ঢাকা ০৬:২১ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বরিশালে বাস শ্রমিককে মারধরের ঘটনায় কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল অবরোধ করে শ্রমিকেরা। গজারিয়ায় কাভার্ড ভ্যানের ধাক্কায় খাদে প্রাইভেটকার, নিহত ৩ সিলেটে আগাম বন্যার আশঙ্কায়!! হাওরজুড়ে কৃষকের ব্যস্ততা শিশুদের মনোবিকাশে প্রয়োজন সংস্কৃতি চর্চা: মেয়র রেজাউল উপজেলা পরিষদ নির্বাচন হাতীবান্ধায় নির্বাচনী সংঘর্ষে চেয়ারম্যান প্রার্থী সহ আহত ১০ ভূয়া নিয়োগপত্র দিয়ে টাকা হাতিয়ে নেয়ার, প্রতারক চক্রের এক সদস্য গ্রেপ্তার প্রথম দিনেই রোগী দেখে সবার মন জয় করেলেন ডাক্তার মোঃ হুমায়ুন রশিদ শাকিল বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষে বগুড়া জেলা আরজেএফ’র সুপেয় পানি স্যালাইন ও বিস্কুট বিতরণ দুমকীতে খাল সংস্কার প্রকল্পে অনিয়মসহ শত শতগাছ উপড়ে ফেলার অভিযোগ। বাকেরগঞ্জ বাসীর উন্নয়নমুলক সকল প্রত্যাশা পুরনে কাজ করব। ৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷ রাজীব আহমেদ তালুকদার।

যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার রিপোর্ট অগ্রহণযোগ্য: তথ্যমন্ত্রী

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক :

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ইউএস স্টেট ডিপার্টমেন্ট মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে গত ১১ মার্চ বাংলাদেশের ওপর যে রিপোর্ট প্রকাশ করেছে—তা একপেশে ও অগ্রহণযোগ্য।

তিনি বলেন, যাদের তথ্য উপাত্ত নিয়ে এই রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে, সেসব সংগঠন ইতিপূর্বেই বাংলাদেশের মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্যতা হারিয়েছে।

শুক্রবার (১৩ মার্চ) বিকেলে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

হাছান মাহমুদ বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের হিউমান রাইটস রিপোর্টে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের রেফারেন্স দেওয়া হয়েছে।  সুতরাং যেসব প্রতিষ্ঠান তাদের গ্রহণযোগ্যতা হারিয়েছে।  তাদের থেকে তথ্য উপাত্ত নিয়ে যে রিপোর্ট সেটিও গ্রহণযোগ্য নয়। যুক্তরাষ্ট্রের এই ধরনের হিউম্যান রাইটসের রিপোর্ট ইতিমধ্যেই বিশ্বব্যাপী গ্রহণযোগ্যতা হারিয়েছে।

তিনি বলেন, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়া নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে।  যেখানে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করার জন্য বাংলাদেশের মানুষ সোচ্চার।  সে কারণে শেখ হাসিনার সরকার যুদ্ধপরাধীদের বিচার করেছে।  রায়ও কার্যকর করেছে।  এখনো বিচার কার্যক্রম চলছে। অথচ এরকম সর্বগ্রহণযোগ্য বিচার প্রক্রিয়া নিয়েও অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল প্রশ্ন তুলেছে।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে এ বছরের প্রথম দিনে নানাভাবে শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। সেখানে প্রতি বছর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে বহু মানুষ হতাহত হয়। প্রতি বছর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিনা ওয়ারেন্টে অনেককে গ্রেপ্তার করে। তাদের দেশে যেই পরিস্থিতি সেটিও বিশ্ববাসীর জানার অধিকার রয়েছে এবং জানা প্রয়োজন।

তিনি বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নানা সময় এ ধরনের রিপোর্ট প্রকাশ করে এবং অনেক ক্ষেত্রে তাদের রিপোর্টে মোটিভেটেড রিপোর্ট থাকে।  সুতরাং এবারও যে রিপোর্ট প্রকাশ করেছে এটি একপেশে এবং অগ্রহণযোগ্য।  আমরা কোনোভাবেই এই রিপোর্টকে গ্রহণ করতে পারি না।

