ঢাকা ০১:২৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
দেশ জুরে শুরু হয়েছে ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। মুরাদনগর উপজেলা মোট-১৭ জন প্রার্থী মনোনয়ন পত্র দাখিল করেন। টাঙ্গাইলে এইচআইভি ও এইডস রোগের সচেতনতা সৃষ্টিতে কর্মশালা অনুষ্ঠিত লোহাগড়া উপজেলা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে প্রতিক বরাদ্দ বগুড়া শিবগঞ্জে নাতির রাম দা’র কোপে নানী খুন ফুটপাত উদ্ধার করতে হবে: মেয়র রেজাউল আন্তর্জাতিক মে দিবস পালন করেন নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রাসাদ নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয় রাঙ্গুনিয়ায় চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানে প্রতিদ্বন্দ্বীবিহীন প্রার্থী ভোট হবে ভাইস চেয়ারম্যানের (চার প্রার্থীর মধ্যে দুই প্রার্থীর মনোনয়ন প্রত্যাহার ভোট প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে দুই জনের মধ্যে।) “কেরানীগঞ্জে এক হাজার পথচারীদের মাঝে শরবত বিতরণ করলেন সাংবাদিকরা” লক্ষ্মীপুরে শ্রেষ্ঠ অধ্যক্ষ পুরস্কার নিয়ে বির্তক দিঘলিয়ায় মে দিবস পালিত।

লক্ষ্মীপুরে মুক্তিপণ আদায়ের অভিযোগে পুলিশসহ  ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা

আমজাদ হোসেন, লক্ষ্মীপুর :  লক্ষ্মীপুরে নুর আলম নুরু নামে এক ব্যক্তিকে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়ের অভিযোগে চার পুলিশ সদস্যসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। সোমবার (২৭ জানুয়ারি) দুপুরে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সদর আদালতে নুর আলমের মা নুরজাহান বেগম বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন।

বাদীর আইনজীবী আবদুল আহাদ শাকিল বলেন, মামলাটি (সিআর-১০৯/২০২০) আদালতের বিচারক রায়হান চৌধুরী মামলাটি আমলে নিয়েছেন। মামলাটি নোয়াখালী পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেসটিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মামলার আসামিরা হলেন লক্ষ্মীপুর শহর পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ কাওসারুজ্জামান, সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মঞ্জুরুল ইসলাম, মহি উদ্দিন খন্দকার, কনস্টেবল কবির হোসেন, শহরের দক্ষিণ তেমুহনীর চা দোকানি আবুল হোসেন ও অজ্ঞাত আরও ৫ জন।

এজাহার সূত্রে জানা গেছে, রায়পুর থানার একটি মামলায় ২০১৯ সালের ৩১ জুলাই নুর আলমকে পুলিশ গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায়। ৩০ ডিসেম্বর লক্ষ্মীপুর চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত তার জামিন মঞ্জুর করে। ওইদিন সন্ধ্যায় জেল হাজতে থেকে বের হওয়ার সময় সাদা পোশাকে ৩ জন লোক নুর আলমকে আটক করতে যায়।

এসময় ভয়ে তিনি কারা পুলিশ ব্যারাকের রান্না ঘরে আশ্রয় নেয়। পরে তারা নুর আলমকে সেখানে থেকে হাতকড়া ও চোখ বেঁধে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। সেখানে চোখের বাঁধন খুললে তিনি এসআই কাওসারুজ্জামানকে চিনতে পারে। এরপর থেকে প্রায় ৬ দিন পর্যন্ত তাকে আটকে রাখা হয়। ৫ জানুয়ারি তারা নুর আলমের শ্বাশুড়ি ফিরোজা বেগমের মোবাইলফোনে কল করে ১ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। টাকা না দিলে নুর আলমকে হত্যা বা অস্ত্র-মাদক মামলায় জড়িয়ে দিবে বলে হুমকি দেয়। এসময় দাবি করা টাকা শহরের দক্ষিণ তেমুহনী এলাকার চা দোকানী আবুল হোসেনের কাছে দিয়ে আসতে বলে। ওইদিন দুপুরে ১৯ হাজার ৫০০ টাকা আবুল হোসেনের কাছে দিয়ে আসা হয়। কিন্তু দাবি করা পুরো টাকা না দেওয়ায় ওইদিনই ৪৫ পিস ইয়াবা দিয়ে নুর আলমকে তারা গ্রেফতার দেখায়। পরে আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

