ঢাকা ০৯:২৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বরিশালে বাস শ্রমিককে মারধরের ঘটনায় কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল অবরোধ করে শ্রমিকেরা। গজারিয়ায় কাভার্ড ভ্যানের ধাক্কায় খাদে প্রাইভেটকার, নিহত ৩ সিলেটে আগাম বন্যার আশঙ্কায়!! হাওরজুড়ে কৃষকের ব্যস্ততা শিশুদের মনোবিকাশে প্রয়োজন সংস্কৃতি চর্চা: মেয়র রেজাউল উপজেলা পরিষদ নির্বাচন হাতীবান্ধায় নির্বাচনী সংঘর্ষে চেয়ারম্যান প্রার্থী সহ আহত ১০ ভূয়া নিয়োগপত্র দিয়ে টাকা হাতিয়ে নেয়ার, প্রতারক চক্রের এক সদস্য গ্রেপ্তার প্রথম দিনেই রোগী দেখে সবার মন জয় করেলেন ডাক্তার মোঃ হুমায়ুন রশিদ শাকিল বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষে বগুড়া জেলা আরজেএফ’র সুপেয় পানি স্যালাইন ও বিস্কুট বিতরণ দুমকীতে খাল সংস্কার প্রকল্পে অনিয়মসহ শত শতগাছ উপড়ে ফেলার অভিযোগ। বাকেরগঞ্জ বাসীর উন্নয়নমুলক সকল প্রত্যাশা পুরনে কাজ করব। ৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷ রাজীব আহমেদ তালুকদার।

বঙ্গবন্ধু বিপিএল চ্যাম্পিয়ন রাজশাহী রয়্যালস

স্পোর্টস ডেস্ক:  খুলনা টাইগার্সকে ২১ রানে হারিয়ে বঙ্গবন্ধু বিপিএলের শিরোপা জিতে নিলো রাজশাহী রয়্যালস। আন্দ্রে রাসেলের কাছে হেরে প্রথমবারের মতো বিপিএল জয়ের স্বপ্ন ভঙ্গ হলো মিস্টার ডিপেন্ডেবল মুশফিকুর রহিমের। আর বিপিএলও পেলে নতুন এক চ্যাম্পিয়ন।

আরো পড়ুন: নির্বাচন আগানো বা পেছানো ইসির এখতিয়ার: ওবায়দুল কাদের

গতকাল মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে মুদ্রা নিক্ষেপের লড়াইয়ে হেরে রাসেলদের নামতে হয় ব্যাটিংয়ে। খুলনা অধিনায়কের সিদ্ধান্তটা যে সময়োপযোগীই ছিল। লিটনদের দীর্ঘ সময় চেপে রেখে লক্ষ্যটা নাগালে রাখার চেষ্টায় ছিল খুলনা।

কিন্তু শেষ তিন ওভারে যেন এলোমেলো হয়ে গেল সব, পাল্টে গেল দৃশ্যপট। খোলস ছেড়ে বেরিয়ে এলো রাজশাহী কিংস। ১৭ ওভার শেষে ১১৬ রান তোলা রাসেলরা দেড় শ তুলতে পারবে কিনা তা নিয়েই জেগেছিল সশংয়। তবে শঙ্কাটা উড়িয়ে দিয়েছেন আন্দ্রে রাসেল ও মোহাম্মদ নওয়াজ। দুজনের ব্যাট হঠাৎই যেন হয়ে উঠল তলোয়ার। যাতে শেষ তিন ওভারে রাজশাহী স্কোরবোর্ডে যোগ করল ৫৪ রান!

এদিন খুলনার বোলারদের রীতিমত কচুকাটা করলেন নওয়াজ-রাসেল। ইনিংসের ১৮তম ওভারে রবি ফ্রাইলিঙ্ককে দিয়ে তাণ্ডবের শুরু। ওই ওভারে নওয়াজ নিলেন ২১ রান। পরের ওভারে মোহাম্মদ আমিরকে বেধড়ক পিটিয়ে রাসেল-নওয়াজ মিলে যোগ করলেন আরও ১৮ রান। আর শেষ ওভারে বল করতে আসা শফিউল ইসলামেরও হলো না শেষ রক্ষা। দারুণ বোলিংয়ের পরও তিনি দিলেন ১৫ রান।

মূলত, এই শেষ তিন ওভারের তাণ্ডবেই রাজশাহী রয়্যালস পেয়েছে চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ। নির্ধারিত ওভার শেষে রাসেলদের সংগ্রহ দাঁড়ায় চার উইকেটে ১৭০ রান। আসলে পরিস্থিতিই রাজশাহীকে চাপের মুখে ফেলে দিয়েছিল। লিটন দাসের মন্থর গতির ব্যাটিংই এর জন্য দায়ী।

