ঢাকা ০৬:০১ অপরাহ্ন, বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
দিঘলিয়ায় মে দিবস পালিত। মে দিবস উপলক্ষে জাতীয় প্রেসক্লাবে বিড়ি শ্রমিকদের র‌্যালি ও সমাবেশ নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ সাইনবোর্ড বাসস্ট্যান্ড তীব্রতাপ প্রভায়ে খাবার পানি ও স্যালাইন বিতরণ বগুড়া শাজাহানপুরে অসহায় পরিবারের পাশে দাঁড়ালেন ইউএনও “দেশ টিভির সাংবাদিককে লিগ্যাল নোটিশ” বাকেরগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় কলেজ শিক্ষার্থীর পায়ের পাতা বিচ্ছিন্ন। বাকেরগঞ্জের সাহেবপুরে বৃষ্টির জন্য ইস্তিসখার নামাজ আদায়। উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীর প্রচারে সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার কুমিল্লা,মুরাদনগরে-৪ মাসের অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূকে জবাই করে হত্যা। ভবেরচর ইউনিয়নের ৩নংওর্য়াডে আনারস মার্কার উঠান বৈঠক ও মিছিল অনুষ্ঠিত :

ভারতের রাজ্যসভায় নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাশ

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ   ভারতের রাজ্যসভায় পাস হয়ে গেল নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল। বিলের পক্ষে ভোট পড়েছে ১১৭টি এবং বিপক্ষে পড়েছে ৯২টি। এর আগে ভারতের লোকসভায় বিলটি পাস হয়।গতকাল বুধবার বিলটি রাজ্যসভায় পেশ করা হয়, সেখানে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে প্রয়োজন ছিল ১০৫টি ভোট। রাজ্যসভায় বিলটি পেশ করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।

আরো পড়ুনঃ  চেক রিপাবলিকে বন্দুক হামলায় নিহত ৬

ভারতের এনডিটিভি জানায়, বিলটির বিরোধিতা করে বিরোধী দল ও দক্ষিণপন্থী দলগুলির অভিযোগ, এই বিল মুসলমানদের প্রতি পক্ষপাতমূলক এবং সংবিধানের ১৪ নম্বর ধারা বিরোধী, সেখানে সবার সাম্যতার কথা বলা হয়েছে। সোমবার বিলটি লোকসভায় পাস হয়,  বিলের পক্ষে পড়ে ৩৩৪টি ভোট এবং বিপক্ষে ১০৬টি।

রাজ্যসভায় বিলটি পেশ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, দেশের মুসলিমদের ভয় পাওয়ার কোনও প্রয়োজন নেই, কারণ, “তাঁরা দেশের নাগরিক ছিলেন এবং থাকবেন”। “ভুল তথ্য ছড়ানোর পদক্ষেপ” বলে অভিযোগ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দাবি, এই বিলটি শুধুমাত্র প্রতিবেশী দেশের সংখ্যালঘুদের জন্য, ভারতের মুসলিমদের নিয়ে “কোনও পদক্ষেপ নেই”।

বিলটি নিয়ে আবেগপূর্ণ আবেদন জানিয়ে কংগ্রেস নেতা আনন্দ শর্মা বলেন, এটি ‘ভারতের সংবিধামের আত্মাকে আঘাত করবে’। তাঁর কথায়, ‘আমার মনে হয়, এই বিলটি ভারতের সংবিধানের ভিত্তিতে আঘাত। এটি ভারতের সংবিধানের আত্মাকে আঘাত করবে। এটি সংবিধানের প্রস্তাবনার বিরুদ্ধে’।

রাজ্যসভাকে সতর্কবার্তা দিয়ে তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েন বলেন, ‘গণতন্ত্র থেকে একনায়কতন্ত্রের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে’ ভারত। তার ভাষণে, নাজি জার্মানির ছবি তুলে ধরেন, সেটিকে নাগরিকত্ব বিল এবং জাতীয় নাগরিকপঞ্জীর সঙ্গে তুলনা করে বলেন, কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্পের সঙ্গে উত্তর-পূর্বের ডিটেনশন ক্যাম্পের “অদ্ভুত মিল” রয়েছে।

নাগরিকত্ব বিল নিয়ে বক্তব্য রাখেন বিজেপি নেতা জেপি নাড্ডা, বিরোধীদের তোলা পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ খারিজ করে দেন তিনি। তার কথায়, “এটা পুরোপুরিই ভুল”। তিনি বলেন, “পুরোপুরিভাবেই পাকিস্তান, আফগানিস্তান এবং বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের জন্য”।

দীর্ঘ আইনি লড়াই শেষে, জামিনে মুক্তির পর, কংগ্রেস সাংসদ পি চিদাম্বরম কেন্দ্রের দিকে একাধিক প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন, তার মধ্যে রয়েছে বিলে কেন ভারতের তিনটি প্রতিবেশী দেশের উল্লেখ রয়েছে এবং কেন শ্রীলঙ্কার হিন্দুদের মতো অন্যান্য ধর্ম এবং সংখ্যালঘুদের বাদ দেওয়া হয়েছে।

Tag :

দিঘলিয়ায় মে দিবস পালিত।

ভারতের রাজ্যসভায় নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাশ

আপডেট টাইম ০৯:৩৬:৩২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০১৯

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ   ভারতের রাজ্যসভায় পাস হয়ে গেল নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল। বিলের পক্ষে ভোট পড়েছে ১১৭টি এবং বিপক্ষে পড়েছে ৯২টি। এর আগে ভারতের লোকসভায় বিলটি পাস হয়।গতকাল বুধবার বিলটি রাজ্যসভায় পেশ করা হয়, সেখানে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে প্রয়োজন ছিল ১০৫টি ভোট। রাজ্যসভায় বিলটি পেশ করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।

আরো পড়ুনঃ  চেক রিপাবলিকে বন্দুক হামলায় নিহত ৬

ভারতের এনডিটিভি জানায়, বিলটির বিরোধিতা করে বিরোধী দল ও দক্ষিণপন্থী দলগুলির অভিযোগ, এই বিল মুসলমানদের প্রতি পক্ষপাতমূলক এবং সংবিধানের ১৪ নম্বর ধারা বিরোধী, সেখানে সবার সাম্যতার কথা বলা হয়েছে। সোমবার বিলটি লোকসভায় পাস হয়,  বিলের পক্ষে পড়ে ৩৩৪টি ভোট এবং বিপক্ষে ১০৬টি।

রাজ্যসভায় বিলটি পেশ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, দেশের মুসলিমদের ভয় পাওয়ার কোনও প্রয়োজন নেই, কারণ, “তাঁরা দেশের নাগরিক ছিলেন এবং থাকবেন”। “ভুল তথ্য ছড়ানোর পদক্ষেপ” বলে অভিযোগ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দাবি, এই বিলটি শুধুমাত্র প্রতিবেশী দেশের সংখ্যালঘুদের জন্য, ভারতের মুসলিমদের নিয়ে “কোনও পদক্ষেপ নেই”।

বিলটি নিয়ে আবেগপূর্ণ আবেদন জানিয়ে কংগ্রেস নেতা আনন্দ শর্মা বলেন, এটি ‘ভারতের সংবিধামের আত্মাকে আঘাত করবে’। তাঁর কথায়, ‘আমার মনে হয়, এই বিলটি ভারতের সংবিধানের ভিত্তিতে আঘাত। এটি ভারতের সংবিধানের আত্মাকে আঘাত করবে। এটি সংবিধানের প্রস্তাবনার বিরুদ্ধে’।

রাজ্যসভাকে সতর্কবার্তা দিয়ে তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েন বলেন, ‘গণতন্ত্র থেকে একনায়কতন্ত্রের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে’ ভারত। তার ভাষণে, নাজি জার্মানির ছবি তুলে ধরেন, সেটিকে নাগরিকত্ব বিল এবং জাতীয় নাগরিকপঞ্জীর সঙ্গে তুলনা করে বলেন, কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্পের সঙ্গে উত্তর-পূর্বের ডিটেনশন ক্যাম্পের “অদ্ভুত মিল” রয়েছে।

নাগরিকত্ব বিল নিয়ে বক্তব্য রাখেন বিজেপি নেতা জেপি নাড্ডা, বিরোধীদের তোলা পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ খারিজ করে দেন তিনি। তার কথায়, “এটা পুরোপুরিই ভুল”। তিনি বলেন, “পুরোপুরিভাবেই পাকিস্তান, আফগানিস্তান এবং বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের জন্য”।

দীর্ঘ আইনি লড়াই শেষে, জামিনে মুক্তির পর, কংগ্রেস সাংসদ পি চিদাম্বরম কেন্দ্রের দিকে একাধিক প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন, তার মধ্যে রয়েছে বিলে কেন ভারতের তিনটি প্রতিবেশী দেশের উল্লেখ রয়েছে এবং কেন শ্রীলঙ্কার হিন্দুদের মতো অন্যান্য ধর্ম এবং সংখ্যালঘুদের বাদ দেওয়া হয়েছে।