ঢাকা ০৬:০৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
দেশ জুরে শুরু হয়েছে ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। মুরাদনগর উপজেলা মোট-১৭ জন প্রার্থী মনোনয়ন পত্র দাখিল করেন। টাঙ্গাইলে এইচআইভি ও এইডস রোগের সচেতনতা সৃষ্টিতে কর্মশালা অনুষ্ঠিত লোহাগড়া উপজেলা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে প্রতিক বরাদ্দ বগুড়া শিবগঞ্জে নাতির রাম দা’র কোপে নানী খুন ফুটপাত উদ্ধার করতে হবে: মেয়র রেজাউল আন্তর্জাতিক মে দিবস পালন করেন নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রাসাদ নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয় রাঙ্গুনিয়ায় চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানে প্রতিদ্বন্দ্বীবিহীন প্রার্থী ভোট হবে ভাইস চেয়ারম্যানের (চার প্রার্থীর মধ্যে দুই প্রার্থীর মনোনয়ন প্রত্যাহার ভোট প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে দুই জনের মধ্যে।) “কেরানীগঞ্জে এক হাজার পথচারীদের মাঝে শরবত বিতরণ করলেন সাংবাদিকরা” লক্ষ্মীপুরে শ্রেষ্ঠ অধ্যক্ষ পুরস্কার নিয়ে বির্তক দিঘলিয়ায় মে দিবস পালিত।

সৈয়দ আশরাফের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

মাতৃভূমির খবর ডেস্কঃ  আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। গত বছর আজকের এই দিনে ব্যাংককের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।

আরো পড়ুন: তাইওয়ানের সেনাপ্রধান হেলিকপ্টার বিধ্বস্তে নিহত

সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের জন্ম ১৯৫২ সালের ১ জানুয়ারি ময়মনসিংহে। তার বাবা জাতীয় চার নেতার অন্যতম ও মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক সৈয়দ নজরুল ইসলাম ১৯৭১ সালে মুজিবনগর সরকারের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি ছিলেন। সৈয়দ আশরাফ এক কন্যার জনক। তার স্ত্রী শিলা ইসলাম ২০১৭ সালের অক্টোবরে মারা যান।

সৈয়দ আশরাফ ছাত্র রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। ভারতের দেরাদুনে প্রশিক্ষণ নিয়ে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন তিনি। স্বাধীনতার পর ময়মনসিংহ জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। এ ছাড়া ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-প্রচার সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন তিনি।

১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর কারাগারে তার বাবা সৈয়দ নজরুল ইসলামসহ জাতীয় চার নেতার নির্মম হত্যাকাণ্ডের পর যুক্তরাজ্য চলে যান তিনি। প্রবাস জীবনে তিনি যুক্তরাজ্যে আওয়ামী লীগকে সংগঠিত করার ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ১৯৯৬ সালে দেশে ফিরে কিশোরগঞ্জ-৩ আসন থেকে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হিসেবে প্রথমবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। পরে আওয়ামী লীগ সরকারের বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী করা হয় তাকে।

২০০১, ২০০৮, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে কিশোরগঞ্জ-১ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন সৈয়দ আশরাফ। ২০০৯ ও ২০১৪ সালে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকারের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী হিসেবে দুই দফা দায়িত্ব পান তিনি। ২০১৫ সালে তাকে প্রথমে দপ্তরবিহীন মন্ত্রী ও পরে জনপ্রশাসনমন্ত্রী করার পর মৃত্যুর আগ পর্যন্ত ওই দায়িত্বে ছিলেন তিনি।

সৈয়দ আশরাফ আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালনের পর ২০০২ সালের জাতীয় সম্মেলনে দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নিযুক্ত হন। ২০০৭ সালে দেশে জরুরি অবস্থা জারির পর প্রথমে দলীয় সভাপতি ও পরে তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক প্রয়াত আবদুল জলিল গ্রেপ্তার হলে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দল পরিচালনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন সৈয়দ আশরাফ। পরে ২০০৯ ও ২০১২ সালের সম্মেলনে পরপর দুই দফায় দলের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন তিনি। ২০১৬ সালের সম্মেলনে তাকে সর্বশেষ দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য করা হয়েছিল।

