ঢাকা ০৩:২৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বরিশালে বাস শ্রমিককে মারধরের ঘটনায় কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল অবরোধ করে শ্রমিকেরা। গজারিয়ায় কাভার্ড ভ্যানের ধাক্কায় খাদে প্রাইভেটকার, নিহত ৩ সিলেটে আগাম বন্যার আশঙ্কায়!! হাওরজুড়ে কৃষকের ব্যস্ততা শিশুদের মনোবিকাশে প্রয়োজন সংস্কৃতি চর্চা: মেয়র রেজাউল উপজেলা পরিষদ নির্বাচন হাতীবান্ধায় নির্বাচনী সংঘর্ষে চেয়ারম্যান প্রার্থী সহ আহত ১০ ভূয়া নিয়োগপত্র দিয়ে টাকা হাতিয়ে নেয়ার, প্রতারক চক্রের এক সদস্য গ্রেপ্তার প্রথম দিনেই রোগী দেখে সবার মন জয় করেলেন ডাক্তার মোঃ হুমায়ুন রশিদ শাকিল বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষে বগুড়া জেলা আরজেএফ’র সুপেয় পানি স্যালাইন ও বিস্কুট বিতরণ দুমকীতে খাল সংস্কার প্রকল্পে অনিয়মসহ শত শতগাছ উপড়ে ফেলার অভিযোগ। বাকেরগঞ্জ বাসীর উন্নয়নমুলক সকল প্রত্যাশা পুরনে কাজ করব। ৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷ রাজীব আহমেদ তালুকদার।

জাকজমক ভাবে পালিত সাকরাইন উৎসব

মাহফুজুর রহমান সুমিত:   পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী ‘সাকরাইন’ উৎসবে পৌষসংক্রান্তি ও মাঘ মাসের শুরুর দিনটিতে আগুন নিয়ে খেলা ও আতশবাজির মধ্য দিয়ে শুরু হয় প্রথম প্রহর। আজ ১৪ জানুয়ারি পৌষসংক্রান্তি উপলক্ষে পুরান ঢাকার বাড়িতে বাড়িতে সাকরাইন উৎসব উপলক্ষে ঘুড়ি ওড়ানো ছাড়াও ছিল নানা আয়োজন। ছোট বড় সবার অংশগ্রহণে মুখরিত হয় প্রতিটি বাড়ির ছাদ। বেলা বাড়ার সাথে সাথে বাড়ে আকাশে ঘুড়ির সংখ্যা ও উৎসবের মুখরতা। সাকরাইন উপলক্ষে আয়োজন করা হয় পুরান ঢাকার নানা ধরনের ঐতিহ্যবাহী খাবারের। সাকরাইন উপলক্ষে পুরান ঢাকার আকাশে শোভা পায় নানা রঙ আর বাহারি আকৃতির ঘুড়ি।

আরো পড়ুন: ৩০ জানুয়ারিই হবে ঢাকার দুই সিটির নির্বাচন

আরো পড়ুন: বসলো পদ্মা সেতুর ২১তম স্প্যান, দৃশ্যমান ৩১৫০ মিটার

সেই সাথে রাজধানির গেন্ডারিয়া, লক্ষীবাজার, শাখারীবাজার, কলতাবাজার, সূত্রাপুর, ঢালকানগর এসব এলাকার বেশিরভাগ বাড়িতেই চলছে ঘুড়ি উৎসব। সাকরাইন পুরনো ঢাকার ঐতিহ্যবাহী এবং প্রাচীনতম বার্ষিক উৎসব গুলোর মধ্যে একটি। সাকরাইন বলতেই আমরা জানি উৎসব মুখোর পরিবেশে ঘুড়ি উড়ানো।পুরো সপ্তাহ জুড়ে পুরনো ঢাকার অলিতে-গলিতে আনন্দ মুখোর পরিবেশে চলে সাকরাইন এর প্রস্তুতি, চলে সুতোয় মাঞ্জা দেয়ার ধুম। এই দিন বাহারি রঙের ঘুড়িতে আকাশ হয়ে উঠে ঘুড়িময়। ছোট বড় সবার অংশগ্রহণে প্রতিটি বাড়ির ছাদ হয়ে উঠে উৎসব মুখর, আর বেলা বারার সাথে সাথে বাড়তে থাকে উৎসবের জৌলুস।

স্থানীয় বাসিন্দাদের ভাষ্য অনুযায়ী “ব্রিটিশ আমলের এই উৎসবটি এখন বাংলাদেশের সব মানুষ পালন করেন। পুরনো আমলে গান বাজতো মাইকে, আর এখন লাউডস্পীকারে গান বাজানো হয়। আগে আমরা খিচুড়ি করতাম এখন হয়তো কেউ বিরিয়ানি রাঁধে।”

