মাতৃভূমির খবর ডেস্কঃ ২০২১ সালের জুন মাসে পদ্মা সেতু যানবাহন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, আগামী জুলাই মাসের মধ্যে পদ্মা সেতুর সবগুলো স্প্যান বসানো শেষ হবে। পদ্মা সেতুর ৪১টি স্টিল ট্রাসের (স্প্যান) মধ্যে ২০টি ইতোমধ্যে স্থাপন হয়েছে। বাকি ২১টি স্প্যান চলতি বছরের জুলাইয়ের মধ্যে স্থাপন করা হবে। গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তরে সরকারি দলের দিদারুল আলমের প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান তিনি। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়।
আরো পড়ুন: চীন থেকে বাংলাদেশিদের ফেরত আনার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
তিনি বলেন, গত বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত পদ্মা সেতু প্রকল্পের সার্বিক ভৌত অগ্রগতি ৭৬ দশমিক ৫ শতাংশ। এর মধ্যে মূল সেতুর কাজের ভৌত অগ্রগতি ৮৫ দশমিক ৫ শতাংশ এবং নদীশাসন কাজের অগ্রগতি ৬৬ শতাংশ। ২০২১ সালের জুন মাসে এ সেতু যানবাহন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত হবে। বাস্তবায়নাধীন উত্তরা-মতিঝিল মেট্রোরেলের সার্বিক অগ্রগতি (ডিসেম্বর ২০১৯) ৪০ দশমিক শূন্য ২ শতাংশ বলেও মন্ত্রী প্রশ্নের জবাবে জানান।
সৈয়দা রুবিনা আক্তারের প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, আন-পার্সোনালাইজড ড্রাইভিং লাইসেন্স কার্ডের স্বল্পতার জন্য স্বাভাবিক গতিতে লাইসেন্স কার্ড প্রিন্ট সম্ভব হচ্ছে না। শুধুমাত্র বিশেষ ক্ষেত্রে বিশেষ প্রয়োজনে (ভিসা, বিদেশ যাত্রা, চাকরির আবেদন) দৈনিক নির্ধারিত সিলিং অনুযায়ী লাইসেন্স কার্ড প্রিন্ট ও সরবরাহ চলমান আছে। আন-পার্সোনালাইজড কার্ডের জন্য আন্তর্জাতিক দরপত্র চলমান আছে। এটি সম্পন্ন হলে প্রত্যাশীদের যথাসময়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স দেওয়া সম্ভব হবে।
সরকারি দলের নাছিমুল আলম চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে সড়ক পরিবহন মন্ত্রী জানান, মোটরযানের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে গত বছর ২৩ হাজার ৫৪১টি মামলা দায়ের করে চার কোটি ৫৪ লাখ ৮১ হাজার ৪৩০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। এ সময় ৩০৪ জনকে কারাদণ্ড ও ১৯৮টি গাড়ি ডাম্পিং স্টেশনে পাঠানো হয়েছে।