ঢাকা ০৩:১৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
উপজেলা পরিষদ নির্বাচন, প্রথম ধাপ ইন্দুরকানীতে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ইভিএম ভোট কেন্দ্র চট্টগ্রামে সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিতে একসাথে কাজ করবে চসিক ও সিএমপি নির্বাচনী ছড়া বাড়ছে সাংবাদিক কমছে সাংবাদিকতা-মোঃ রাব্বী মেল্লা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে মাতুয়াইলে বাস ও পিকআপ মুখোমুখি সংঘর্ষে ২ জন নিহত ও আহত ২ লালমনিরহাট জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কে শপথ বাক্য পাঠ করালেন প্রধানমন্ত্রী বরিশালে সার্বজনীন পেনশন মেলা ২০২৪ উদ্বোধন হিরাঝীলে বিশ্বাস মঞ্জিল নামের একটি বিল্ডিং হেলে পড়ে,নিরাপত্তাহীনতায় এলাকাবাসী বাকেরগঞ্জে ভাইস চেয়ারম্যান পদে জন প্রিয়তার শীর্ষে সাইফুল ইসলাম ডাকুয়া। বাকেরগঞ্জে যুবদল সভাপতি টুকুর মুক্তির দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল

ঢাকা দক্ষিণের মেয়র তাপস, উত্তরে মেয়র আতিক

মাতৃভূমির খবর ডেস্কঃ  ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীরা বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়েছেন।ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ১ হাজার ১৫০টি কেন্দ্রে নৌকা প্রতীকে তাপস পেয়েছেন ৪ লাখ ২৪ হাজার ৫৯৫ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী প্রকৌশলী ইশরাক হোসেন পেয়েছেন ২ লাখ ৩৬ হাজার ৫১২ ভোট।

আরো পড়ুন: সাংবাদিকের ওপর হামলাকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা: আইজিপি

অপরদিকে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আতিকুল ইসলাম। মোট ১ হাজার ৩১৮টি কেন্দ্রের সবকটির ঘোষিত ফলাফল অনুযায়ী তিনি পেয়েছেন ৪ লাখ ৪৭ হাজার ২১১ ভোট। বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী তাবিথ আউয়াল পেয়েছেন ২ লাখ ৬৪ হাজার ১৬১ ভোট।

শনিবার সারাদিন ভোট গ্রহণ শেষে রাতে প্রথমে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ফল প্রকাশ করা হয়। এরপর রাত প্রায় পৌনে ৩ টার দিকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ফলাফল ঘোষণা করা হয়। ফলাফল ঘোষণা করেন নির্বাচন কমিশন।

দুই সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর সিটি করপোরেশনে ভোটের হার যথাক্রমে ২৯ শতাংশ ও ২৫ দশমিক ৩০ শতাংশ।

শনিবার সকাল ৮টায় ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি ও ডিএসসিসি) নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়। যা চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।

এদিন নির্বাচন কমিশনের অনুমোদিত যানবাহনের বাইরে যানচলাচলে নিষেধাজ্ঞা থাকায় ভোটের সময় ঢাকার চিত্র পাল্টে যায়। চিরচেনা যানজট কিংবা মানুষের ভিড় ছিল না। রাস্তা ছিল পুরো ফাঁকা।

এছাড়া ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণে বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে। ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ৩৪ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার সাদেক খান রোডে দায়িত্ব পালনকালে একটি অনলাইন নিউজ পোর্টালের প্রতিবেদক মোস্তাফিজুর রহমান সুমনকে কুপিয়ে আহত করে দুর্বৃত্তরা। হামলায় আহত হয়েছেন আরো বেশ কয়েকজন সাংবাদিক।

এবারের সিটি নির্বাচনে ঢাকা উত্তরে মেয়র পদে প্রার্থী ছিলেন ৬ জন। কাউন্সিলর পদে ২৫১ জন এবং সংরক্ষিত আসনে ৭৭ জন নারী প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

