ঢাকা ০৪:২১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বরিশালে বাস শ্রমিককে মারধরের ঘটনায় কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল অবরোধ করে শ্রমিকেরা। গজারিয়ায় কাভার্ড ভ্যানের ধাক্কায় খাদে প্রাইভেটকার, নিহত ৩ সিলেটে আগাম বন্যার আশঙ্কায়!! হাওরজুড়ে কৃষকের ব্যস্ততা শিশুদের মনোবিকাশে প্রয়োজন সংস্কৃতি চর্চা: মেয়র রেজাউল উপজেলা পরিষদ নির্বাচন হাতীবান্ধায় নির্বাচনী সংঘর্ষে চেয়ারম্যান প্রার্থী সহ আহত ১০ ভূয়া নিয়োগপত্র দিয়ে টাকা হাতিয়ে নেয়ার, প্রতারক চক্রের এক সদস্য গ্রেপ্তার প্রথম দিনেই রোগী দেখে সবার মন জয় করেলেন ডাক্তার মোঃ হুমায়ুন রশিদ শাকিল বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষে বগুড়া জেলা আরজেএফ’র সুপেয় পানি স্যালাইন ও বিস্কুট বিতরণ দুমকীতে খাল সংস্কার প্রকল্পে অনিয়মসহ শত শতগাছ উপড়ে ফেলার অভিযোগ। বাকেরগঞ্জ বাসীর উন্নয়নমুলক সকল প্রত্যাশা পুরনে কাজ করব। ৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷ রাজীব আহমেদ তালুকদার।

আবরার হত্যা মামলার অভিযোগ গঠন ৩০ জানুয়ারি

মাতৃভূমির খবর ডেস্কঃ  বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ২৫ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য আগামী ৩০ জানুয়ারি (বৃহস্পতিবার) ধার্য করেছেন আদালত। ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েস আজ মঙ্গলবার এ দিন ধার্য করেন। আজ অভিযোগপত্র গ্রহণ ও আসামিদের উপস্থিতির জন্য দিন ধার্য ছিল। কারাগার থেকে ২২ আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। আদালত অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য ৩০ জানুয়ারি দিন ধার্য করেন। আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর তাপাস কুমার পাল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আরো পড়ুন: সিটি নির্বাচনে যুক্তরাষ্ট্রের পর্যবেক্ষক থাকবে

গত ৬ অক্টোবর রাতে বুয়েটের শেরেবাংলা হলের ২০১১ নম্বর কক্ষে ডেকে নিয়ে আবরারকে পিটিয়ে হত্যা করেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এ ঘটনায় আবরারের বাবা মো. বরকত উল্লাহ বাদী হয়ে ১৯ জনকে আসামি করে চকবাজার থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

ঘটনার পরপরই আবরার হত্যায় জড়িতদের গ্রেপ্তার করা শুরু হয়। মাত্র কয়েক দিনের মধ্যেই এই নির্মম হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত বেশির ভাগ আসামিকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়। এরপর আসামিদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার কারণ উদ্ঘাটন করা সম্ভব হয়।

তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, আবরার শিবিরের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন, এই সন্দেহেই তাঁকে শায়েস্তা করার সিদ্ধান্ত নেন বুয়েট ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। একটি ফেসবুক স্ট্যাটাসকে কেন্দ্র করেই তাঁকে সন্দেহের চোখে দেখা হয়। তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ঘটনার আগে এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতরা পরিকল্পনা করেন আবরারকে শায়েস্তা করার। ঘটনার আগে তাঁরা একটি মিটিংও করেন। এর আগে বুয়েটের ছাত্রলীগের এক নেতা ফেসবুক গ্রুপে আবরারকে শায়েস্তা করার ঘোষণা দেন। এতে অনেকেই সায় দেন।

