ঢাকা ০৮:৩৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
আন্তর্জাতিক মে দিবস পালন করেন নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রাসাদ নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয় রাঙ্গুনিয়ায় চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানে প্রতিদ্বন্দ্বীবিহীন প্রার্থী ভোট হবে ভাইস চেয়ারম্যানের (চার প্রার্থীর মধ্যে দুই প্রার্থীর মনোনয়ন প্রত্যাহার ভোট প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে দুই জনের মধ্যে।) “কেরানীগঞ্জে এক হাজার পথচারীদের মাঝে শরবত বিতরণ করলেন সাংবাদিকরা” লক্ষ্মীপুরে শ্রেষ্ঠ অধ্যক্ষ পুরস্কার নিয়ে বির্তক দিঘলিয়ায় মে দিবস পালিত। মে দিবস উপলক্ষে জাতীয় প্রেসক্লাবে বিড়ি শ্রমিকদের র‌্যালি ও সমাবেশ নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ সাইনবোর্ড বাসস্ট্যান্ড তীব্রতাপ প্রভায়ে খাবার পানি ও স্যালাইন বিতরণ বগুড়া শাজাহানপুরে অসহায় পরিবারের পাশে দাঁড়ালেন ইউএনও “দেশ টিভির সাংবাদিককে লিগ্যাল নোটিশ” বাকেরগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় কলেজ শিক্ষার্থীর পায়ের পাতা বিচ্ছিন্ন।

ব্যালন জিততে রিয়াল মাদ্রিদে যেতে চান হ্যাজার্ড

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ উত্তরটা এক শব্দের। ‘হ্যাঁ।’ কিন্তু প্রশ্নটাই এডেন হ্যাজার্ডকে নিয়ে মাতামাতির জন্য যথেষ্ট। চেলসির বেলজিয়ান ফরোয়ার্ডের দিকে ছুটে যাওয়া প্রশ্নটা যে ছিল, তিনি নিজে নিজেকে বিশ্বের সেরা খেলোয়াড় ভাবেন কি না!

লিওনেল মেসি দারুণ ছন্দে আছেন, ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো ধীরে ধীরে নিজের ফর্ম চেনাচ্ছেন জুভেন্টাসের জার্সিতে, নেইমার মাতিয়ে যাচ্ছেন প্যারিস। কিন্তু রাশিয়া বিশ্বকাপে আলো ছড়ানো হ্যাজার্ড এই মৌসুমে চেলসির জার্সিতেও যেমন ছন্দে আছেন, তাঁকেও একই ব্র্যাকেটে রাখতে হয়। এমনই অবস্থা, চেলসির কোচ মরিসিও সারিই মাসখানেকের মধ্যে মত বদলে ফেলেন। আগস্টে বলেছিলেন, হ্যাজার্ড ইউরোপের সেরাদের একজন, এক মাস পর সেটি বদলে হয়ে গিয়েছিল ইউরোপের সেরা।

এবার হ্যাজার্ডের ভাবনাটা জানা গেল। ইউরোপ তো ছোট্ট ব্যাপার, নিজেকে এই মুহূর্তে বিশ্বেরই সেরা ভাবছেন চেলসি প্লে-মেকার।
কয়েক দিন ধরেই নিজের মনোভাবটা বেশ খোলাখুলিই জানাচ্ছেন হ্যাজার্ড, এটা সম্ভবত এখন বলাই যায়। নিজেকে সেরা দাবি করাটাও সেটিরই অংশ হয়তো। বিশ্বকাপের পরই ‘সময় এসেছে নতুন কিছুর স্বাদ নেওয়ার’ বলে চেলসি থেকে রিয়াল মাদ্রিদে যাওয়ার ইচ্ছেটা জানিয়ে সেই যে শোরগোল ফেলেছিলেন, এরপর হ্যাজার্ড নিয়মিতই খবরে। তা তাঁর চোখধাঁধানো ফর্মের কারণেই হোক বা দলবদল নিয়ে তাঁর কথার কারণে।

