ঢাকা ১০:০৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বরিশালে বাস শ্রমিককে মারধরের ঘটনায় কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল অবরোধ করে শ্রমিকেরা। গজারিয়ায় কাভার্ড ভ্যানের ধাক্কায় খাদে প্রাইভেটকার, নিহত ৩ সিলেটে আগাম বন্যার আশঙ্কায়!! হাওরজুড়ে কৃষকের ব্যস্ততা শিশুদের মনোবিকাশে প্রয়োজন সংস্কৃতি চর্চা: মেয়র রেজাউল উপজেলা পরিষদ নির্বাচন হাতীবান্ধায় নির্বাচনী সংঘর্ষে চেয়ারম্যান প্রার্থী সহ আহত ১০ ভূয়া নিয়োগপত্র দিয়ে টাকা হাতিয়ে নেয়ার, প্রতারক চক্রের এক সদস্য গ্রেপ্তার প্রথম দিনেই রোগী দেখে সবার মন জয় করেলেন ডাক্তার মোঃ হুমায়ুন রশিদ শাকিল বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষে বগুড়া জেলা আরজেএফ’র সুপেয় পানি স্যালাইন ও বিস্কুট বিতরণ দুমকীতে খাল সংস্কার প্রকল্পে অনিয়মসহ শত শতগাছ উপড়ে ফেলার অভিযোগ। বাকেরগঞ্জ বাসীর উন্নয়নমুলক সকল প্রত্যাশা পুরনে কাজ করব। ৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷ রাজীব আহমেদ তালুকদার।

গবেষণা ছাড়া উন্নয়ন সম্ভব নয়: প্রধানমন্ত্রী

নিউজ ডেস্ক : দেশের সার্বিক উন্নয়ন নিশ্চিতকরণে সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহারে প্রতিটি খাতে বিশেষ করে সম্ভাবনাময় খাতগুলোতে আরো গবেষণা চালানোর প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব আরোপ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান আমি গড়ে তুলেছি, যাতে করে আমাদের যতটুকুই সম্পদ রয়েছে সেটাকে যথাযথভাবে কাজে লাগাতে পারি।  কারণ গবেষণা ছাড়া উন্নয়ন সম্ভব নয়।

বৃহস্পতিবার (৫ মার্চ) সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধু ফেলোশিপ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি (এনএসটি) ফেলোশিপ এবং বিজ্ঞানি ও গবেষকদের জন্য গবেষণা অনুদান প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের এ ফেলোশিপ এবং গবেষণা অনুদান প্রদান অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের খাদ্য, শিক্ষা, চিকিৎসা সর্বক্ষেত্রেই গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে।  তার ওপর আমরা একশ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল করছি, বিভিন্ন মেগা প্রজেক্ট বাস্তবায়ন করছি, আর বিশ্ব এগিয়ে যাচ্ছে।  বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়েই আমাদের চলতে হবে।

দেশের মানুষও যেন বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে পারে সেজন্য বিজ্ঞান মনস্কভাবেই তাদের আমরা গড়তে চাই- উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৯৬ সালে ২১ বছর পর আওয়ামী লীগ সরকার আসার পর গবেষণার জন্য বিশেষ বরাদ্দ দেন।

শেখ হাসিনা বলেন, প্রযুক্তির ব্যবহার মানুষের জীবনকে অনেক বেশি সহজ করে তোলে এবং প্রতিটি সময় ও মুহূর্তকে কাজে লাগানো যায়।

এ বছর প্রায় ৩ হাজার ৮শ’র বেশি শিক্ষার্থীকে বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপ ট্রাস্টের আওতায় বঙ্গবন্ধু এবং এনএসটি ফেলোশিপ ও গবেষণা অনুদান দেওয়া হয়।  এরমধ্যে নির্বাচিত কয়েকজনের হাতে অনুষ্ঠানে চেক তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী।

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।  বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. আফম রুহুল হক অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির এবং মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব আনোয়ার হোসেন স্বাগত বক্তব‌্য রাখেন।

মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, সংসদ সদস্য, ঊর্ধ্বতন বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তা, বিশিষ্ট নাগরিক, ফেলোশিপ এবং অনুদানপ্রাপ্ত শিক্ষার্থী ও আমন্ত্রিত অতিথিরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, ২০১৯-২০ অর্থ বছরে বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপ ট্রাস্টের বিজ্ঞানের বিভিন্ন ক্ষেত্রে দেশে-বিদেশে এমএস, পিএইচডি এবং পিএইচডি-উত্তর অধ্যয়ন/গবেষণার জন্য ৬৪ জনকে, ৩ হাজার ২০০ জনকে এনএসটি ফেলোশিপ এবং ৫৬১ প্রকল্পের জন্য ৫৬১ জনকে গবেষণা অনুদান দেওয়া হয়েছে।

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

বরিশালে বাস শ্রমিককে মারধরের ঘটনায় কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল অবরোধ করে শ্রমিকেরা।

গবেষণা ছাড়া উন্নয়ন সম্ভব নয়: প্রধানমন্ত্রী

আপডেট টাইম ০৮:২৫:০২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ মার্চ ২০২০
নিউজ ডেস্ক : দেশের সার্বিক উন্নয়ন নিশ্চিতকরণে সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহারে প্রতিটি খাতে বিশেষ করে সম্ভাবনাময় খাতগুলোতে আরো গবেষণা চালানোর প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব আরোপ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান আমি গড়ে তুলেছি, যাতে করে আমাদের যতটুকুই সম্পদ রয়েছে সেটাকে যথাযথভাবে কাজে লাগাতে পারি।  কারণ গবেষণা ছাড়া উন্নয়ন সম্ভব নয়।

বৃহস্পতিবার (৫ মার্চ) সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধু ফেলোশিপ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি (এনএসটি) ফেলোশিপ এবং বিজ্ঞানি ও গবেষকদের জন্য গবেষণা অনুদান প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের এ ফেলোশিপ এবং গবেষণা অনুদান প্রদান অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের খাদ্য, শিক্ষা, চিকিৎসা সর্বক্ষেত্রেই গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে।  তার ওপর আমরা একশ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল করছি, বিভিন্ন মেগা প্রজেক্ট বাস্তবায়ন করছি, আর বিশ্ব এগিয়ে যাচ্ছে।  বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়েই আমাদের চলতে হবে।

দেশের মানুষও যেন বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে পারে সেজন্য বিজ্ঞান মনস্কভাবেই তাদের আমরা গড়তে চাই- উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৯৬ সালে ২১ বছর পর আওয়ামী লীগ সরকার আসার পর গবেষণার জন্য বিশেষ বরাদ্দ দেন।

শেখ হাসিনা বলেন, প্রযুক্তির ব্যবহার মানুষের জীবনকে অনেক বেশি সহজ করে তোলে এবং প্রতিটি সময় ও মুহূর্তকে কাজে লাগানো যায়।

এ বছর প্রায় ৩ হাজার ৮শ’র বেশি শিক্ষার্থীকে বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপ ট্রাস্টের আওতায় বঙ্গবন্ধু এবং এনএসটি ফেলোশিপ ও গবেষণা অনুদান দেওয়া হয়।  এরমধ্যে নির্বাচিত কয়েকজনের হাতে অনুষ্ঠানে চেক তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী।

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।  বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. আফম রুহুল হক অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির এবং মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব আনোয়ার হোসেন স্বাগত বক্তব‌্য রাখেন।

মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, সংসদ সদস্য, ঊর্ধ্বতন বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তা, বিশিষ্ট নাগরিক, ফেলোশিপ এবং অনুদানপ্রাপ্ত শিক্ষার্থী ও আমন্ত্রিত অতিথিরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, ২০১৯-২০ অর্থ বছরে বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপ ট্রাস্টের বিজ্ঞানের বিভিন্ন ক্ষেত্রে দেশে-বিদেশে এমএস, পিএইচডি এবং পিএইচডি-উত্তর অধ্যয়ন/গবেষণার জন্য ৬৪ জনকে, ৩ হাজার ২০০ জনকে এনএসটি ফেলোশিপ এবং ৫৬১ প্রকল্পের জন্য ৫৬১ জনকে গবেষণা অনুদান দেওয়া হয়েছে।