এরপর আবরারকে গত ৬ অক্টোবর শেরেবাংলা হলের ২০১১ নম্বর কক্ষে ডেকে এনে মারধর করা হয়। তাঁকে কিল-ঘুষি মেরে, স্কিপিং দড়ি দিয়ে ও ক্রিকেট স্টাম্প দিয়ে বেধড়ক পেটান হত্যাকারীরা। তাঁর মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত তাঁকে পেটানো হয়। পানি পানি বলে চিৎকার করলেও তাঁকে পানি খেতে দেওয়া হয়নি। আবরারকে পেটানোর একপর্যায়ে তিনি কয়েকবার বমি করেন। কিন্তু তাঁর চিকিৎসার ব্যবস্থা করেননি কেউ। একপর্যায়ে গভীর রাতে আবরার মারা যাওয়ার পর তাঁকে ধরাধরি করে দোতলার সিঁড়ির ওপর ফেলে রাখেন হত্যাকারীরা।

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

বরিশালে বাস শ্রমিককে মারধরের ঘটনায় কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল অবরোধ করে শ্রমিকেরা।

আবরার হত্যা মামলার অভিযোগ গঠন ৩০ জানুয়ারি

আপডেট টাইম ০৬:২৮:০৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারী ২০২০

মাতৃভূমির খবর ডেস্কঃ  বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ২৫ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য আগামী ৩০ জানুয়ারি (বৃহস্পতিবার) ধার্য করেছেন আদালত। ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েস আজ মঙ্গলবার এ দিন ধার্য করেন। আজ অভিযোগপত্র গ্রহণ ও আসামিদের উপস্থিতির জন্য দিন ধার্য ছিল। কারাগার থেকে ২২ আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। আদালত অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য ৩০ জানুয়ারি দিন ধার্য করেন। আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর তাপাস কুমার পাল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আরো পড়ুন: সিটি নির্বাচনে যুক্তরাষ্ট্রের পর্যবেক্ষক থাকবে

গত ৬ অক্টোবর রাতে বুয়েটের শেরেবাংলা হলের ২০১১ নম্বর কক্ষে ডেকে নিয়ে আবরারকে পিটিয়ে হত্যা করেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এ ঘটনায় আবরারের বাবা মো. বরকত উল্লাহ বাদী হয়ে ১৯ জনকে আসামি করে চকবাজার থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

ঘটনার পরপরই আবরার হত্যায় জড়িতদের গ্রেপ্তার করা শুরু হয়। মাত্র কয়েক দিনের মধ্যেই এই নির্মম হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত বেশির ভাগ আসামিকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়। এরপর আসামিদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার কারণ উদ্ঘাটন করা সম্ভব হয়।

তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, আবরার শিবিরের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন, এই সন্দেহেই তাঁকে শায়েস্তা করার সিদ্ধান্ত নেন বুয়েট ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। একটি ফেসবুক স্ট্যাটাসকে কেন্দ্র করেই তাঁকে সন্দেহের চোখে দেখা হয়। তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ঘটনার আগে এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতরা পরিকল্পনা করেন আবরারকে শায়েস্তা করার। ঘটনার আগে তাঁরা একটি মিটিংও করেন। এর আগে বুয়েটের ছাত্রলীগের এক নেতা ফেসবুক গ্রুপে আবরারকে শায়েস্তা করার ঘোষণা দেন। এতে অনেকেই সায় দেন।

এরপর আবরারকে গত ৬ অক্টোবর শেরেবাংলা হলের ২০১১ নম্বর কক্ষে ডেকে এনে মারধর করা হয়। তাঁকে কিল-ঘুষি মেরে, স্কিপিং দড়ি দিয়ে ও ক্রিকেট স্টাম্প দিয়ে বেধড়ক পেটান হত্যাকারীরা। তাঁর মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত তাঁকে পেটানো হয়। পানি পানি বলে চিৎকার করলেও তাঁকে পানি খেতে দেওয়া হয়নি। আবরারকে পেটানোর একপর্যায়ে তিনি কয়েকবার বমি করেন। কিন্তু তাঁর চিকিৎসার ব্যবস্থা করেননি কেউ। একপর্যায়ে গভীর রাতে আবরার মারা যাওয়ার পর তাঁকে ধরাধরি করে দোতলার সিঁড়ির ওপর ফেলে রাখেন হত্যাকারীরা।