ঢাকা ০৭:১২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
আন্তর্জাতিক মে দিবস পালন করেন নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রাসাদ নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয় রাঙ্গুনিয়ায় চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানে প্রতিদ্বন্দ্বীবিহীন প্রার্থী ভোট হবে ভাইস চেয়ারম্যানের (চার প্রার্থীর মধ্যে দুই প্রার্থীর মনোনয়ন প্রত্যাহার ভোট প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে দুই জনের মধ্যে।) “কেরানীগঞ্জে এক হাজার পথচারীদের মাঝে শরবত বিতরণ করলেন সাংবাদিকরা” লক্ষ্মীপুরে শ্রেষ্ঠ অধ্যক্ষ পুরস্কার নিয়ে বির্তক দিঘলিয়ায় মে দিবস পালিত। মে দিবস উপলক্ষে জাতীয় প্রেসক্লাবে বিড়ি শ্রমিকদের র‌্যালি ও সমাবেশ নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ সাইনবোর্ড বাসস্ট্যান্ড তীব্রতাপ প্রভায়ে খাবার পানি ও স্যালাইন বিতরণ বগুড়া শাজাহানপুরে অসহায় পরিবারের পাশে দাঁড়ালেন ইউএনও “দেশ টিভির সাংবাদিককে লিগ্যাল নোটিশ” বাকেরগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় কলেজ শিক্ষার্থীর পায়ের পাতা বিচ্ছিন্ন।

অস্ট্রেলিয়ার প্রধান শহরে অভিবাসীদের বাস নিষিদ্ধ হচ্ছে

স্টাফ রিপোর্টার: অস্ট্রেলিয়ার সিডনি ও মেলবোর্নের মতো প্রধান ও জনবহুল শহরগুলোয় নতুন অভিবাসীদের বসবাস নিষিদ্ধ হতে পারে। প্রধান শহরগুলোয় জনসংখ্যার চাপ কমাতে এ পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে দেশটির ফেডারেল সরকার। একই সঙ্গে নতুন অভিবাসীদের অস্ট্রেলিয়ার আঞ্চলিক এলাকায় বসবাসে বাধ্য করবে বর্তমান লিবারেল সরকারে নতুন জনসংখ্যা পরিকল্পনা।

দেশটির বর্তমান প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন নির্বাচিত হওয়ার পরপরই এমন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। আর তাঁর সে সিদ্ধান্ত নিয়ে জোরালোভাবে কাজ করে যাচ্ছেন দেশটির জনসংখ্যামন্ত্রী অ্যালান টডজ। দেশটির জনবহুল শহরগুলোয় জনসংখ্যার চাপ কমানোর উপায় নিয়ে মাস খানেক ধরে তদন্ত করছেন তিনি।

গত অর্থবছরে স্কিলড মাইগ্রেশন ভিসায় অস্ট্রেলিয়ায় প্রবেশ করা প্রায় ৮৭ শতাংশই সিডনি ও মেলবোর্নে স্থায়ী বসবাস শুরু করে। এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, ২০০৬ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ায় আসা অভিবাসীদের প্রায় ২৭ দশমিক ৬ শতাংশ সিডনিতে এবং ২৬ দশমিক ৩ শতাংশ মেলবোর্নে বসবাস শুরু করে। একই সময়ে নিউ সাউথ ওয়েলস রাজ্যের আঞ্চলিক এলাকায় ৩ দশমিক ২ শতাংশ এবং ভিক্টোরিয়া রাজ্যের আঞ্চলিক এলাকায় ১ দশমিক ৯ শতাংশ বসবাস শুরু করে।

অ্যালানের তদন্তের প্রতিবেদন আরও বলছে, গত প্রায় এক দশকে অস্ট্রেলিয়ার মোট জনসংখ্যার বৃদ্ধির হারের ৬০ শতাংশই অভিবাসী। আর এর মধ্যে প্রায় ৯০ শতাংশ দক্ষ কর্মীরাই সিডনি ও মেলবোর্নে বসবাস করছেন। আর তাই দেশটির এই প্রধান দুই শহরের জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে এই পরিকল্পনা করছে সরকার। অস্ট্রেলিয়াজুড়ে জনসংখ্যার ভারসাম্য বজায় রাখতে নতুন অভিবাসীদের আঞ্চলিক এলাকায় বাস করতে বাধ্য করা হবে—এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে লিবারেল সরকার।

নতুন নীতিমালায় আঞ্চলিক এলাকায় অন্তত পাঁচ বছর বসবাস করার আবশ্যিক শর্তজুড়ে দেবে দেশটির অভিবাসন বিভাগ। নতুন নীতিমালা অনুসরণ না করলে অভিবাসীদের ভিসা রদ করে দেওয়া হবে বলে জানান অ্যালান টডজ। একই কারণে স্থায়ী বসবাসকারীরা নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারবে না।