২৮ বলে একটি করে চার ছক্কায় মাত্র ২৫ রান করেছেন তিনি। আরেক ওপেনার আফিফ হোসেন ৮ বলে করেন ১০ রান। শোয়েব মালিকের ব্যাট থেকে এসেছে ১৩ বলে ৯। এই ত্রয়ীর প্রস্তর যুগের ব্যাটিং পুষিয়ে দিয়েছেন ইরফান শুক্কুর, অধিনায়ক রাসেল ও নওয়াজ। প্রথমজন ৩৫ বলে ৫২ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে বিদায় নেন।

ইনিংসে ছয়টি চারের সঙ্গে দুটি চার মেরেছেন তিনি। শুক্কুরের মতো নওয়াজেরও বাউন্ডারি সংখ্যা একই। কুড়ি বলে ৪১ রানে অপরাজিত থাকলেন পাকিস্তানি অলরাউন্ডার। আর ১৬ বলে ২৭ রানে অজেয় থাকা রাসেলের ইনিংসে ছিল তিনটি ছক্কা। রাজশাহীর পতন হওয়া উইকেটের দুটি নিয়েছেন মোহাম্মদ আমির।

তবে দারুণ বোলিং করেও শেষ পর্যন্ত লক্ষ্যমাত্রা হাতের নাগালে রাখতে পারেননি খুলনা। তাই জয়ের জন্য চ্যালেঞ্জটা নিতে হচ্ছে ব্যাটসম্যানদের। মুশফিকরা পারবেন তো ১৭১ রানের লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছাতে?

তবে এ প্রশ্নের জবাব পেতে খুব বেশি অপেক্ষায় থাকতে হয়নি কোটি ক্রিকেট ভক্ত-সমর্থকদের। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামা খুলনাকে এদিন শুরু থেকেই বিপাকে ফেলে রাসেল বাহিনী। রাজশাহী বোলারদের তোপের মুখে একে একে উইকেট হারাতে থাকে খুলনা। যে ধ্বংসস্তূপ থেকে আর উঠে দাঁড়াতে পারেনি মুশফিকরা।

যদিও এই ধ্বংসস্তূপের মাঝে বুক চিতিয়ে লড়াইয়ে একটু ঝলক দেখান একমাত্র শামসুর রহমান। ফিফটি করেই আউট হন তিনি। আর তার আউটের মধ্যদিয়েই খুলনার কফিনে ঢুঁকে যায় পরাজয়ের অন্যতম পেরেক। আর মুশফিককে বোল্ড করে সেই কফিনে শেষ পেরেকটি ঠুকেন রাজশাহীর নেতা আন্দ্রে রাসেল।

শেষ পর্যন্ত ৮ উইকেট হারিয়ে ১৪৯ রান তুলতে পারে খুলনা। যাতে ২১ রানের জয় নিয়ে উল্লাসে মাতে রাজশাহী। দলটি গড়ে এক নতুন ইতিহাস।

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

বরিশালে বাস শ্রমিককে মারধরের ঘটনায় কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল অবরোধ করে শ্রমিকেরা।

বঙ্গবন্ধু বিপিএল চ্যাম্পিয়ন রাজশাহী রয়্যালস

আপডেট টাইম ১০:৩০:৩৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২০

স্পোর্টস ডেস্ক:  খুলনা টাইগার্সকে ২১ রানে হারিয়ে বঙ্গবন্ধু বিপিএলের শিরোপা জিতে নিলো রাজশাহী রয়্যালস। আন্দ্রে রাসেলের কাছে হেরে প্রথমবারের মতো বিপিএল জয়ের স্বপ্ন ভঙ্গ হলো মিস্টার ডিপেন্ডেবল মুশফিকুর রহিমের। আর বিপিএলও পেলে নতুন এক চ্যাম্পিয়ন।

আরো পড়ুন: নির্বাচন আগানো বা পেছানো ইসির এখতিয়ার: ওবায়দুল কাদের

গতকাল মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে মুদ্রা নিক্ষেপের লড়াইয়ে হেরে রাসেলদের নামতে হয় ব্যাটিংয়ে। খুলনা অধিনায়কের সিদ্ধান্তটা যে সময়োপযোগীই ছিল। লিটনদের দীর্ঘ সময় চেপে রেখে লক্ষ্যটা নাগালে রাখার চেষ্টায় ছিল খুলনা।

কিন্তু শেষ তিন ওভারে যেন এলোমেলো হয়ে গেল সব, পাল্টে গেল দৃশ্যপট। খোলস ছেড়ে বেরিয়ে এলো রাজশাহী কিংস। ১৭ ওভার শেষে ১১৬ রান তোলা রাসেলরা দেড় শ তুলতে পারবে কিনা তা নিয়েই জেগেছিল সশংয়। তবে শঙ্কাটা উড়িয়ে দিয়েছেন আন্দ্রে রাসেল ও মোহাম্মদ নওয়াজ। দুজনের ব্যাট হঠাৎই যেন হয়ে উঠল তলোয়ার। যাতে শেষ তিন ওভারে রাজশাহী স্কোরবোর্ডে যোগ করল ৫৪ রান!

