সোমবার সংবাদ সম্মেলনে আইইডিসিআর পরিচালক প্রফেসর ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, চীন, সিঙ্গাপুর, দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান, ইরান, ইতালি ও অন্যান্য আক্রান্ত দেশ থেকে আসা যাত্রীদের বাংলাদেশে আগমনের পরবর্তী করণীয় বিষয়ে পরামর্শ রয়েছে। আসার পর থেকে পরবর্তী ১৪ দিন তারা নির্দেশনা মেনে চলবেন।
নির্দেশনাগুলো হচ্ছে- এয়ারপোর্ট থেকে বাসায় যাবার পথে গাড়িতে মাস্ক পরবেন। সম্ভব হলে গণপরিবহন ব্যবহার না করে নিজস্ব পরিবহন ব্যবহার করুন এবং পরিবহনের জানালা খোলা রাখুন।
আবশ্যিকভাবে বাড়িতেই থাকুন। জনসমাগমে যাওয়া থেকে বিরত থাকুন। বাইরে যাওয়া অত্যাবশ্যক হলে নাক-মুখ ঢাকতে মাস্ক ব্যবহার করুন।
নিয়মিত হ্যান্ড স্যানিটাইজার অথবা সাবান ও পানি দিয়ে অন্তত ২০ সেকেন্ড ধরে দুই হাত ধুয়ে নিন।
অপরিস্কার হাতে নাক, মুখ ও চোখ স্পর্শ করবেন না। শারীরিক অসুস্থতা (জর, কাশি, শ্বাসকষ্ট ইত্যাদি) দেখা দিলে আইইডিসিআর এর হটলাইনে (০১৯২৭৭১১৭৮৪, ০১৯২৭৭১১৭৮৫, ০১৯৩৭০০০০১১, ০১৯৩৭১১০০১১) ফোন করবেন।
সিঙ্গাপুরে বাংলাদেশিদের পরিস্থিতি সম্পর্কে বলেন, সিঙ্গাপুরে মোট তিন জন বাংলাদেশের নাগরিক কোভিট-১৯ সংক্রমিত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাদের মধ্যে একজন আইসিইউতে আছেন এবং তার অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে। দুইজন বাংলাদেশের নাগরিক সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন। বাংলাদেশে সিঙ্গাপুরের দূতাবাস থেকেও আমাদেরকে সিঙ্গাপুর পরিস্থিতি সম্পর্কে নিয়মিত অবহিত করা হচ্ছে।
দিল্লিতে উহান থেকে আগত ২৩ জন বাংলাদেশি নাগরিক দিল্লি শহর থেকে ৪০ মাইল দূরে একটি কোয়ারেন্টিনে আছেন বলে জানান তিনি।