ঢাকা ০৯:৩৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
“কেরানীগঞ্জে এক হাজার পথচারীদের মাঝে শরবত বিতরণ করলেন সাংবাদিকরা” লক্ষ্মীপুরে শ্রেষ্ঠ অধ্যক্ষ পুরস্কার নিয়ে বির্তক দিঘলিয়ায় মে দিবস পালিত। মে দিবস উপলক্ষে জাতীয় প্রেসক্লাবে বিড়ি শ্রমিকদের র‌্যালি ও সমাবেশ নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ সাইনবোর্ড বাসস্ট্যান্ড তীব্রতাপ প্রভায়ে খাবার পানি ও স্যালাইন বিতরণ বগুড়া শাজাহানপুরে অসহায় পরিবারের পাশে দাঁড়ালেন ইউএনও “দেশ টিভির সাংবাদিককে লিগ্যাল নোটিশ” বাকেরগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় কলেজ শিক্ষার্থীর পায়ের পাতা বিচ্ছিন্ন। বাকেরগঞ্জের সাহেবপুরে বৃষ্টির জন্য ইস্তিসখার নামাজ আদায়। উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীর প্রচারে সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার

বস্ত্র শিল্পের পাশাপাশি কৃষিকেও আধুনিকায়ন করা হচ্ছে : প্রধানমন্ত্রী

মাতৃভূমির খবর ডেস্কঃ  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশকে সার্বিকভাবে উন্নতির দিকে নিয়ে যাওয়ার লক্ষে আমারা কাজ করছি। বস্ত্র খাতের পাশাপাশি কৃষিকেও আধুনিকায়ন করা হচ্ছে।

জাতীয় বস্ত্র দিবস- ২০১৯ উদযাপন এবং জাতীয় বস্ত্র পণ্য মেলার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, এই অনুষ্ঠানটি এই প্রথম আমরা শুরু করেছি। কাজেই বস্ত্র খাতের উন্নয়ন, বিকাশ ও আন্তর্জাতিক বাজার সম্প্রসারণে এ জাতিয় অনুষ্ঠান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আমরা আশা করি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, গত ১০ বছরে বাংলাদেশ কি পরিমান এগিয়েছে তা আপনারা সবাই জানেন। আজ আমাদের জিডিপির আকার ২০০৯ এ ছিল ১০২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। আজ তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩০২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে। অপরদিকে আমাদের রপ্তানি আয় সেই বিএনপি সরকারের আমলে ২০০৫-০৬ অর্থ বছরে যা ছিল তার তুলোনায় তিন গুণ বেড়ে ২০১৮-১৯ সালের অর্থবছরে এসে দাঁড়িয়েছে ৪৬.৫৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে।

তিনি বলেন, আমার দেশের কৃষক, শ্রমিক, সাধারণ মানুষ সবাই উন্নত জীবনযাপন করবে। আমরা যে ডেল্টা প্লান নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি তাতে করে একদিন বাংলাদেশ বিশ্বের বুকে দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। বিশ্ব দরবারে আমরা মাথা তুলে দাঁড়িয়েছি। আগামী প্রজন্ম যাতে একটি উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ পায় সে লক্ষেই আমরা কাজ করছি।

শেখ হাসিনা বলেন, মাথাপিছু আয় তিনগুণ বৃদ্ধি পেয়ে ১,৯০৯ মার্কিন ডলারে উন্নিত হয়েছে। আমাদের জিডিপি ৮.১৫ হারে বৃদ্ধি করতে সক্ষম হয়েছি। এই প্রবৃদ্ধি যেমন অর্জন করেছি, তার সঙ্গে মূল্যস্ফিতি আমরা ৫ ভাগে নামিয়ে রাখতে সক্ষম হই।

তিনি আরও বলেন, জাতির পিতা স্বাধীনতার পর আমাদের যে সংবিধান উপহার দিয়েছিলেন সেখানে অর্থনীতিক ক্ষেত্রে তিনি সরকারের সাথে সাথে বেসরকারি এবং সমবায়, এই তিনটি খাতকেই গুরুত্ব দিয়েছিলেন। আর আমরা সরকার গঠন করার পর প্রথমবার থেকেই বেসরকারি খাতকে উৎসাহ দিচ্ছি, অনেক খাতকে উন্মুক্ত করে দিয়েছি। যার শুভ ফল দেশবাসী পাচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, রপ্তানিমুখি শিল্পগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে শিল্পপুলিশ গঠন করে দিয়েছি। যাতে নিরাপদে সব কাজ করতে পারেন সবাই। যাতে নিরাপদ কারখান গড়ে উঠতে পারে সে জন্য শুল্কমুক্ত সুবিধা করে দিয়েছি।