সাউদাম্পটনের বিপক্ষে লিগের ম্যাচের পর গত রোববারও যে কারণে আলোচনায় এসেছেন হ্যাজার্ড। চেলসিতে তাঁর চুক্তির দুই বছরও বাকি নেই। আর রিয়াল মাদ্রিদ যে স্বপ্নের নাম, তা তো এখন সবারই জানা। রোববার হ্যাজার্ড জানিয়েছিলেন, চেলসিতে চুক্তি নবায়ন করবেন না রিয়ালে যাবেন, তা নিয়ে দোটানায় আছেন। যদিও ২৭ বছর বয়সী বেলজিয়ানের বক্তব্যে রিয়াল-প্রেম ধরা পড়েছিল আরেকবার। তা সেটি নিয়েই আবার প্রশ্ন হলো গতকাল। আজ উয়েফা নেশনস কাপে সুইজারল্যান্ডের সঙ্গে খেলবে বেলজিয়াম, তার আগে সংবাদ সম্মেলনে ম্যাচ ছাপিয়ে বড় হয়ে উঠেছে হ্যাজার্ড ও তাঁর ভবিষ্যৎ।

নিজেকে সেরা দাবিটাও সেখানেই করেছেন হ্যাজার্ড। এরপর সব প্রশ্ন রিয়াল আর চেলসিকে ঘিরেই। স্পেনে যাওয়ার এমনিতেই তাঁর প্রেরণার অভাব নেই, তার ওপর সংবাদ সম্মেলনে মনে করিয়ে দেওয়া হলো, গত দশ বছরে ব্যালন ডি’অর জয়ীরা স্পেনের ক্লাবেরই। তা পুরস্কারটা জিততে হ্যাজার্ডেরও সেখানে যাওয়া দরকার কি না, প্রশ্নে হ্যাজার্ডের উত্তর, ‘সে জন্যই আমি (সেখানে) যেতে চাই, যদি সম্ভব হয়।’ চেলসি সমর্থকেরাও হয়তো গত কয়েক দিনে তাঁর কথা শুনে হ্যাজার্ডের ভবিষ্যৎ লন্ডনে না থাকার শঙ্কাই করছেন। তবে জানুয়ারিতেই চেলসি ছাড়ার পরিকল্পনা আছে কি না, প্রশ্নে হ্যাজার্ড এক শব্দই উচ্চারণ করেন, ‘না।’

চেলসির জন্য অন্তত এই মৌসুমে এটি সুখবর। ১০ ম্যাচে এরই মধ্যে ৮ গোল হ্যাজার্ডের, গোল করাচ্ছেন, আক্রমণের সুতো বেঁধে দিচ্ছেন। হ্যাজার্ড অবশ্য নিজের খেলায় আরও উন্নতির জায়গাই দেখেন, ‘ফুটবলে সব সময়ই উন্নতির জায়গা থাকে। আরও গোল করা, করানো…। দল আমাকে অনেক সাহায্য করছে। তবে আমি আরও উন্নতি করতে পারি, সেটি নিশ্চিত।’
শুধু নিজের চোখ ছাড়িয়ে সবার চোখে ‘বিশ্বসেরা’ হওয়ার ইচ্ছাই হয়তো তাঁর।

Tag :

আপলোডকারীর তথ্য

আন্তর্জাতিক মে দিবস পালন করেন নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রাসাদ নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়

ব্যালন জিততে রিয়াল মাদ্রিদে যেতে চান হ্যাজার্ড

আপডেট টাইম ০৫:৫২:৩৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১২ অক্টোবর ২০১৮

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ উত্তরটা এক শব্দের। ‘হ্যাঁ।’ কিন্তু প্রশ্নটাই এডেন হ্যাজার্ডকে নিয়ে মাতামাতির জন্য যথেষ্ট। চেলসির বেলজিয়ান ফরোয়ার্ডের দিকে ছুটে যাওয়া প্রশ্নটা যে ছিল, তিনি নিজে নিজেকে বিশ্বের সেরা খেলোয়াড় ভাবেন কি না!

লিওনেল মেসি দারুণ ছন্দে আছেন, ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো ধীরে ধীরে নিজের ফর্ম চেনাচ্ছেন জুভেন্টাসের জার্সিতে, নেইমার মাতিয়ে যাচ্ছেন প্যারিস। কিন্তু রাশিয়া বিশ্বকাপে আলো ছড়ানো হ্যাজার্ড এই মৌসুমে চেলসির জার্সিতেও যেমন ছন্দে আছেন, তাঁকেও একই ব্র্যাকেটে রাখতে হয়। এমনই অবস্থা, চেলসির কোচ মরিসিও সারিই মাসখানেকের মধ্যে মত বদলে ফেলেন। আগস্টে বলেছিলেন, হ্যাজার্ড ইউরোপের সেরাদের একজন, এক মাস পর সেটি বদলে হয়ে গিয়েছিল ইউরোপের সেরা।