অ্যালান বলেন, প্রধান শহরে কর্ম ও পারিবারিক যোগসূত্র রয়েছে—এমন অভিবাসীদের ওপর আঞ্চলিক শহরে বাস করার আবশ্যিক শর্ত প্রযোজ্য হবে না। অর্থাৎ, নতুন অভিবাসীদের মধ্যে প্রায় ৫৫ শতাংশ নতুন আবশ্যিক শর্ত থেকে ছাড় পাবেন। অন্যদের সর্বনিম্ন পাঁচ বছরের জন্য আঞ্চলিক শহরে বাস করতে হবে। এতে দেশের প্রধান শহরে জনসংখ্যার চাপ কমার পাশাপাশি আঞ্চলিক শহরেও দক্ষ কর্মীর চাহিদা পূরণ হবে বলে আশাবাদী অস্ট্রেলিয়ার অভিবাসন বিভাগ।

Tag :

আপলোডকারীর তথ্য

আন্তর্জাতিক মে দিবস পালন করেন নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রাসাদ নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়

অস্ট্রেলিয়ার প্রধান শহরে অভিবাসীদের বাস নিষিদ্ধ হচ্ছে

আপডেট টাইম ১০:৩৪:৫২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১০ অক্টোবর ২০১৮

স্টাফ রিপোর্টার: অস্ট্রেলিয়ার সিডনি ও মেলবোর্নের মতো প্রধান ও জনবহুল শহরগুলোয় নতুন অভিবাসীদের বসবাস নিষিদ্ধ হতে পারে। প্রধান শহরগুলোয় জনসংখ্যার চাপ কমাতে এ পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে দেশটির ফেডারেল সরকার। একই সঙ্গে নতুন অভিবাসীদের অস্ট্রেলিয়ার আঞ্চলিক এলাকায় বসবাসে বাধ্য করবে বর্তমান লিবারেল সরকারে নতুন জনসংখ্যা পরিকল্পনা।

দেশটির বর্তমান প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন নির্বাচিত হওয়ার পরপরই এমন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। আর তাঁর সে সিদ্ধান্ত নিয়ে জোরালোভাবে কাজ করে যাচ্ছেন দেশটির জনসংখ্যামন্ত্রী অ্যালান টডজ। দেশটির জনবহুল শহরগুলোয় জনসংখ্যার চাপ কমানোর উপায় নিয়ে মাস খানেক ধরে তদন্ত করছেন তিনি।

গত অর্থবছরে স্কিলড মাইগ্রেশন ভিসায় অস্ট্রেলিয়ায় প্রবেশ করা প্রায় ৮৭ শতাংশই সিডনি ও মেলবোর্নে স্থায়ী বসবাস শুরু করে। এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, ২০০৬ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ায় আসা অভিবাসীদের প্রায় ২৭ দশমিক ৬ শতাংশ সিডনিতে এবং ২৬ দশমিক ৩ শতাংশ মেলবোর্নে বসবাস শুরু করে। একই সময়ে নিউ সাউথ ওয়েলস রাজ্যের আঞ্চলিক এলাকায় ৩ দশমিক ২ শতাংশ এবং ভিক্টোরিয়া রাজ্যের আঞ্চলিক এলাকায় ১ দশমিক ৯ শতাংশ বসবাস শুরু করে।

অ্যালানের তদন্তের প্রতিবেদন আরও বলছে, গত প্রায় এক দশকে অস্ট্রেলিয়ার মোট জনসংখ্যার বৃদ্ধির হারের ৬০ শতাংশই অভিবাসী। আর এর মধ্যে প্রায় ৯০ শতাংশ দক্ষ কর্মীরাই সিডনি ও মেলবোর্নে বসবাস করছেন। আর তাই দেশটির এই প্রধান দুই শহরের জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে এই পরিকল্পনা করছে সরকার। অস্ট্রেলিয়াজুড়ে জনসংখ্যার ভারসাম্য বজায় রাখতে নতুন অভিবাসীদের আঞ্চলিক এলাকায় বাস করতে বাধ্য করা হবে—এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে লিবারেল সরকার।

নতুন নীতিমালায় আঞ্চলিক এলাকায় অন্তত পাঁচ বছর বসবাস করার আবশ্যিক শর্তজুড়ে দেবে দেশটির অভিবাসন বিভাগ। নতুন নীতিমালা অনুসরণ না করলে অভিবাসীদের ভিসা রদ করে দেওয়া হবে বলে জানান অ্যালান টডজ। একই কারণে স্থায়ী বসবাসকারীরা নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারবে না।

অ্যালান বলেন, প্রধান শহরে কর্ম ও পারিবারিক যোগসূত্র রয়েছে—এমন অভিবাসীদের ওপর আঞ্চলিক শহরে বাস করার আবশ্যিক শর্ত প্রযোজ্য হবে না। অর্থাৎ, নতুন অভিবাসীদের মধ্যে প্রায় ৫৫ শতাংশ নতুন আবশ্যিক শর্ত থেকে ছাড় পাবেন। অন্যদের সর্বনিম্ন পাঁচ বছরের জন্য আঞ্চলিক শহরে বাস করতে হবে। এতে দেশের প্রধান শহরে জনসংখ্যার চাপ কমার পাশাপাশি আঞ্চলিক শহরেও দক্ষ কর্মীর চাহিদা পূরণ হবে বলে আশাবাদী অস্ট্রেলিয়ার অভিবাসন বিভাগ।