উত্তর সিটিতে ওয়ার্ড ছিলো ৫৪টি। ঢাকা দক্ষিণে মেয়র পদের জন্য লড়ছেন ৭ জন। কাউন্সিলর পদে ৩৩৫ জন এবং সংরক্ষিত ওয়ার্ডে নারী প্রার্থী হয়েছিলেন ৮২ জন। দক্ষিণে ওয়ার্ড ছিলো ৭৫টি।

ঢাকায় ভোটার সংখ্যা ৫৪ লাখ ৬৩ হাজার ৪৬৭ জন। ঢাকা উত্তর সিটির ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা ১ হাজার ৩১৮। এসব কেন্দ্রে ভোট কক্ষের সংখ্যা ছিলো ৭ হাজার ৮৪৬টি। দক্ষিণ সিটিতে ১ হাজার ১৫০টি ভোটকেন্দ্র এবং ভোট কক্ষ ছিলো ৬ হাজার ৫৮৮টি।

এবার ঢাকা উত্তরে ৮২৬ আর দক্ষিণে ৭২১টি কেন্দ্রকে ঝুঁকিপূর্ণ বলে ঘোষণা করা হয়েছিলো। এই কেন্দ্রগুলোতে বাড়তি নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য ও নজরদারি ছিলো প্রশাসনের।

ভোটকে কেন্দ্র করে রাজধানী জুড়ে ছিলো কড়া নিরাপত্তা। যানবাহন চলাচলেও কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছিলো। ৩০ জানুয়ারি রাত ১২টা থেকে ২ ফেব্রুয়ারি সকাল ৬টা পর্যন্ত মোটরসাইকেল চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়।

সিটি নির্বাচন এবার নানান দিক থেকে ছিলো আলোচিত। প্রধান দুই রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির প্রার্থীরা সমানতালে প্রচার চালিয়েছেন। ব্যাপক ধরনের ধরপাকড়, হামলার অভিযোগ অন্যবারের চেয়ে কম ছিলো।

প্রধান চার প্রতিদ্বন্দ্বী আতিকুল ইসলাম, তাবিথ আউয়াল, শেখ ফজলে নূর তাপস, ইশরাক হোসেন তাদের প্রচারে অকপটে স্বীকার করেছেন, ঢাকার অবস্থা খুব ভালো নয়। তারা ঢাকাকে বাঁচাতে চান।

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

উপজেলা পরিষদ নির্বাচন, প্রথম ধাপ ইন্দুরকানীতে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ইভিএম ভোট কেন্দ্র

ঢাকা দক্ষিণের মেয়র তাপস, উত্তরে মেয়র আতিক

আপডেট টাইম ০৯:০০:৫৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২ ফেব্রুয়ারী ২০২০

মাতৃভূমির খবর ডেস্কঃ  ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীরা বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়েছেন।ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ১ হাজার ১৫০টি কেন্দ্রে নৌকা প্রতীকে তাপস পেয়েছেন ৪ লাখ ২৪ হাজার ৫৯৫ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী প্রকৌশলী ইশরাক হোসেন পেয়েছেন ২ লাখ ৩৬ হাজার ৫১২ ভোট।

আরো পড়ুন: সাংবাদিকের ওপর হামলাকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা: আইজিপি

অপরদিকে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আতিকুল ইসলাম। মোট ১ হাজার ৩১৮টি কেন্দ্রের সবকটির ঘোষিত ফলাফল অনুযায়ী তিনি পেয়েছেন ৪ লাখ ৪৭ হাজার ২১১ ভোট। বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী তাবিথ আউয়াল পেয়েছেন ২ লাখ ৬৪ হাজার ১৬১ ভোট।

শনিবার সারাদিন ভোট গ্রহণ শেষে রাতে প্রথমে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ফল প্রকাশ করা হয়। এরপর রাত প্রায় পৌনে ৩ টার দিকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ফলাফল ঘোষণা করা হয়। ফলাফল ঘোষণা করেন নির্বাচন কমিশন।

দুই সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর সিটি করপোরেশনে ভোটের হার যথাক্রমে ২৯ শতাংশ ও ২৫ দশমিক ৩০ শতাংশ।

শনিবার সকাল ৮টায় ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি ও ডিএসসিসি) নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়। যা চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।

এদিন নির্বাচন কমিশনের অনুমোদিত যানবাহনের বাইরে যানচলাচলে নিষেধাজ্ঞা থাকায় ভোটের সময় ঢাকার চিত্র পাল্টে যায়। চিরচেনা যানজট কিংবা মানুষের ভিড় ছিল না। রাস্তা ছিল পুরো ফাঁকা।

এছাড়া ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণে বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে। ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ৩৪ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার সাদেক খান রোডে দায়িত্ব পালনকালে একটি অনলাইন নিউজ পোর্টালের প্রতিবেদক মোস্তাফিজুর রহমান সুমনকে কুপিয়ে আহত করে দুর্বৃত্তরা। হামলায় আহত হয়েছেন আরো বেশ কয়েকজন সাংবাদিক।

এবারের সিটি নির্বাচনে ঢাকা উত্তরে মেয়র পদে প্রার্থী ছিলেন ৬ জন। কাউন্সিলর পদে ২৫১ জন এবং সংরক্ষিত আসনে ৭৭ জন নারী প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

উত্তর সিটিতে ওয়ার্ড ছিলো ৫৪টি। ঢাকা দক্ষিণে মেয়র পদের জন্য লড়ছেন ৭ জন। কাউন্সিলর পদে ৩৩৫ জন এবং সংরক্ষিত ওয়ার্ডে নারী প্রার্থী হয়েছিলেন ৮২ জন। দক্ষিণে ওয়ার্ড ছিলো ৭৫টি।

ঢাকায় ভোটার সংখ্যা ৫৪ লাখ ৬৩ হাজার ৪৬৭ জন। ঢাকা উত্তর সিটির ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা ১ হাজার ৩১৮। এসব কেন্দ্রে ভোট কক্ষের সংখ্যা ছিলো ৭ হাজার ৮৪৬টি। দক্ষিণ সিটিতে ১ হাজার ১৫০টি ভোটকেন্দ্র এবং ভোট কক্ষ ছিলো ৬ হাজার ৫৮৮টি।

এবার ঢাকা উত্তরে ৮২৬ আর দক্ষিণে ৭২১টি কেন্দ্রকে ঝুঁকিপূর্ণ বলে ঘোষণা করা হয়েছিলো। এই কেন্দ্রগুলোতে বাড়তি নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য ও নজরদারি ছিলো প্রশাসনের।

ভোটকে কেন্দ্র করে রাজধানী জুড়ে ছিলো কড়া নিরাপত্তা। যানবাহন চলাচলেও কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছিলো। ৩০ জানুয়ারি রাত ১২টা থেকে ২ ফেব্রুয়ারি সকাল ৬টা পর্যন্ত মোটরসাইকেল চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়।

সিটি নির্বাচন এবার নানান দিক থেকে ছিলো আলোচিত। প্রধান দুই রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির প্রার্থীরা সমানতালে প্রচার চালিয়েছেন। ব্যাপক ধরনের ধরপাকড়, হামলার অভিযোগ অন্যবারের চেয়ে কম ছিলো।

প্রধান চার প্রতিদ্বন্দ্বী আতিকুল ইসলাম, তাবিথ আউয়াল, শেখ ফজলে নূর তাপস, ইশরাক হোসেন তাদের প্রচারে অকপটে স্বীকার করেছেন, ঢাকার অবস্থা খুব ভালো নয়। তারা ঢাকাকে বাঁচাতে চান।