুর্যোগে অন্য কোন সেবাদানকারী সংস্থার চাইতে পুলিশ কোন অংশে পিছিয়ে নেই। এমনিতেই দেশবাসীর বিপদে আপদে পুলিশ সার্বক্ষণিক নিয়োজিত থাকে। বর্তমান পরিস্থিতিতেও মানুষের সেবায় পিছিয়ে থাকবেনা তারা। বরং সার্বক্ষণিক মাঠে থাকার মানসিকতা নিয়ে মুরাদনগর থানার প্রতিটি পুলিশ সদস্য এই সংকটময় পরিস্থিতিতে কাজ করে যাচ্ছে। এছাড়া সরকারের সকল নির্দেশনা মেনে সর্বোপরি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিক দিক নির্দেশনায় পুলিশ শেষ পর্যন্ত কাজ করে যাবেন বলেও জানান তিনি। মানুষের সেবা করতে গিয়ে জীবন বিপন্ন হলেও পুলিশ সদস্যরা পিছপা হবে না বলেও উল্লেখ করেন অফিসার্স ইনচার্জ এ কাজে আল্লাহ্ তায়লা সকল পুলিশ সদস্যদের সহায়তা করবেন বলে মনে করেন তিনি।