এদিন খুলনার বোলারদের রীতিমত কচুকাটা করলেন নওয়াজ-রাসেল। ইনিংসের ১৮তম ওভারে রবি ফ্রাইলিঙ্ককে দিয়ে তাণ্ডবের শুরু। ওই ওভারে নওয়াজ নিলেন ২১ রান। পরের ওভারে মোহাম্মদ আমিরকে বেধড়ক পিটিয়ে রাসেল-নওয়াজ মিলে যোগ করলেন আরও ১৮ রান। আর শেষ ওভারে বল করতে আসা শফিউল ইসলামেরও হলো না শেষ রক্ষা। দারুণ বোলিংয়ের পরও তিনি দিলেন ১৫ রান।

মূলত, এই শেষ তিন ওভারের তাণ্ডবেই রাজশাহী রয়্যালস পেয়েছে চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ। নির্ধারিত ওভার শেষে রাসেলদের সংগ্রহ দাঁড়ায় চার উইকেটে ১৭০ রান। আসলে পরিস্থিতিই রাজশাহীকে চাপের মুখে ফেলে দিয়েছিল। লিটন দাসের মন্থর গতির ব্যাটিংই এর জন্য দায়ী।

২৮ বলে একটি করে চার ছক্কায় মাত্র ২৫ রান করেছেন তিনি। আরেক ওপেনার আফিফ হোসেন ৮ বলে করেন ১০ রান। শোয়েব মালিকের ব্যাট থেকে এসেছে ১৩ বলে ৯। এই ত্রয়ীর প্রস্তর যুগের ব্যাটিং পুষিয়ে দিয়েছেন ইরফান শুক্কুর, অধিনায়ক রাসেল ও নওয়াজ। প্রথমজন ৩৫ বলে ৫২ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে বিদায় নেন।

ইনিংসে ছয়টি চারের সঙ্গে দুটি চার মেরেছেন তিনি। শুক্কুরের মতো নওয়াজেরও বাউন্ডারি সংখ্যা একই। কুড়ি বলে ৪১ রানে অপরাজিত থাকলেন পাকিস্তানি অলরাউন্ডার। আর ১৬ বলে ২৭ রানে অজেয় থাকা রাসেলের ইনিংসে ছিল তিনটি ছক্কা। রাজশাহীর পতন হওয়া উইকেটের দুটি নিয়েছেন মোহাম্মদ আমির।

তবে দারুণ বোলিং করেও শেষ পর্যন্ত লক্ষ্যমাত্রা হাতের নাগালে রাখতে পারেননি খুলনা। তাই জয়ের জন্য চ্যালেঞ্জটা নিতে হচ্ছে ব্যাটসম্যানদের। মুশফিকরা পারবেন তো ১৭১ রানের লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছাতে?

তবে এ প্রশ্নের জবাব পেতে খুব বেশি অপেক্ষায় থাকতে হয়নি কোটি ক্রিকেট ভক্ত-সমর্থকদের। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামা খুলনাকে এদিন শুরু থেকেই বিপাকে ফেলে রাসেল বাহিনী। রাজশাহী বোলারদের তোপের মুখে একে একে উইকেট হারাতে থাকে খুলনা। যে ধ্বংসস্তূপ থেকে আর উঠে দাঁড়াতে পারেনি মুশফিকরা।

যদিও এই ধ্বংসস্তূপের মাঝে বুক চিতিয়ে লড়াইয়ে একটু ঝলক দেখান একমাত্র শামসুর রহমান। ফিফটি করেই আউট হন তিনি। আর তার আউটের মধ্যদিয়েই খুলনার কফিনে ঢুঁকে যায় পরাজয়ের অন্যতম পেরেক। আর মুশফিককে বোল্ড করে সেই কফিনে শেষ পেরেকটি ঠুকেন রাজশাহীর নেতা আন্দ্রে রাসেল।

শেষ পর্যন্ত ৮ উইকেট হারিয়ে ১৪৯ রান তুলতে পারে খুলনা। যাতে ২১ রানের জয় নিয়ে উল্লাসে মাতে রাজশাহী। দলটি গড়ে এক নতুন ইতিহাস।