ঢাকা ০৮:৩০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বাকেরগঞ্জে ড. আবদুস সালাম মল্লিক ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় বিভিন্ন মহলের শুভেচ্ছা।। বরিশালে সুলভ মুল্যে বসুন্ধরা পন্য পেয়ে ক্রেতারা খুশী। বাবুগঞ্জে স্কুল ছুটির পরে বাড়ি যাওয়ার সময় দুই শিক্ষার্থী নিখোঁজ। আমার বাবাও মায়ের দেওয়া উপদেশ বড়দের সম্মান কর ছোটদের স্নেহ করো। বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈশাখী নারী উদ্যোক্তা মেলা শুরু। টাঙ্গাইলে তিনদিন ব্যাপী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলা শুরু বাকেরগঞ্জে প্রধান মন্ত্রীর ছবি ব্যঙ্গক্তি করে ফেসবুকে পোস্ট করায় হায়দর সিপাই গ্রেফতার। বাকেরগঞ্জে স্ত্রীর দায়ের কৃত মামলায় স্বামী পারভেজ খান গ্রেফতার।। বাকেরগঞ্জে তরমুজ চাষী হত্যা চেষ্টা মামলার আসামী রুদ্র গাজী গ্রেফতার টাঙ্গাইল জেলা পুলিশের মাস্টার প্যারেড অনুষ্ঠিত

মজুদ গ্যাসে চলবে মাত্র ১১ বছর

মাতৃভূমির খবর ডেস্কঃ  দেশে বর্তমানে মোট ১০ দশমিক ৬৩ ট্রিলিয়ন ঘনফুট উত্তোলনযোগ্য গ্যাসের মজুদ রয়েছে, যা মাত্র ১১ বছর ব্যবহার সম্ভব বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। গতকাল সোমবার সংসদে মন্ত্রীদের জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকারি দলের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ এবাদুল করিমের লিখিত প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী এ তথ্য জানান।

আরো পড়ুন: মুজিববর্ষের লোগো ব্যবহারের নির্দেশিকা প্রকাশ

প্রতিমন্ত্রী জানান, দেশে বিদ্যমান গ্যাসক্ষেত্রগুলো থেকে বর্তমানে দৈনিক ২ হাজার ৫৭০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উৎপাদন করা হচ্ছে। তবে এখনো ১০ দশমিক ৬৩ ট্রিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস মজুদ আছে, যা ১১ বছর ব্যবহার করা সম্ভব হবে। গ্যাসের ক্রমবর্ধমান চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে সম্ভাব্য স্থানে গ্যাসের কূপ খননের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।

গ্যাস নিয়ে সরকারের পরিকল্পনা তুলে ধরে প্রতিমন্ত্রী বলেন, পরিকল্পনা অনুযায়ী বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি (বাপেক্স) ২০১৯-২১ সাল নাগাদ দুটি অনুসন্ধান কূপ, ২০২২-৩০ সাল নাগাদ ১৩টি অনুসন্ধান কূপ এবং ২০৩১-৪১ সাল নাগাদ ২০টি অনুসন্ধান কূপ খননের উদ্যোগ নিয়েছে। গৃহীত পরিকল্পনা বাস্তবায়নে বর্তমানে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে শ্রীকাইল ইস্টে অনুসন্ধান কূপ খনন কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এ ছাড়া সিলেট জেলার জকিগঞ্জে ও ভোলা জেলায় দুটি অনুসন্ধান কূপ খনন কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।

প্রতিমন্ত্রী আরও জানান, পেট্রোবাংলার সঙ্গে বিভিন্ন আঞ্চলিক তেল কোম্পানির সম্পাদিত উৎপাদন বণ্টন চুক্তির (পিএসসি) আওতায় অগভীর সমুদ্রের ব্লক এসএস ৪, এসএস ৯, এসএস ১১ এবং গভীর সমুদ্র অঞ্চলের ব্লক ডিএস ১২তে নতুন গ্যাসক্ষেত্র অনুসন্ধান কার্যক্রম চলমান রয়েছে। চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে অগভীর সমুদ্রের ব্লগ ৪-এ একটি অনুসন্ধান কূপ খনন শুরু হবে।

সরকারি দলের সংসদ সদস্য ডা. সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুলের অন্য প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী জানান, দেশে বর্তমানে দৈনিক ২ হাজার ৫৭০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উৎপাদিত হচ্ছে এবং আমদানিকৃত এলএনজি সরবরাহের পরিমাণ দৈনিক ৫৯০ মিলিয়ন ঘনফুট। অর্থাৎ বর্তমানে দেশে দৈনিক গড়ে মোট ৩ হাজার ১৬০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা হচ্ছে।

