ঢাকা ১১:৩০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বরিশালে বাস শ্রমিককে মারধরের ঘটনায় কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল অবরোধ করে শ্রমিকেরা। গজারিয়ায় কাভার্ড ভ্যানের ধাক্কায় খাদে প্রাইভেটকার, নিহত ৩ সিলেটে আগাম বন্যার আশঙ্কায়!! হাওরজুড়ে কৃষকের ব্যস্ততা শিশুদের মনোবিকাশে প্রয়োজন সংস্কৃতি চর্চা: মেয়র রেজাউল উপজেলা পরিষদ নির্বাচন হাতীবান্ধায় নির্বাচনী সংঘর্ষে চেয়ারম্যান প্রার্থী সহ আহত ১০ ভূয়া নিয়োগপত্র দিয়ে টাকা হাতিয়ে নেয়ার, প্রতারক চক্রের এক সদস্য গ্রেপ্তার প্রথম দিনেই রোগী দেখে সবার মন জয় করেলেন ডাক্তার মোঃ হুমায়ুন রশিদ শাকিল বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষে বগুড়া জেলা আরজেএফ’র সুপেয় পানি স্যালাইন ও বিস্কুট বিতরণ দুমকীতে খাল সংস্কার প্রকল্পে অনিয়মসহ শত শতগাছ উপড়ে ফেলার অভিযোগ। বাকেরগঞ্জ বাসীর উন্নয়নমুলক সকল প্রত্যাশা পুরনে কাজ করব। ৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷ রাজীব আহমেদ তালুকদার।

গ্রাম পুলিশের চাকরি সরকারিকরণের নির্দেশ

মাতৃভূমির খবর ডেস্কঃ  গ্রাম পুলিশের চাকরি সরকারিকরণের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে চতুর্থ শ্রেণির স্কেলের সমমর্যাদায় তাদের বেতন দেয়ারও নির্দেশ দেয়া হয়েছে। গতকাল রোববার এ বিষয়ে জারি করা রুল নিষ্পত্তি করে বিচারপতি আশরাফুল কামাল ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। এ রায়ের ফলে দেশের ৪৭ হাজার গ্রাম পুলিশ বাড়তি সুযোগ-সুবিধা পাবেন।

আরো পড়ুন: মোশতাক, জিয়ার মতো মীরজাফররা আর যেন ক্ষমতায় না আসে: প্রধানমন্ত্রী

এর আগে গত বছর গ্রাম পুলিশের চাকরি রাজস্ব খাতে অন্তর্ভুক্ত করতে বিবাদীদের নিস্ক্রিয়তা কেন আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না এবং চতুর্থ শ্রেণির স্কেলের সমমর্যাদায় বেতন কেন দেওয়া হবে না-তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছিল হাইকোর্ট।

৭০ জন গ্রাম পুলিশের করা এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি জে বি এম হাসানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।

সে সময় আদালতে রিটকারীদের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. নওশের আলী মোল্লা। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন মোতাহার হোসেন সাজু।

পরে নওশের আলী সাংবাদিকদের বলেন, গত বছরের ৩ ডিসেম্বর বিভিন্ন জেলার ৫৫ জন গ্রাম পুলিশের রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে হাইকোর্ট রুল জারি করেছিল। একইভাবে রাজশাহী, দিনাজপুর,পঞ্চগড়, জয়পুরহাট, গাইবান্ধাসহ দেশের বিভিন্ন জেলার আরও ৭০ জন গ্রাম পুলিশ ও দফাদার এ রিট আবেদনটি করেন।

আদালত এ বিষয়ে রুল জারি করেছেন। এখন দুটি রিটের রুলই এক সঙ্গে শুনানি হবে।

দফাদার ও মহলদার মিলে সারা দেশে গ্রাম পুলিশের সংখ্যা প্রায় ৪৬ হাজার। এদের মধ্যে দফাদারদের মাসিক বেতন ৩ হাজার ৪০০ টাকা। আর মহলদারদের বেতন ৩ হাজার টাকা।

গ্রাম পুলিশের চাকরি সরকারের রাজস্ব খাতে অন্তর্ভুক্ত না হওয়ায় এই বেতনের অর্ধেক দেয় ইউনিয়ন পরিষদ, বাকিটা যায় সরকারের কোষাগার থেকে।

ব্রিটিশ আমল থেকে এ বাহিনী বিভিন্ন আইনের অধীনে কাজ করে আসছে। সর্বশেষ স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন ২০০৯ সালের অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এ আইনের অধীনে ২০১৫ সালে স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) গ্রাম পুলিশ বাহিনীর গঠন, প্রশিক্ষণ, শৃংখলা ও চাকরির শর্তাবলী সম্পর্কিত বিধিমালা তৈরি করা হয়।

আইনজীবীদের দাবি ব্রিটিশ আমল থেকে এ বাহিনী বিভিন্ন আইনের অধীনে কাজ করে আসছে। সর্বশেষ স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন ২০০৯ সালের অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এ আইনের অধীনে ২০১৫ সালে স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) গ্রাম পুলিশ বাহিনীর গঠন,প্রশিক্ষণ,শৃংখলা ও চাকরির শর্তাবলী সম্পর্কিত বিধিমালা তৈরি করা হয়।

