মাতৃভূমির খবর ডেস্কঃ সন্ত্রাস, দুর্নীতি ও মাদক নিরসনে চলচ্চিত্র বড় ভূমিকা রাখতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, মেধাকে কাজে লাগিয়ে সময়োপযোগী ও জীবন ঘনিষ্ঠ চলচ্চিত্র নির্মাণ করুন। চলচ্চিত্রে বিদেশ নির্ভরতা কমিয়ে সমস্যা চিহ্নিত করুন। গতকাল রোববার বিকেল ৪টায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ২০১৭ ও ২০১৮’ প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী চলচ্চিত্র শিল্পে গৌরবোজ্জ্বল অবদানের জন্য সীকৃতিস্বরুপ শিল্পীদের হাতে গতকাল পুরস্কার তুলে দেন।
আরো পড়ুন: টেকনাফে ‘গোলাগুলিতে’ যুবক নিহত
এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন,আমরা চলচ্চিত্রের উন্নয়নে অনেক কিছু করেছি। আরও অনেক পরিকল্পনা রয়েছে। আমাদের সিনেমা দর্শক হারিয়েছে। কীভাবে দর্শককে আবারও হলে ফেরানো যায় সেজন্য অনেক উদ্যোগ হাতে নিয়েছি আমরা।
তিনি বলেন, হল মালিকদের সঙ্গে আমি নিজেও বসেছি। আমার মনে হয় দর্শক ফেরাতে হলে সিনেমাকে ডিজিটালাইজড করতে হবে। বিশেষ করে দেশের জেলা-উপজেলা পর্যায়েও সিনেমা হল ডিজিটাল করতে হবে। যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হবে। এখন মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বেড়েছে। তাদের জন্য সময় উপযোগী বিনোদনের ব্যবস্থা করতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, শিল্পকলার সবগুলো মাধ্যমের ভেতরে সবচেয়ে শক্তিশালী মাধ্যম চলচ্চিত্র। এর মাধ্যমে মানুষের মনে ব্যপক পরিবর্তন আনা সম্ভব। মানুষের মনে গভীর দাগ কাটতে পারে এই চলচ্চিত্র। চলচ্চিত্র নির্মাণ করতে হবে মানুষের জন্য। দেশে জঙ্গিবাদ আমরা প্রতিরোধ করছি। শুধু আইনের মাধ্যমে মানুষের মধ্যে পরিবর্তন আনা সম্ভব নয়। সন্ত্রাস, দুর্নীতি ও মাদক নিরসনে চলচ্চিত্র বড় ভূমিকা রাখতে পারে। সেদিকে আপনারা আরো বেশি নজর দেবেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে চলচ্চিত্র নির্মাণ হচ্ছে বাংলাদেশ-ভারতের যৌথ প্রযোজনায়। আমরা ভারতের প্রখ্যাত নির্মাতা শ্যাম বেনেগালকে পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব দিয়েছি। এছাড়াও বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে অনেক স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণ করতে হবে।
পুরস্কার প্রদানের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বক্তব্যে সকল বিজয়ীদের অভিনন্দন জানান। তথ্যমন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীর মাধ্যমে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সকলকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। তিনি তার বক্তব্যে দেশের চলচ্চিত্র তথা শিল্প সংস্কৃতিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আগ্রহ, ভালোবাসা ও অবদানকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন।