ঢাকা ১০:৫১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
দুমকীতে খাল সংস্কার প্রকল্পে অনিয়মসহ শত শতগাছ উপড়ে ফেলার অভিযোগ। বাকেরগঞ্জ বাসীর উন্নয়নমুলক সকল প্রত্যাশা পুরনে কাজ করব। ৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷ রাজীব আহমেদ তালুকদার। দেশ জুরে শুরু হয়েছে ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। মুরাদনগর উপজেলা মোট-১৭ জন প্রার্থী মনোনয়ন পত্র দাখিল করেন। টাঙ্গাইলে এইচআইভি ও এইডস রোগের সচেতনতা সৃষ্টিতে কর্মশালা অনুষ্ঠিত লোহাগড়া উপজেলা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে প্রতিক বরাদ্দ বগুড়া শিবগঞ্জে নাতির রাম দা’র কোপে নানী খুন ফুটপাত উদ্ধার করতে হবে: মেয়র রেজাউল আন্তর্জাতিক মে দিবস পালন করেন নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রাসাদ নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয় রাঙ্গুনিয়ায় চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানে প্রতিদ্বন্দ্বীবিহীন প্রার্থী ভোট হবে ভাইস চেয়ারম্যানের (চার প্রার্থীর মধ্যে দুই প্রার্থীর মনোনয়ন প্রত্যাহার ভোট প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে দুই জনের মধ্যে।) “কেরানীগঞ্জে এক হাজার পথচারীদের মাঝে শরবত বিতরণ করলেন সাংবাদিকরা”

কনকনে শীতে কাঁপছে দেশ

মাতৃভূমির খবর ডেস্কঃ হঠাৎ করেই রাজধানীসহ সারাদেশে শীতের প্রভাব বেড়ে গেছে। ঠাণ্ডা বাতাসের সাথে ঘন কুয়াশা আর কনকনে শীতে কাঁপছে দেশের মানুষ। ঘন কুয়াশায় ঢেকে গেছে দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল। 

ঢাকায় রাতের তাপমাত্রা নেমে এসেছে ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। হঠাৎ চলে আসা এই ঠাণ্ডা ‍অনুভূতিতে মানিয়ে নিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে নগরবাসীকে।

আরো পড়ুন: সংসদ ভবনে বিদ্যুতের প্রি-পেইড মিটার বসানোর নির্দেশ

খবর আসছে, হঠাৎ করে ঠাণ্ডার এ আক্রমণে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন অনেকে। বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধরা আক্রান্ত হচ্ছেন নানা রোগে।

আবহাওয়াবিদরা বলছেন, রাত ও দিনের তাপমাত্রার পার্থক্য কমে যাওয়ার কারণে ঠাণ্ডার অনুভূতি বাড়ে। বর্তমানে রাজধানীতে রাত ও দিনের তাপমাত্রার পার্থক্য প্রায় অর্ধেক কমে এসেছে। তারপরও রয়েছে ‘উত্তরা বাতাস’। ফলে মড়ার ওপর খাড়ার ঘা’র অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে।

আবহাওয়াবিদ আরিফ হোসেন বলেন, আগামী ২১ ডিসেম্বর পর্যন্ত রাজধানীর তাপমাত্রা কমবে। ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে আসবে ব্যারোমিটারের পারদ। দিনের তাপমাত্রা এখন ২০ ডিগ্রি সেলিসিয়াসে আছে। এটা আরো নিচে নেমে এলে রাত ও দিনের তাপমাত্রার পার্থক্য আরও কমে যাবে। ফলে ঠাণ্ডার অনুভূতি আরও বাড়বে।

তিনি বলেন, উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে আসছে বাতাস, যেটাকে আমরা ‘উত্তরা বাতাস’ বলে থাকি। ঢাকায় বর্তমানে বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৮ থেকে ১২ কিলোমিটার। এই বাতাস কনকনে হিম বয়ে এনে হাড় কাঁপুনির সৃষ্টি করেছে। এই বাতাস না থাকলে দিনের তাপমাত্রা এতো কমতো না। আর এতো ঠাণ্ডাও অনুভূত হতো না। ৯-১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে এতো ঠাণ্ডা অনুভূত হয়না, যদি রাত ও দিনের তাপমাত্রার পার্থক্য বেশি থাকে।

আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, রাজধানীতে সূর্যের দেখা মিলছে না বললেই চলে। এমন অবস্থা দু’দিন থাকার পর সূর্যকিরণ আবার আগের মতো পাওয়া যাবে। স্থান ভেদে ২১ ও ২২ ডিসেম্বরের দিকে ঠাণ্ডা অনুভূতি কমে আসবে। এরপর আসতে পারে নিম্নচাপ। এক্ষেত্রে ডিসেম্বরের শেষ নাগাদ মাঝারী (৬ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা) ধরণের শৈত্যপ্রবাহের মধ্য দিয়ে যেতে হতে পারে দেশবাসীকে।

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

দুমকীতে খাল সংস্কার প্রকল্পে অনিয়মসহ শত শতগাছ উপড়ে ফেলার অভিযোগ।

কনকনে শীতে কাঁপছে দেশ

আপডেট টাইম ১১:৪৩:৫৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০১৯

মাতৃভূমির খবর ডেস্কঃ হঠাৎ করেই রাজধানীসহ সারাদেশে শীতের প্রভাব বেড়ে গেছে। ঠাণ্ডা বাতাসের সাথে ঘন কুয়াশা আর কনকনে শীতে কাঁপছে দেশের মানুষ। ঘন কুয়াশায় ঢেকে গেছে দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল। 

ঢাকায় রাতের তাপমাত্রা নেমে এসেছে ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। হঠাৎ চলে আসা এই ঠাণ্ডা ‍অনুভূতিতে মানিয়ে নিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে নগরবাসীকে।

আরো পড়ুন: সংসদ ভবনে বিদ্যুতের প্রি-পেইড মিটার বসানোর নির্দেশ

খবর আসছে, হঠাৎ করে ঠাণ্ডার এ আক্রমণে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন অনেকে। বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধরা আক্রান্ত হচ্ছেন নানা রোগে।

আবহাওয়াবিদরা বলছেন, রাত ও দিনের তাপমাত্রার পার্থক্য কমে যাওয়ার কারণে ঠাণ্ডার অনুভূতি বাড়ে। বর্তমানে রাজধানীতে রাত ও দিনের তাপমাত্রার পার্থক্য প্রায় অর্ধেক কমে এসেছে। তারপরও রয়েছে ‘উত্তরা বাতাস’। ফলে মড়ার ওপর খাড়ার ঘা’র অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে।

আবহাওয়াবিদ আরিফ হোসেন বলেন, আগামী ২১ ডিসেম্বর পর্যন্ত রাজধানীর তাপমাত্রা কমবে। ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে আসবে ব্যারোমিটারের পারদ। দিনের তাপমাত্রা এখন ২০ ডিগ্রি সেলিসিয়াসে আছে। এটা আরো নিচে নেমে এলে রাত ও দিনের তাপমাত্রার পার্থক্য আরও কমে যাবে। ফলে ঠাণ্ডার অনুভূতি আরও বাড়বে।

তিনি বলেন, উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে আসছে বাতাস, যেটাকে আমরা ‘উত্তরা বাতাস’ বলে থাকি। ঢাকায় বর্তমানে বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৮ থেকে ১২ কিলোমিটার। এই বাতাস কনকনে হিম বয়ে এনে হাড় কাঁপুনির সৃষ্টি করেছে। এই বাতাস না থাকলে দিনের তাপমাত্রা এতো কমতো না। আর এতো ঠাণ্ডাও অনুভূত হতো না। ৯-১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে এতো ঠাণ্ডা অনুভূত হয়না, যদি রাত ও দিনের তাপমাত্রার পার্থক্য বেশি থাকে।

আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, রাজধানীতে সূর্যের দেখা মিলছে না বললেই চলে। এমন অবস্থা দু’দিন থাকার পর সূর্যকিরণ আবার আগের মতো পাওয়া যাবে। স্থান ভেদে ২১ ও ২২ ডিসেম্বরের দিকে ঠাণ্ডা অনুভূতি কমে আসবে। এরপর আসতে পারে নিম্নচাপ। এক্ষেত্রে ডিসেম্বরের শেষ নাগাদ মাঝারী (৬ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা) ধরণের শৈত্যপ্রবাহের মধ্য দিয়ে যেতে হতে পারে দেশবাসীকে।