ঢাকা ১২:৫৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
আন্তর্জাতিক মে দিবস পালন করেন নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রাসাদ নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয় রাঙ্গুনিয়ায় চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানে প্রতিদ্বন্দ্বীবিহীন প্রার্থী ভোট হবে ভাইস চেয়ারম্যানের (চার প্রার্থীর মধ্যে দুই প্রার্থীর মনোনয়ন প্রত্যাহার ভোট প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে দুই জনের মধ্যে।) “কেরানীগঞ্জে এক হাজার পথচারীদের মাঝে শরবত বিতরণ করলেন সাংবাদিকরা” লক্ষ্মীপুরে শ্রেষ্ঠ অধ্যক্ষ পুরস্কার নিয়ে বির্তক দিঘলিয়ায় মে দিবস পালিত। মে দিবস উপলক্ষে জাতীয় প্রেসক্লাবে বিড়ি শ্রমিকদের র‌্যালি ও সমাবেশ নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ সাইনবোর্ড বাসস্ট্যান্ড তীব্রতাপ প্রভায়ে খাবার পানি ও স্যালাইন বিতরণ বগুড়া শাজাহানপুরে অসহায় পরিবারের পাশে দাঁড়ালেন ইউএনও “দেশ টিভির সাংবাদিককে লিগ্যাল নোটিশ” বাকেরগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় কলেজ শিক্ষার্থীর পায়ের পাতা বিচ্ছিন্ন।

ইন্টারনেট আসক্তিতে কিশোর-যুবার মানসিক সমস্যা

স্টাফ রিপোর্টার: ইন্টারনেট ও সামাজিক যোগাযোগের সাইট নিয়ে পড়ে থাকা কিশোর ও যুবকদের মধ্যে মানসিক সমস্যার প্রধান কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে বলে চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন। ভারতের এইচওডি সাইক্রিয়াট্রি অ্যান্ড চিফ ন্যাশনাল ড্রাগ ডিপেনডেন্স ট্রিটমেন্ট সেন্টারের (এনডিডিটিসি) বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কিশোর ও যুবকদের মোবাইল ফোন ও কম্পিউটারে আসক্তি বাড়ছে। তা থেকে তারা মানসিক সমস্যায় আক্রান্ত হচ্ছে।

এসব কিশোর-যুবা হয় গেম খেলে, না হয় সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইটে চ্যাট করে সময় কাটায়। তারা বাস্তব দুনিয়া থেকে দূরে সরে যায়।

বিশেষজ্ঞ রচনা ভার্গভ বলেন, ভার্চুয়াল দুনিয়ায় অতিরিক্ত সময় কাটানোর ফলে কিশোরেরা বাস্তব থেকে দূরে থাকতে বাধ্য হয়। তারা একটি কাল্পনিক জগৎ গড়ে তোলে এবং তাতে নিজেকে মানিয়ে নেয়। ১৪ থেকে ২৫ বছর বয়সী কিশোর ও যুবকদের ক্ষেত্রে মানসিক সমস্যার ঝুঁকি বেশি দেখা যায়।

আইএএনএসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, মানসিক সমস্যার প্রাথমিক উপসর্গ হচ্ছে অন্য শিশুদের সঙ্গে মেলামেশা ও কথাবার্তা বন্ধ করে দেওয়া ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করা।

এনডিডিটিসির গবেষক অঞ্জু ধাওয়ান বলেন, যদি শিশুর কাছ থেকে জোর করে ডিভাইস কেড়ে নেওয়া হয়, তবে সে মেজাজ দেখাতে শুরু করে বা রেগে যায়। অনেক সময় শিশু বাজে ব্যবহার শুরু করে।

বিশেষজ্ঞ প্রতাপ শরণ মনে করেন, কিশোরদের মধ্যে মোবাইল গেম বা সামাজিক যোগাযোগে আসক্তি তৈরির প্রাথমিক কারণ হিসেবে বাবা–মায়ের নজরদারির অভাবকেই দায়ী করা হয়। বেশির ভাগ সময় বাবা-মা নিজেদের দৈনন্দিন কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকেন এবং সন্তানকে অবহেলা করেন। অনেক সময় মা-বাবা সন্তানের মানসিক সমস্যার কথাটা ধরতে পারেন না। বিষয়টি নিয়ে অনেকেই চিকিৎসকের কাছে যান না।

রচনা ভার্গভ বলেন, অনেকেই মানতেই চান না যে এটা মানসিক সমস্যা।

অনেকেই তাই চিকিৎসকের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলতে বিব্রত বোধ করেন। এখানেই মনবিদ ও মানসিক সমস্যায় ভোগা রোগীদের সঙ্গে একটা দূরত্ব থেকে যায়।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শুরু থেকেই যদি মা-বাবা শিশুদের প্রতি নজর রাখতে পারেন, তবে এই মানসিক সমস্যা তৈরি হওয়ার ঝুঁকি কম।