ইদা‌নিং অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের একপেশে রিপোর্ট দেখতে পাচ্ছেন জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক চমৎকার। বাংলাদেশের জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ দমনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র একসাথে কাজ করছে। ভবিষ্যতেও আমরা এক্ষেত্রে একসাথে কাজ করতে চাই। আমাদের এই কার্যক্রম আরও দৃঢ় করতে চাই।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি আবদুল মোনাফ সিকদারের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার শামসুল আলম তালুকদারের সঞ্চালনায় সভায় অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ নেতা স্বজন কুমার তালুকদার, পৌরসভার মেয়র শাহজাহান সিকদার, আবুল কাশেম চিশতি, মুহাম্মাদ আলী শাহ, ইদ্রিছ আজগর, ভাইস চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম, আসলাম খাঁন, আক্তার কামাল চৌধুরী, ডা. মোহাম্মদ সেলিম, লোকমানুল হক তালুকদার, শেখ ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী, ফজলুল কবির গিয়াসু, গিয়াস উদ্দিন খাঁন স্বপন।

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

বরিশালে বাস শ্রমিককে মারধরের ঘটনায় কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল অবরোধ করে শ্রমিকেরা।

যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার রিপোর্ট অগ্রহণযোগ্য: তথ্যমন্ত্রী

আপডেট টাইম ১১:৩১:৩৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৪ মার্চ ২০২০
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক :

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ইউএস স্টেট ডিপার্টমেন্ট মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে গত ১১ মার্চ বাংলাদেশের ওপর যে রিপোর্ট প্রকাশ করেছে—তা একপেশে ও অগ্রহণযোগ্য।

তিনি বলেন, যাদের তথ্য উপাত্ত নিয়ে এই রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে, সেসব সংগঠন ইতিপূর্বেই বাংলাদেশের মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্যতা হারিয়েছে।

শুক্রবার (১৩ মার্চ) বিকেলে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

হাছান মাহমুদ বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের হিউমান রাইটস রিপোর্টে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের রেফারেন্স দেওয়া হয়েছে।  সুতরাং যেসব প্রতিষ্ঠান তাদের গ্রহণযোগ্যতা হারিয়েছে।  তাদের থেকে তথ্য উপাত্ত নিয়ে যে রিপোর্ট সেটিও গ্রহণযোগ্য নয়। যুক্তরাষ্ট্রের এই ধরনের হিউম্যান রাইটসের রিপোর্ট ইতিমধ্যেই বিশ্বব্যাপী গ্রহণযোগ্যতা হারিয়েছে।

তিনি বলেন, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়া নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে।  যেখানে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করার জন্য বাংলাদেশের মানুষ সোচ্চার।  সে কারণে শেখ হাসিনার সরকার যুদ্ধপরাধীদের বিচার করেছে।  রায়ও কার্যকর করেছে।  এখনো বিচার কার্যক্রম চলছে। অথচ এরকম সর্বগ্রহণযোগ্য বিচার প্রক্রিয়া নিয়েও অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল প্রশ্ন তুলেছে।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে এ বছরের প্রথম দিনে নানাভাবে শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। সেখানে প্রতি বছর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে বহু মানুষ হতাহত হয়। প্রতি বছর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিনা ওয়ারেন্টে অনেককে গ্রেপ্তার করে। তাদের দেশে যেই পরিস্থিতি সেটিও বিশ্ববাসীর জানার অধিকার রয়েছে এবং জানা প্রয়োজন।

তিনি বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নানা সময় এ ধরনের রিপোর্ট প্রকাশ করে এবং অনেক ক্ষেত্রে তাদের রিপোর্টে মোটিভেটেড রিপোর্ট থাকে।  সুতরাং এবারও যে রিপোর্ট প্রকাশ করেছে এটি একপেশে এবং অগ্রহণযোগ্য।  আমরা কোনোভাবেই এই রিপোর্টকে গ্রহণ করতে পারি না।

ইদা‌নিং অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের একপেশে রিপোর্ট দেখতে পাচ্ছেন জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক চমৎকার। বাংলাদেশের জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ দমনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র একসাথে কাজ করছে। ভবিষ্যতেও আমরা এক্ষেত্রে একসাথে কাজ করতে চাই। আমাদের এই কার্যক্রম আরও দৃঢ় করতে চাই।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি আবদুল মোনাফ সিকদারের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার শামসুল আলম তালুকদারের সঞ্চালনায় সভায় অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ নেতা স্বজন কুমার তালুকদার, পৌরসভার মেয়র শাহজাহান সিকদার, আবুল কাশেম চিশতি, মুহাম্মাদ আলী শাহ, ইদ্রিছ আজগর, ভাইস চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম, আসলাম খাঁন, আক্তার কামাল চৌধুরী, ডা. মোহাম্মদ সেলিম, লোকমানুল হক তালুকদার, শেখ ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী, ফজলুল কবির গিয়াসু, গিয়াস উদ্দিন খাঁন স্বপন।