শেখ হাসিনা আরও বলেন, ২০০৯ সালে যখন সরকার গঠন করি তখন পোশাক শিল্পে যারা শ্রমিক রয়েছেন তাদের মজুরি ছিল মাত্র ১৬০০ টাকা। আজ তা ৮ হাজার টাকায় উন্নিত করা হয়েছে। আমি জানি না, পৃথিবীর কোন দেশ কখনও এতো টাকা এক সঙ্গে মজুরি বৃদ্ধি করেছে কিনা! শুধু পোশাক শিল্পে নয়, আমরা সকলেরই বেতন ভাতা বৃদ্ধি করেছি।

Tag :

“কেরানীগঞ্জে এক হাজার পথচারীদের মাঝে শরবত বিতরণ করলেন সাংবাদিকরা”

বস্ত্র শিল্পের পাশাপাশি কৃষিকেও আধুনিকায়ন করা হচ্ছে : প্রধানমন্ত্রী

আপডেট টাইম ০৪:৩৭:৪৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ জানুয়ারী ২০২০

মাতৃভূমির খবর ডেস্কঃ  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশকে সার্বিকভাবে উন্নতির দিকে নিয়ে যাওয়ার লক্ষে আমারা কাজ করছি। বস্ত্র খাতের পাশাপাশি কৃষিকেও আধুনিকায়ন করা হচ্ছে।

জাতীয় বস্ত্র দিবস- ২০১৯ উদযাপন এবং জাতীয় বস্ত্র পণ্য মেলার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, এই অনুষ্ঠানটি এই প্রথম আমরা শুরু করেছি। কাজেই বস্ত্র খাতের উন্নয়ন, বিকাশ ও আন্তর্জাতিক বাজার সম্প্রসারণে এ জাতিয় অনুষ্ঠান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আমরা আশা করি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, গত ১০ বছরে বাংলাদেশ কি পরিমান এগিয়েছে তা আপনারা সবাই জানেন। আজ আমাদের জিডিপির আকার ২০০৯ এ ছিল ১০২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। আজ তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩০২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে। অপরদিকে আমাদের রপ্তানি আয় সেই বিএনপি সরকারের আমলে ২০০৫-০৬ অর্থ বছরে যা ছিল তার তুলোনায় তিন গুণ বেড়ে ২০১৮-১৯ সালের অর্থবছরে এসে দাঁড়িয়েছে ৪৬.৫৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে।

তিনি বলেন, আমার দেশের কৃষক, শ্রমিক, সাধারণ মানুষ সবাই উন্নত জীবনযাপন করবে। আমরা যে ডেল্টা প্লান নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি তাতে করে একদিন বাংলাদেশ বিশ্বের বুকে দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। বিশ্ব দরবারে আমরা মাথা তুলে দাঁড়িয়েছি। আগামী প্রজন্ম যাতে একটি উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ পায় সে লক্ষেই আমরা কাজ করছি।

শেখ হাসিনা বলেন, মাথাপিছু আয় তিনগুণ বৃদ্ধি পেয়ে ১,৯০৯ মার্কিন ডলারে উন্নিত হয়েছে। আমাদের জিডিপি ৮.১৫ হারে বৃদ্ধি করতে সক্ষম হয়েছি। এই প্রবৃদ্ধি যেমন অর্জন করেছি, তার সঙ্গে মূল্যস্ফিতি আমরা ৫ ভাগে নামিয়ে রাখতে সক্ষম হই।

তিনি আরও বলেন, জাতির পিতা স্বাধীনতার পর আমাদের যে সংবিধান উপহার দিয়েছিলেন সেখানে অর্থনীতিক ক্ষেত্রে তিনি সরকারের সাথে সাথে বেসরকারি এবং সমবায়, এই তিনটি খাতকেই গুরুত্ব দিয়েছিলেন। আর আমরা সরকার গঠন করার পর প্রথমবার থেকেই বেসরকারি খাতকে উৎসাহ দিচ্ছি, অনেক খাতকে উন্মুক্ত করে দিয়েছি। যার শুভ ফল দেশবাসী পাচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, রপ্তানিমুখি শিল্পগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে শিল্পপুলিশ গঠন করে দিয়েছি। যাতে নিরাপদে সব কাজ করতে পারেন সবাই। যাতে নিরাপদ কারখান গড়ে উঠতে পারে সে জন্য শুল্কমুক্ত সুবিধা করে দিয়েছি।

শেখ হাসিনা আরও বলেন, ২০০৯ সালে যখন সরকার গঠন করি তখন পোশাক শিল্পে যারা শ্রমিক রয়েছেন তাদের মজুরি ছিল মাত্র ১৬০০ টাকা। আজ তা ৮ হাজার টাকায় উন্নিত করা হয়েছে। আমি জানি না, পৃথিবীর কোন দেশ কখনও এতো টাকা এক সঙ্গে মজুরি বৃদ্ধি করেছে কিনা! শুধু পোশাক শিল্পে নয়, আমরা সকলেরই বেতন ভাতা বৃদ্ধি করেছি।