দিনটি উপলক্ষে বিভিন্ন দল ও সংগঠন নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। আওয়ামী লীগ আজ সকাল ৮টায় বনানী কবরস্থানে প্রয়াত এই নেতার কবরে শ্রদ্ধা জানাবে।

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

দেশ জুরে শুরু হয়েছে ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। মুরাদনগর উপজেলা মোট-১৭ জন প্রার্থী মনোনয়ন পত্র দাখিল করেন।

সৈয়দ আশরাফের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

আপডেট টাইম ০৯:০০:২১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩ জানুয়ারী ২০২০

মাতৃভূমির খবর ডেস্কঃ  আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। গত বছর আজকের এই দিনে ব্যাংককের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।

আরো পড়ুন: তাইওয়ানের সেনাপ্রধান হেলিকপ্টার বিধ্বস্তে নিহত

সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের জন্ম ১৯৫২ সালের ১ জানুয়ারি ময়মনসিংহে। তার বাবা জাতীয় চার নেতার অন্যতম ও মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক সৈয়দ নজরুল ইসলাম ১৯৭১ সালে মুজিবনগর সরকারের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি ছিলেন। সৈয়দ আশরাফ এক কন্যার জনক। তার স্ত্রী শিলা ইসলাম ২০১৭ সালের অক্টোবরে মারা যান।

সৈয়দ আশরাফ ছাত্র রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। ভারতের দেরাদুনে প্রশিক্ষণ নিয়ে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন তিনি। স্বাধীনতার পর ময়মনসিংহ জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। এ ছাড়া ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-প্রচার সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন তিনি।

১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর কারাগারে তার বাবা সৈয়দ নজরুল ইসলামসহ জাতীয় চার নেতার নির্মম হত্যাকাণ্ডের পর যুক্তরাজ্য চলে যান তিনি। প্রবাস জীবনে তিনি যুক্তরাজ্যে আওয়ামী লীগকে সংগঠিত করার ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ১৯৯৬ সালে দেশে ফিরে কিশোরগঞ্জ-৩ আসন থেকে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হিসেবে প্রথমবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। পরে আওয়ামী লীগ সরকারের বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী করা হয় তাকে।

২০০১, ২০০৮, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে কিশোরগঞ্জ-১ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন সৈয়দ আশরাফ। ২০০৯ ও ২০১৪ সালে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকারের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী হিসেবে দুই দফা দায়িত্ব পান তিনি। ২০১৫ সালে তাকে প্রথমে দপ্তরবিহীন মন্ত্রী ও পরে জনপ্রশাসনমন্ত্রী করার পর মৃত্যুর আগ পর্যন্ত ওই দায়িত্বে ছিলেন তিনি।

সৈয়দ আশরাফ আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালনের পর ২০০২ সালের জাতীয় সম্মেলনে দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নিযুক্ত হন। ২০০৭ সালে দেশে জরুরি অবস্থা জারির পর প্রথমে দলীয় সভাপতি ও পরে তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক প্রয়াত আবদুল জলিল গ্রেপ্তার হলে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দল পরিচালনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন সৈয়দ আশরাফ। পরে ২০০৯ ও ২০১২ সালের সম্মেলনে পরপর দুই দফায় দলের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন তিনি। ২০১৬ সালের সম্মেলনে তাকে সর্বশেষ দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য করা হয়েছিল।

দিনটি উপলক্ষে বিভিন্ন দল ও সংগঠন নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। আওয়ামী লীগ আজ সকাল ৮টায় বনানী কবরস্থানে প্রয়াত এই নেতার কবরে শ্রদ্ধা জানাবে।