উৎসবের কায়দা আগের মতো আছে বলেই মনে করেন তারা। অনেকে সাকরাইন উৎসবকে ঘিরে নস্টালজিকও হয়ে পড়েন। ছোটবেলার রঙবেরঙের ঘুড়ি উড়ানোর স্মৃতিকে বাস্তব করতেই তারা ছুটে যান পুরান ঢাকার এই ঐতিহ্যবাসী উৎসবে।

নস্টালজিক হয়ে হারুন রশিদ যেমন বলেছেন- “আহা। ছোটবেলায় কত ঘুড়ি উড়িয়েছি।”

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

বরিশালে বাস শ্রমিককে মারধরের ঘটনায় কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল অবরোধ করে শ্রমিকেরা।

জাকজমক ভাবে পালিত সাকরাইন উৎসব

আপডেট টাইম ০১:৩৯:৩৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২০

মাহফুজুর রহমান সুমিত:   পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী ‘সাকরাইন’ উৎসবে পৌষসংক্রান্তি ও মাঘ মাসের শুরুর দিনটিতে আগুন নিয়ে খেলা ও আতশবাজির মধ্য দিয়ে শুরু হয় প্রথম প্রহর। আজ ১৪ জানুয়ারি পৌষসংক্রান্তি উপলক্ষে পুরান ঢাকার বাড়িতে বাড়িতে সাকরাইন উৎসব উপলক্ষে ঘুড়ি ওড়ানো ছাড়াও ছিল নানা আয়োজন। ছোট বড় সবার অংশগ্রহণে মুখরিত হয় প্রতিটি বাড়ির ছাদ। বেলা বাড়ার সাথে সাথে বাড়ে আকাশে ঘুড়ির সংখ্যা ও উৎসবের মুখরতা। সাকরাইন উপলক্ষে আয়োজন করা হয় পুরান ঢাকার নানা ধরনের ঐতিহ্যবাহী খাবারের। সাকরাইন উপলক্ষে পুরান ঢাকার আকাশে শোভা পায় নানা রঙ আর বাহারি আকৃতির ঘুড়ি।

আরো পড়ুন: ৩০ জানুয়ারিই হবে ঢাকার দুই সিটির নির্বাচন

আরো পড়ুন: বসলো পদ্মা সেতুর ২১তম স্প্যান, দৃশ্যমান ৩১৫০ মিটার

সেই সাথে রাজধানির গেন্ডারিয়া, লক্ষীবাজার, শাখারীবাজার, কলতাবাজার, সূত্রাপুর, ঢালকানগর এসব এলাকার বেশিরভাগ বাড়িতেই চলছে ঘুড়ি উৎসব। সাকরাইন পুরনো ঢাকার ঐতিহ্যবাহী এবং প্রাচীনতম বার্ষিক উৎসব গুলোর মধ্যে একটি। সাকরাইন বলতেই আমরা জানি উৎসব মুখোর পরিবেশে ঘুড়ি উড়ানো।পুরো সপ্তাহ জুড়ে পুরনো ঢাকার অলিতে-গলিতে আনন্দ মুখোর পরিবেশে চলে সাকরাইন এর প্রস্তুতি, চলে সুতোয় মাঞ্জা দেয়ার ধুম। এই দিন বাহারি রঙের ঘুড়িতে আকাশ হয়ে উঠে ঘুড়িময়। ছোট বড় সবার অংশগ্রহণে প্রতিটি বাড়ির ছাদ হয়ে উঠে উৎসব মুখর, আর বেলা বারার সাথে সাথে বাড়তে থাকে উৎসবের জৌলুস।

স্থানীয় বাসিন্দাদের ভাষ্য অনুযায়ী “ব্রিটিশ আমলের এই উৎসবটি এখন বাংলাদেশের সব মানুষ পালন করেন। পুরনো আমলে গান বাজতো মাইকে, আর এখন লাউডস্পীকারে গান বাজানো হয়। আগে আমরা খিচুড়ি করতাম এখন হয়তো কেউ বিরিয়ানি রাঁধে।”

উৎসবের কায়দা আগের মতো আছে বলেই মনে করেন তারা। অনেকে সাকরাইন উৎসবকে ঘিরে নস্টালজিকও হয়ে পড়েন। ছোটবেলার রঙবেরঙের ঘুড়ি উড়ানোর স্মৃতিকে বাস্তব করতেই তারা ছুটে যান পুরান ঢাকার এই ঐতিহ্যবাসী উৎসবে।

নস্টালজিক হয়ে হারুন রশিদ যেমন বলেছেন- “আহা। ছোটবেলায় কত ঘুড়ি উড়িয়েছি।”