এবার হ্যাজার্ডের ভাবনাটা জানা গেল। ইউরোপ তো ছোট্ট ব্যাপার, নিজেকে এই মুহূর্তে বিশ্বেরই সেরা ভাবছেন চেলসি প্লে-মেকার।
কয়েক দিন ধরেই নিজের মনোভাবটা বেশ খোলাখুলিই জানাচ্ছেন হ্যাজার্ড, এটা সম্ভবত এখন বলাই যায়। নিজেকে সেরা দাবি করাটাও সেটিরই অংশ হয়তো। বিশ্বকাপের পরই ‘সময় এসেছে নতুন কিছুর স্বাদ নেওয়ার’ বলে চেলসি থেকে রিয়াল মাদ্রিদে যাওয়ার ইচ্ছেটা জানিয়ে সেই যে শোরগোল ফেলেছিলেন, এরপর হ্যাজার্ড নিয়মিতই খবরে। তা তাঁর চোখধাঁধানো ফর্মের কারণেই হোক বা দলবদল নিয়ে তাঁর কথার কারণে।

সাউদাম্পটনের বিপক্ষে লিগের ম্যাচের পর গত রোববারও যে কারণে আলোচনায় এসেছেন হ্যাজার্ড। চেলসিতে তাঁর চুক্তির দুই বছরও বাকি নেই। আর রিয়াল মাদ্রিদ যে স্বপ্নের নাম, তা তো এখন সবারই জানা। রোববার হ্যাজার্ড জানিয়েছিলেন, চেলসিতে চুক্তি নবায়ন করবেন না রিয়ালে যাবেন, তা নিয়ে দোটানায় আছেন। যদিও ২৭ বছর বয়সী বেলজিয়ানের বক্তব্যে রিয়াল-প্রেম ধরা পড়েছিল আরেকবার। তা সেটি নিয়েই আবার প্রশ্ন হলো গতকাল। আজ উয়েফা নেশনস কাপে সুইজারল্যান্ডের সঙ্গে খেলবে বেলজিয়াম, তার আগে সংবাদ সম্মেলনে ম্যাচ ছাপিয়ে বড় হয়ে উঠেছে হ্যাজার্ড ও তাঁর ভবিষ্যৎ।

নিজেকে সেরা দাবিটাও সেখানেই করেছেন হ্যাজার্ড। এরপর সব প্রশ্ন রিয়াল আর চেলসিকে ঘিরেই। স্পেনে যাওয়ার এমনিতেই তাঁর প্রেরণার অভাব নেই, তার ওপর সংবাদ সম্মেলনে মনে করিয়ে দেওয়া হলো, গত দশ বছরে ব্যালন ডি’অর জয়ীরা স্পেনের ক্লাবেরই। তা পুরস্কারটা জিততে হ্যাজার্ডেরও সেখানে যাওয়া দরকার কি না, প্রশ্নে হ্যাজার্ডের উত্তর, ‘সে জন্যই আমি (সেখানে) যেতে চাই, যদি সম্ভব হয়।’ চেলসি সমর্থকেরাও হয়তো গত কয়েক দিনে তাঁর কথা শুনে হ্যাজার্ডের ভবিষ্যৎ লন্ডনে না থাকার শঙ্কাই করছেন। তবে জানুয়ারিতেই চেলসি ছাড়ার পরিকল্পনা আছে কি না, প্রশ্নে হ্যাজার্ড এক শব্দই উচ্চারণ করেন, ‘না।’

চেলসির জন্য অন্তত এই মৌসুমে এটি সুখবর। ১০ ম্যাচে এরই মধ্যে ৮ গোল হ্যাজার্ডের, গোল করাচ্ছেন, আক্রমণের সুতো বেঁধে দিচ্ছেন। হ্যাজার্ড অবশ্য নিজের খেলায় আরও উন্নতির জায়গাই দেখেন, ‘ফুটবলে সব সময়ই উন্নতির জায়গা থাকে। আরও গোল করা, করানো…। দল আমাকে অনেক সাহায্য করছে। তবে আমি আরও উন্নতি করতে পারি, সেটি নিশ্চিত।’
শুধু নিজের চোখ ছাড়িয়ে সবার চোখে ‘বিশ্বসেরা’ হওয়ার ইচ্ছাই হয়তো তাঁর।