২১ জানুয়ারি নুর আলমের বিরুদ্ধে মাদক মামলাটি তদন্তের জন্য আদালতে আবেদন করা হয়। এতে এসআই কাওসারুজ্জামান ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। ওইদিনই আদালতের পুলিশ কাস্টডিতে নুরআলমকে তিনি ক্রসফায়ারের হুমকি দেন বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়। অভিযোগ অস্বীকার করে এসআই কাওসারুজ্জামান বলেন, অভিযোগটি সত্য নয়। মিথ্যা ঘটনা সাজিয়ে আমাদেরকে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

দেশ জুরে শুরু হয়েছে ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। মুরাদনগর উপজেলা মোট-১৭ জন প্রার্থী মনোনয়ন পত্র দাখিল করেন।

লক্ষ্মীপুরে মুক্তিপণ আদায়ের অভিযোগে পুলিশসহ  ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা

আপডেট টাইম ০১:৫৯:৫৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২০

আমজাদ হোসেন, লক্ষ্মীপুর :  লক্ষ্মীপুরে নুর আলম নুরু নামে এক ব্যক্তিকে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়ের অভিযোগে চার পুলিশ সদস্যসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। সোমবার (২৭ জানুয়ারি) দুপুরে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সদর আদালতে নুর আলমের মা নুরজাহান বেগম বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন।

বাদীর আইনজীবী আবদুল আহাদ শাকিল বলেন, মামলাটি (সিআর-১০৯/২০২০) আদালতের বিচারক রায়হান চৌধুরী মামলাটি আমলে নিয়েছেন। মামলাটি নোয়াখালী পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেসটিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মামলার আসামিরা হলেন লক্ষ্মীপুর শহর পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ কাওসারুজ্জামান, সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মঞ্জুরুল ইসলাম, মহি উদ্দিন খন্দকার, কনস্টেবল কবির হোসেন, শহরের দক্ষিণ তেমুহনীর চা দোকানি আবুল হোসেন ও অজ্ঞাত আরও ৫ জন।

এজাহার সূত্রে জানা গেছে, রায়পুর থানার একটি মামলায় ২০১৯ সালের ৩১ জুলাই নুর আলমকে পুলিশ গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায়। ৩০ ডিসেম্বর লক্ষ্মীপুর চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত তার জামিন মঞ্জুর করে। ওইদিন সন্ধ্যায় জেল হাজতে থেকে বের হওয়ার সময় সাদা পোশাকে ৩ জন লোক নুর আলমকে আটক করতে যায়।

এসময় ভয়ে তিনি কারা পুলিশ ব্যারাকের রান্না ঘরে আশ্রয় নেয়। পরে তারা নুর আলমকে সেখানে থেকে হাতকড়া ও চোখ বেঁধে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। সেখানে চোখের বাঁধন খুললে তিনি এসআই কাওসারুজ্জামানকে চিনতে পারে। এরপর থেকে প্রায় ৬ দিন পর্যন্ত তাকে আটকে রাখা হয়। ৫ জানুয়ারি তারা নুর আলমের শ্বাশুড়ি ফিরোজা বেগমের মোবাইলফোনে কল করে ১ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। টাকা না দিলে নুর আলমকে হত্যা বা অস্ত্র-মাদক মামলায় জড়িয়ে দিবে বলে হুমকি দেয়। এসময় দাবি করা টাকা শহরের দক্ষিণ তেমুহনী এলাকার চা দোকানী আবুল হোসেনের কাছে দিয়ে আসতে বলে। ওইদিন দুপুরে ১৯ হাজার ৫০০ টাকা আবুল হোসেনের কাছে দিয়ে আসা হয়। কিন্তু দাবি করা পুরো টাকা না দেওয়ায় ওইদিনই ৪৫ পিস ইয়াবা দিয়ে নুর আলমকে তারা গ্রেফতার দেখায়। পরে আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

২১ জানুয়ারি নুর আলমের বিরুদ্ধে মাদক মামলাটি তদন্তের জন্য আদালতে আবেদন করা হয়। এতে এসআই কাওসারুজ্জামান ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। ওইদিনই আদালতের পুলিশ কাস্টডিতে নুরআলমকে তিনি ক্রসফায়ারের হুমকি দেন বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়। অভিযোগ অস্বীকার করে এসআই কাওসারুজ্জামান বলেন, অভিযোগটি সত্য নয়। মিথ্যা ঘটনা সাজিয়ে আমাদেরকে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।