অবশ্য ইন্টারনেট বা ডিভাইস ব্যবহার কতটুকু করলে তা আসক্তির পর্যায়ে পড়ে, তার কোনো সময়সীমা বেঁধে দেননি বিশেষজ্ঞরা। অনেক সময় তিন থেকে চার ঘণ্টা বা ছয় ঘণ্টার বেশি সময় ধরে মোবাইল ব্যবহার করলে আসক্তির পর্যায়ে চলে আসে। এর পরিবর্তে শিশুদের বাইরে খেলাধুলা বা অন্যান্য কাজে যুক্ত করতে পারেন মা-বাবা। এতে তারা বাস্তব দুনিয়ার মুখোমুখি হবে।

Tag :

আপলোডকারীর তথ্য

আন্তর্জাতিক মে দিবস পালন করেন নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রাসাদ নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়

ইন্টারনেট আসক্তিতে কিশোর-যুবার মানসিক সমস্যা

আপডেট টাইম ১০:৩৯:৩২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১০ অক্টোবর ২০১৮

স্টাফ রিপোর্টার: ইন্টারনেট ও সামাজিক যোগাযোগের সাইট নিয়ে পড়ে থাকা কিশোর ও যুবকদের মধ্যে মানসিক সমস্যার প্রধান কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে বলে চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন। ভারতের এইচওডি সাইক্রিয়াট্রি অ্যান্ড চিফ ন্যাশনাল ড্রাগ ডিপেনডেন্স ট্রিটমেন্ট সেন্টারের (এনডিডিটিসি) বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কিশোর ও যুবকদের মোবাইল ফোন ও কম্পিউটারে আসক্তি বাড়ছে। তা থেকে তারা মানসিক সমস্যায় আক্রান্ত হচ্ছে।

এসব কিশোর-যুবা হয় গেম খেলে, না হয় সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইটে চ্যাট করে সময় কাটায়। তারা বাস্তব দুনিয়া থেকে দূরে সরে যায়।

বিশেষজ্ঞ রচনা ভার্গভ বলেন, ভার্চুয়াল দুনিয়ায় অতিরিক্ত সময় কাটানোর ফলে কিশোরেরা বাস্তব থেকে দূরে থাকতে বাধ্য হয়। তারা একটি কাল্পনিক জগৎ গড়ে তোলে এবং তাতে নিজেকে মানিয়ে নেয়। ১৪ থেকে ২৫ বছর বয়সী কিশোর ও যুবকদের ক্ষেত্রে মানসিক সমস্যার ঝুঁকি বেশি দেখা যায়।

আইএএনএসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, মানসিক সমস্যার প্রাথমিক উপসর্গ হচ্ছে অন্য শিশুদের সঙ্গে মেলামেশা ও কথাবার্তা বন্ধ করে দেওয়া ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করা।

এনডিডিটিসির গবেষক অঞ্জু ধাওয়ান বলেন, যদি শিশুর কাছ থেকে জোর করে ডিভাইস কেড়ে নেওয়া হয়, তবে সে মেজাজ দেখাতে শুরু করে বা রেগে যায়। অনেক সময় শিশু বাজে ব্যবহার শুরু করে।

বিশেষজ্ঞ প্রতাপ শরণ মনে করেন, কিশোরদের মধ্যে মোবাইল গেম বা সামাজিক যোগাযোগে আসক্তি তৈরির প্রাথমিক কারণ হিসেবে বাবা–মায়ের নজরদারির অভাবকেই দায়ী করা হয়। বেশির ভাগ সময় বাবা-মা নিজেদের দৈনন্দিন কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকেন এবং সন্তানকে অবহেলা করেন। অনেক সময় মা-বাবা সন্তানের মানসিক সমস্যার কথাটা ধরতে পারেন না। বিষয়টি নিয়ে অনেকেই চিকিৎসকের কাছে যান না।

রচনা ভার্গভ বলেন, অনেকেই মানতেই চান না যে এটা মানসিক সমস্যা।

অনেকেই তাই চিকিৎসকের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলতে বিব্রত বোধ করেন। এখানেই মনবিদ ও মানসিক সমস্যায় ভোগা রোগীদের সঙ্গে একটা দূরত্ব থেকে যায়।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শুরু থেকেই যদি মা-বাবা শিশুদের প্রতি নজর রাখতে পারেন, তবে এই মানসিক সমস্যা তৈরি হওয়ার ঝুঁকি কম।

অবশ্য ইন্টারনেট বা ডিভাইস ব্যবহার কতটুকু করলে তা আসক্তির পর্যায়ে পড়ে, তার কোনো সময়সীমা বেঁধে দেননি বিশেষজ্ঞরা। অনেক সময় তিন থেকে চার ঘণ্টা বা ছয় ঘণ্টার বেশি সময় ধরে মোবাইল ব্যবহার করলে আসক্তির পর্যায়ে চলে আসে। এর পরিবর্তে শিশুদের বাইরে খেলাধুলা বা অন্যান্য কাজে যুক্ত করতে পারেন মা-বাবা। এতে তারা বাস্তব দুনিয়ার মুখোমুখি হবে।