বিএনপির সংসদ সদস্য গোলাম মোহাম্মদ সিরাজের এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ছয়টি গ্যাস বিতরণ কোম্পানির মাধ্যমে বিদ্যুৎ ক্যাপটিভ পাওয়ার শিল্প সার কারখানা সিএনজি গৃহস্থালি বাণিজ্যিক ও চা বাগান শ্রেণিতে নিতে গ্যাস সরবরাহ করা হচ্ছে। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে আবাসিক খাতে গড়ে দৈনিক ৪৩৫ মিলিয়ন ঘনফুট এবং বাণিজ্যিক খাতে গড়ে দৈনিক ২২ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা হয়েছে।

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

বাকেরগঞ্জে ড. আবদুস সালাম মল্লিক ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় বিভিন্ন মহলের শুভেচ্ছা।।

মজুদ গ্যাসে চলবে মাত্র ১১ বছর

আপডেট টাইম ০১:২৮:৫২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারী ২০২০

মাতৃভূমির খবর ডেস্কঃ  দেশে বর্তমানে মোট ১০ দশমিক ৬৩ ট্রিলিয়ন ঘনফুট উত্তোলনযোগ্য গ্যাসের মজুদ রয়েছে, যা মাত্র ১১ বছর ব্যবহার সম্ভব বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। গতকাল সোমবার সংসদে মন্ত্রীদের জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকারি দলের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ এবাদুল করিমের লিখিত প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী এ তথ্য জানান।

আরো পড়ুন: মুজিববর্ষের লোগো ব্যবহারের নির্দেশিকা প্রকাশ

প্রতিমন্ত্রী জানান, দেশে বিদ্যমান গ্যাসক্ষেত্রগুলো থেকে বর্তমানে দৈনিক ২ হাজার ৫৭০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উৎপাদন করা হচ্ছে। তবে এখনো ১০ দশমিক ৬৩ ট্রিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস মজুদ আছে, যা ১১ বছর ব্যবহার করা সম্ভব হবে। গ্যাসের ক্রমবর্ধমান চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে সম্ভাব্য স্থানে গ্যাসের কূপ খননের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।

গ্যাস নিয়ে সরকারের পরিকল্পনা তুলে ধরে প্রতিমন্ত্রী বলেন, পরিকল্পনা অনুযায়ী বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি (বাপেক্স) ২০১৯-২১ সাল নাগাদ দুটি অনুসন্ধান কূপ, ২০২২-৩০ সাল নাগাদ ১৩টি অনুসন্ধান কূপ এবং ২০৩১-৪১ সাল নাগাদ ২০টি অনুসন্ধান কূপ খননের উদ্যোগ নিয়েছে। গৃহীত পরিকল্পনা বাস্তবায়নে বর্তমানে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে শ্রীকাইল ইস্টে অনুসন্ধান কূপ খনন কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এ ছাড়া সিলেট জেলার জকিগঞ্জে ও ভোলা জেলায় দুটি অনুসন্ধান কূপ খনন কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।

প্রতিমন্ত্রী আরও জানান, পেট্রোবাংলার সঙ্গে বিভিন্ন আঞ্চলিক তেল কোম্পানির সম্পাদিত উৎপাদন বণ্টন চুক্তির (পিএসসি) আওতায় অগভীর সমুদ্রের ব্লক এসএস ৪, এসএস ৯, এসএস ১১ এবং গভীর সমুদ্র অঞ্চলের ব্লক ডিএস ১২তে নতুন গ্যাসক্ষেত্র অনুসন্ধান কার্যক্রম চলমান রয়েছে। চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে অগভীর সমুদ্রের ব্লগ ৪-এ একটি অনুসন্ধান কূপ খনন শুরু হবে।

সরকারি দলের সংসদ সদস্য ডা. সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুলের অন্য প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী জানান, দেশে বর্তমানে দৈনিক ২ হাজার ৫৭০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উৎপাদিত হচ্ছে এবং আমদানিকৃত এলএনজি সরবরাহের পরিমাণ দৈনিক ৫৯০ মিলিয়ন ঘনফুট। অর্থাৎ বর্তমানে দেশে দৈনিক গড়ে মোট ৩ হাজার ১৬০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা হচ্ছে।

বিএনপির সংসদ সদস্য গোলাম মোহাম্মদ সিরাজের এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ছয়টি গ্যাস বিতরণ কোম্পানির মাধ্যমে বিদ্যুৎ ক্যাপটিভ পাওয়ার শিল্প সার কারখানা সিএনজি গৃহস্থালি বাণিজ্যিক ও চা বাগান শ্রেণিতে নিতে গ্যাস সরবরাহ করা হচ্ছে। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে আবাসিক খাতে গড়ে দৈনিক ৪৩৫ মিলিয়ন ঘনফুট এবং বাণিজ্যিক খাতে গড়ে দৈনিক ২২ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা হয়েছে।