মাতৃভূমির খবর ডেস্কঃ আখাউড়া থেকে সিলেট রুটে রেলের কাজ দ্রুত শুরু হবে বলে জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী মো. নুরুল ইসলাম সুজন। তিনি জানান, রোপওয়ে আবার করা যাবে কিনা এ বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আজ রোববার সকালে কোম্পানীগঞ্জের ভোলাগঞ্জ রোপওয়ে বাঙ্কার ও ধলাই নদী পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
আরো পড়ুন: রাষ্ট্রীয় ৪ ব্যাংক পুঁজিবাজারে আসছে সেপ্টেম্বরে: অর্থমন্ত্রী
মন্ত্রী বলেন, বিলীন হওয়ার হাত থেকে ভোলাগঞ্জে রেলওয়ের ভূমি কীভাবে রক্ষা করা যায়, এ বিষয়েও পদক্ষেপ নেওয়া হবে। আপাতত ভোলাগঞ্জে রেলওয়ের ভূমি ও স্থাপনা দেখা হচ্ছে।
এসময় তার সঙ্গে থাকা বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. শামছুজ্জামান মন্ত্রীকে বলেন, এখানে রেলওয়ের ১৮ একর ভূমি রয়েছে।
জানা গেছে, সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ভোলাগঞ্জে দেশের সর্ববৃহৎ পাথর কোয়ারির অবস্থান। মেঘালয় রাজ্যের খাসিয়া জৈন্তিয়া পাহাড় থেকে বর্ষাকালে ঢল নামে। ধলাই নদীতে ঢলের সঙ্গে নেমে আসে পাথর। পরবর্তী বর্ষার আগমন পর্যন্ত চলে পাথর আহরণ।
এছাড়া রয়েছে ১৯৬৪-১৯৬৯ সালে সোয়া দুই কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ভোলাগঞ্জ রোপওয়ে প্রকল্প- যার দৈর্ঘ্য ১১ মাইল ও টাওয়ার এক্সক্যাভেশন প্ল্যান্টের সংখ্যা ১২০টি। উত্তোলিত পাথর ছাতক সিমেন্ট ফ্যাক্টরিতে পাঠানো হতো। ১৯৯৪ সালের পর এই পদ্ধতিতে পাথর উত্তোলন বন্ধ রয়েছে।
এখান থেকে ইঞ্জিনচালিত নৌকায় ২০ মিনিটের দূরত্বে রয়েছে বিশেষ কোয়ারির অবস্থান। মূলত সীমান্তের অতি নিকটবর্তী হওয়ায় এই জায়গাটিকে বিশেষ কোয়ারি বলা হয়। সেখানে থেকে প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য প্রাণভরে উপভোগ করা যায়। কিন্তু রাতের অন্ধকারে পাথরখেকোরা বাঙ্কার এলাকা থেকে পাথর উত্তোলন অব্যাহত রেখেছে। এ ছাড়া অবৈধ দখলদারদের কারণে ঝুঁকিতে পড়েছে রোপওয়ে লাইনের খুঁটি এবং রেলওয়ে স্থাপনা।