ঢাকা ১১:৩৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বরিশালে বাস শ্রমিককে মারধরের ঘটনায় কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল অবরোধ করে শ্রমিকেরা। গজারিয়ায় কাভার্ড ভ্যানের ধাক্কায় খাদে প্রাইভেটকার, নিহত ৩ সিলেটে আগাম বন্যার আশঙ্কায়!! হাওরজুড়ে কৃষকের ব্যস্ততা শিশুদের মনোবিকাশে প্রয়োজন সংস্কৃতি চর্চা: মেয়র রেজাউল উপজেলা পরিষদ নির্বাচন হাতীবান্ধায় নির্বাচনী সংঘর্ষে চেয়ারম্যান প্রার্থী সহ আহত ১০ ভূয়া নিয়োগপত্র দিয়ে টাকা হাতিয়ে নেয়ার, প্রতারক চক্রের এক সদস্য গ্রেপ্তার প্রথম দিনেই রোগী দেখে সবার মন জয় করেলেন ডাক্তার মোঃ হুমায়ুন রশিদ শাকিল বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষে বগুড়া জেলা আরজেএফ’র সুপেয় পানি স্যালাইন ও বিস্কুট বিতরণ দুমকীতে খাল সংস্কার প্রকল্পে অনিয়মসহ শত শতগাছ উপড়ে ফেলার অভিযোগ। বাকেরগঞ্জ বাসীর উন্নয়নমুলক সকল প্রত্যাশা পুরনে কাজ করব। ৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷ রাজীব আহমেদ তালুকদার।

ধামরাইয়ে নারী আইনজীবীর বাড়ী ভাংচুর, হামলার শিকার দুই আইনজীবি

স্টাফ রিপোর্টারঃ- রাজধানী ঢাকার পাশ্ববর্তী ধামরাই পৌরসভায় এক নারী আইনজীবির বাড়ী ভাংচুরের অভিযোগ উঠেছে। সম্পূর্ণ অনিয়মতান্ত্রিকভাবে আইনের তোয়াক্কা না করেই খোদ পৌরসভার মেয়র ও স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে পৈত্রিক বসতবাড়ী ভাংচুরের অভিযোগ করেন ভূক্তভোগী আইনজীবি শাহনাজ শারমিন এ্যানী। এসময় বাধাঁ দিতে গিয়ে সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়েছেন শারমিন এ্যানি ও তার স্বামী অ্যাডভোকেট তোজ্জামেল হোসনে সোহাগসহ পরিবারের অন্য সদস্যরা। এ ঘটনায় ধামরাই থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

ভূক্তভোগী আইনজীবি শাহনাজ শারমিন অভিযোগ করে বলেন, প্রয়াত বাবা এস এম শাহজাহান ১৯৯৭ইং সালে ধামরাই পৌর এলাকার লাকুড়িয়াপাড়া এলাকায় ৯শতাংশ জমির উপর বহুতল ভবন নির্মান করে বসবাস শুরু করেন। ২০০৯ ইং সালে বাবা মারা যাওয়ার পর ওই বাড়ীতে মা ও ছোট দু’টি বোনকে নিয়ে ভালোভাবেই বাস করছিলেন। কিন্তু সম্প্রতি ধামরাই পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর স্থানীয় বাবুল মিয়ার কু-দৃষ্টি পড়ে আমাদের ওই জমির উপর। এরপর থেকেই বিভিন্নভাবে হয়রানীর চেষ্টা করতে থাকে বাবুল মিয়া ও তার লোকজন। গেলো ১২ মার্চ হঠাৎই সকাল বেলা ৬০-৭০জন গুন্ডা প্রকৃতির লোকজন নিয়ে আমাদের বাড়ীতে এসে ভাংচুর শুরু করে। এসময় পৌর মেয়র ও কাউন্সিলর বাবুল মিয়া ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে ভাংচুরের নির্দেশনা দিতে থাকেন। এসময় তারা বাড়ীর একাংশ ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেন। লুটপাট করেন বাড়ীর মূল্যবান মালামাল। ভাংচুরে বাধাঁ দিতে গিয়ে এসময় সন্ত্রাসী হামলার শিকার হন শাহনাজ শারমিন, স্বামী তোজাম্মেল হোসেন সোহাদ এবং তার বৃদ্ধ মাসহ ছোট বোনেরা। স্থানীয়দের সহায়তায় তাদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পরে ওইদিন রাতেই ১৮ফুট সংযোগ সড়ক নির্মান করে দেওয়া হয়। শাহনাজ শারমিন এসময় অভিযোগ করে আরও বলেন, সিএস ও এসএ ম্যাপে এখান কোন রাস্তা না থাকলেও আরএস ম্যাপে এখান দিয়ে পায়ে হাটার জন্য শুধুমাত্র ৮ফিট রাস্তা ছিল যেখানে আমরাও সম্মতি দিয়েছিলাম। সম্প্রতি কিছুদুর পরেই একটি গার্মেন্ট প্রতিষ্ঠান রয়েছে। শুধুমাত্রা এ গার্মেন্টটি’র সুবিধার্থেই আমাদের পৈত্রিক বসত-ভিটা ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিয়েছে। এজন্য অবশ্য তারা ঐ গার্মেন্ট কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়েছে। এ ঘটনায় প্রৃকত দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করে তিনি বলেন, আমরা আইনজীবিরা আজ যেখানে নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছি সেখানে সাধারন মানুষের কি অবস্থা হতে পারে। এ ঘটনায় তিনি ধামরাই থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন বলেও জানান তিনি।