কিন্তু এ বিধিতে তাদের কোনো শ্রেণি নির্ধারণ করা হয়নি। এদিকে এক দাবির প্রেক্ষিতে ২০০৮ সালের স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় গ্রাম পুলিশদের চতুর্থ শ্রেণির স্কেল নির্ধারণে অর্থ বিভাগকে চিঠি দেন। কিন্তু আজও এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।

আইনজীবীরা আরও বলেন, একজন ভিক্ষুকও দৈনিক পাঁচশো টাকা আয় করে। কিন্তু একজন গ্রাম পুলিশ ২৪ ঘণ্টা কাজ করে দৈনিক মাত্র তিনশো টাকা বেতন পান। আবার তাদের নিয়োগ দেয় সরকার। কিন্তু বিধিমালায় তাদের কোনো শ্রেণি নির্ধারণ করা হয়নি।

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

বরিশালে বাস শ্রমিককে মারধরের ঘটনায় কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল অবরোধ করে শ্রমিকেরা।

গ্রাম পুলিশের চাকরি সরকারিকরণের নির্দেশ

আপডেট টাইম ০১:২২:৪৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০১৯

মাতৃভূমির খবর ডেস্কঃ  গ্রাম পুলিশের চাকরি সরকারিকরণের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে চতুর্থ শ্রেণির স্কেলের সমমর্যাদায় তাদের বেতন দেয়ারও নির্দেশ দেয়া হয়েছে। গতকাল রোববার এ বিষয়ে জারি করা রুল নিষ্পত্তি করে বিচারপতি আশরাফুল কামাল ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। এ রায়ের ফলে দেশের ৪৭ হাজার গ্রাম পুলিশ বাড়তি সুযোগ-সুবিধা পাবেন।

আরো পড়ুন: মোশতাক, জিয়ার মতো মীরজাফররা আর যেন ক্ষমতায় না আসে: প্রধানমন্ত্রী

এর আগে গত বছর গ্রাম পুলিশের চাকরি রাজস্ব খাতে অন্তর্ভুক্ত করতে বিবাদীদের নিস্ক্রিয়তা কেন আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না এবং চতুর্থ শ্রেণির স্কেলের সমমর্যাদায় বেতন কেন দেওয়া হবে না-তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছিল হাইকোর্ট।

৭০ জন গ্রাম পুলিশের করা এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি জে বি এম হাসানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।

সে সময় আদালতে রিটকারীদের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. নওশের আলী মোল্লা। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন মোতাহার হোসেন সাজু।

পরে নওশের আলী সাংবাদিকদের বলেন, গত বছরের ৩ ডিসেম্বর বিভিন্ন জেলার ৫৫ জন গ্রাম পুলিশের রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে হাইকোর্ট রুল জারি করেছিল। একইভাবে রাজশাহী, দিনাজপুর,পঞ্চগড়, জয়পুরহাট, গাইবান্ধাসহ দেশের বিভিন্ন জেলার আরও ৭০ জন গ্রাম পুলিশ ও দফাদার এ রিট আবেদনটি করেন।

আদালত এ বিষয়ে রুল জারি করেছেন। এখন দুটি রিটের রুলই এক সঙ্গে শুনানি হবে।

দফাদার ও মহলদার মিলে সারা দেশে গ্রাম পুলিশের সংখ্যা প্রায় ৪৬ হাজার। এদের মধ্যে দফাদারদের মাসিক বেতন ৩ হাজার ৪০০ টাকা। আর মহলদারদের বেতন ৩ হাজার টাকা।

গ্রাম পুলিশের চাকরি সরকারের রাজস্ব খাতে অন্তর্ভুক্ত না হওয়ায় এই বেতনের অর্ধেক দেয় ইউনিয়ন পরিষদ, বাকিটা যায় সরকারের কোষাগার থেকে।

ব্রিটিশ আমল থেকে এ বাহিনী বিভিন্ন আইনের অধীনে কাজ করে আসছে। সর্বশেষ স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন ২০০৯ সালের অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এ আইনের অধীনে ২০১৫ সালে স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) গ্রাম পুলিশ বাহিনীর গঠন, প্রশিক্ষণ, শৃংখলা ও চাকরির শর্তাবলী সম্পর্কিত বিধিমালা তৈরি করা হয়।

আইনজীবীদের দাবি ব্রিটিশ আমল থেকে এ বাহিনী বিভিন্ন আইনের অধীনে কাজ করে আসছে। সর্বশেষ স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন ২০০৯ সালের অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এ আইনের অধীনে ২০১৫ সালে স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) গ্রাম পুলিশ বাহিনীর গঠন,প্রশিক্ষণ,শৃংখলা ও চাকরির শর্তাবলী সম্পর্কিত বিধিমালা তৈরি করা হয়।

কিন্তু এ বিধিতে তাদের কোনো শ্রেণি নির্ধারণ করা হয়নি। এদিকে এক দাবির প্রেক্ষিতে ২০০৮ সালের স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় গ্রাম পুলিশদের চতুর্থ শ্রেণির স্কেল নির্ধারণে অর্থ বিভাগকে চিঠি দেন। কিন্তু আজও এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।

আইনজীবীরা আরও বলেন, একজন ভিক্ষুকও দৈনিক পাঁচশো টাকা আয় করে। কিন্তু একজন গ্রাম পুলিশ ২৪ ঘণ্টা কাজ করে দৈনিক মাত্র তিনশো টাকা বেতন পান। আবার তাদের নিয়োগ দেয় সরকার। কিন্তু বিধিমালায় তাদের কোনো শ্রেণি নির্ধারণ করা হয়নি।