অভিযোগের বিষয়ে ধামরাই পৌরসভার মেয়র গোলাম কবীর বলেন, রাস্তা নির্মানের জন্য তাদের বাড়ী ভাঙ্গা হয়েছে। এজন্য কি তাদের জমি একর করা হয়েছে কি না এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন না জমিটি এখনো একর করা হয় নি।

ধামরাই থানার অফিসার ইনচার্য দীপক সাহা বলেন, এ ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলেও জানান তিনি।

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

বরিশালে বাস শ্রমিককে মারধরের ঘটনায় কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল অবরোধ করে শ্রমিকেরা।

ধামরাইয়ে নারী আইনজীবীর বাড়ী ভাংচুর, হামলার শিকার দুই আইনজীবি

আপডেট টাইম ০৮:৩৭:৫৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ মার্চ ২০২০

স্টাফ রিপোর্টারঃ- রাজধানী ঢাকার পাশ্ববর্তী ধামরাই পৌরসভায় এক নারী আইনজীবির বাড়ী ভাংচুরের অভিযোগ উঠেছে। সম্পূর্ণ অনিয়মতান্ত্রিকভাবে আইনের তোয়াক্কা না করেই খোদ পৌরসভার মেয়র ও স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে পৈত্রিক বসতবাড়ী ভাংচুরের অভিযোগ করেন ভূক্তভোগী আইনজীবি শাহনাজ শারমিন এ্যানী। এসময় বাধাঁ দিতে গিয়ে সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়েছেন শারমিন এ্যানি ও তার স্বামী অ্যাডভোকেট তোজ্জামেল হোসনে সোহাগসহ পরিবারের অন্য সদস্যরা। এ ঘটনায় ধামরাই থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

ভূক্তভোগী আইনজীবি শাহনাজ শারমিন অভিযোগ করে বলেন, প্রয়াত বাবা এস এম শাহজাহান ১৯৯৭ইং সালে ধামরাই পৌর এলাকার লাকুড়িয়াপাড়া এলাকায় ৯শতাংশ জমির উপর বহুতল ভবন নির্মান করে বসবাস শুরু করেন। ২০০৯ ইং সালে বাবা মারা যাওয়ার পর ওই বাড়ীতে মা ও ছোট দু’টি বোনকে নিয়ে ভালোভাবেই বাস করছিলেন। কিন্তু সম্প্রতি ধামরাই পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর স্থানীয় বাবুল মিয়ার কু-দৃষ্টি পড়ে আমাদের ওই জমির উপর। এরপর থেকেই বিভিন্নভাবে হয়রানীর চেষ্টা করতে থাকে বাবুল মিয়া ও তার লোকজন। গেলো ১২ মার্চ হঠাৎই সকাল বেলা ৬০-৭০জন গুন্ডা প্রকৃতির লোকজন নিয়ে আমাদের বাড়ীতে এসে ভাংচুর শুরু করে। এসময় পৌর মেয়র ও কাউন্সিলর বাবুল মিয়া ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে ভাংচুরের নির্দেশনা দিতে থাকেন। এসময় তারা বাড়ীর একাংশ ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেন। লুটপাট করেন বাড়ীর মূল্যবান মালামাল। ভাংচুরে বাধাঁ দিতে গিয়ে এসময় সন্ত্রাসী হামলার শিকার হন শাহনাজ শারমিন, স্বামী তোজাম্মেল হোসেন সোহাদ এবং তার বৃদ্ধ মাসহ ছোট বোনেরা। স্থানীয়দের সহায়তায় তাদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পরে ওইদিন রাতেই ১৮ফুট সংযোগ সড়ক নির্মান করে দেওয়া হয়। শাহনাজ শারমিন এসময় অভিযোগ করে আরও বলেন, সিএস ও এসএ ম্যাপে এখান কোন রাস্তা না থাকলেও আরএস ম্যাপে এখান দিয়ে পায়ে হাটার জন্য শুধুমাত্র ৮ফিট রাস্তা ছিল যেখানে আমরাও সম্মতি দিয়েছিলাম। সম্প্রতি কিছুদুর পরেই একটি গার্মেন্ট প্রতিষ্ঠান রয়েছে। শুধুমাত্রা এ গার্মেন্টটি’র সুবিধার্থেই আমাদের পৈত্রিক বসত-ভিটা ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিয়েছে। এজন্য অবশ্য তারা ঐ গার্মেন্ট কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়েছে। এ ঘটনায় প্রৃকত দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করে তিনি বলেন, আমরা আইনজীবিরা আজ যেখানে নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছি সেখানে সাধারন মানুষের কি অবস্থা হতে পারে। এ ঘটনায় তিনি ধামরাই থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন বলেও জানান তিনি।

অভিযোগের বিষয়ে ধামরাই পৌরসভার মেয়র গোলাম কবীর বলেন, রাস্তা নির্মানের জন্য তাদের বাড়ী ভাঙ্গা হয়েছে। এজন্য কি তাদের জমি একর করা হয়েছে কি না এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন না জমিটি এখনো একর করা হয় নি।

ধামরাই থানার অফিসার ইনচার্য দীপক সাহা বলেন, এ ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলেও জানান তিনি।